পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৩ অনুরাগী সহকৰ্ম্মীদের উৎসাহে তিনি নিজে প্রথমে ত্রীরামপুর, চুচুঁড়া প্রভৃতি কলিকাতার নিকটবর্তী স্থান সমূহে প্রচার কার্য্যে গমন কবিতে থাকেন । পরে দীর্ঘকাল পূৰ্ব্ববঙ্গের নানা স্থানেও ভ্রমণ করেন । এই সকল কার্য্যে যাহার। তাহার সঙ্গে উৎসাঙ্গের সহিত যোগ দিয়া কাজ করিয়াছিলেন তাহদের মধ্যে বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী, উমানাথ গুপ্ত, অন্নদাপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, মহেন্দ্রনাথ বসু, অঘোরনাথ গুপ্ত, যদুনাথ চক্রবর্তী প্রভৃতি প্রধান । কেশবচন্দ্র ও তাইfর শিষ্ণুগণের প্রচার যাত্রার ফলে দেশে এক প্রবল আন্দোলন উপস্থিত হয় । একদিকে যে রূপ উন্নতিশীল ব্যক্তিগণ কেশবচন্দ্রের বক্তৃতা শ্রবণ করিয়া ও তাহার সাহচর্য্য লাভ করিয়া নিজদিগকে উপকৃত মনে করিতে লাগিলেন, অপর দিকে, রক্ষণশাল সম্প্রদায়ও বিশেষ ভাবে নুতন ধৰ্ম্মমত ও উন্নত ভাবধারার প্রভাবে ব্যতিব্যস্ত হইয়া উহার গতিরোধে বদ্ধপরিকর হইলেন । নান! স্থানে কেশবচন্দ্রের মতানুযায়ী ব্যক্তিদিগের উপর কঠিন নিৰ্য্যাতন আরম্ভ হইল। উদীয়মান ব্রাহ্ম আন্দোলনের প্রভাব হইতে প্রচলিত হিন্দু ধৰ্ম্মকে রক্ষা করিবার জন্ত নানা স্থানে ‘হিন্দু হিতৈষী সভা’ প্রতিষ্ঠিত হইল । এই ধৰ্ম্ম প্রচার উপলক্ষে কেশবচন্দ্র বাঙ্গালা দেশের ' ঢাকা, ভারতীয়-ঐতিহাসিক কেশবচন্দ্র বরিশাল, ময়মনসিংহ ও উত্তর বঙ্গের নানা স্থানে পরিভ্রমণ করেন । এইরূপ প্রাচীরের ফলে মফস্বলের নীন স্থাৰে ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং নুতন নূতন প্রচারক নিযুক্ত হন । এই প্রচার কার্য্য বরাবরই চলিয়ছিল । ব্রাহ্মসমাজে নানাবিধ কাৰ্য্য । কেশবচন্দ্রই প্রধানতঃ ব্রাহ্মসমাজে নানারূপ সমাজ সংস্কার প্রবর্তন করেন। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের নেতৃত্বাধীনে ব্রাহ্মসম্প্রদায় হিন্দু সমাজের গণ্ডীর মধ্যে থাকিয়াই ঔপনিষদিক ব্ৰহ্মপূজা গ্রহণ কবেন | সামাজিক ক্রিয়া কলাপাfদ প্রায় প্রচলিত দেশাচার মতই অনুষ্ঠিত হইত। কেশবচন্দ্র প্রথম অসবর্ণবিবাহ ব্রাহ্মসমাজে প্রচলিত করেন । ১৮৬১ খ্ৰীঃ অব্দে দেবেন্দ্রনাথের কন্স মুকুমারীর বিবাহ ব্ৰহ্মপদ্ধতি অনুসারে সম্পন্ন হইলেও উহা অসবর্ণ বিবাহ ছিল না । ১৮৬২ খ্ৰীঃ আবেদ, কেশবচন্দ্রের বিশেষ চেষ্টায় কলিকাতা নগরীতে প্রথম অসবর্ণ ব্রাহ্মবিবাহ সম্পন্ন হয়। দেবেন্দ্রনাথ উক্ত বিবাহ সম্পূর্ণ রূপে অমুমোদন না করিলেও, উহার বিরুদ্ধতাচরণ করেন নাই । ব্রহ্মসমাজে আচার্য্য প্রথম অবস্থায় হিন্দু প্রথানুযায়ী, ব্রাহ্মণদিগের মধ্য হইতে মনোনীত হইতেন। কেশবচন্দ্র এই ব্যবস্থার তীব্র প্রতিবাদ করেন। যদিও তিনিই প্রথম অ-ব্রাহ্মণ আচাৰ্য্য