পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেশবচন্দ্র খ্ৰীষ্টান মনীষী লালবিহারী দে, কর্তৃক “ইণ্ডিয়ান রিফমার” ( Indian Reformer ) নামক পত্রিকায় ব্রাহ্ম আন্দোলনের যে বিরুদ্ধ সমালোচনা বাহির হয়, তাহারই প্রত্যুত্তর স্বরূপ উক্ত বক্তৃতা প্রদত্ত হয় । ভাষার গাম্ভীৰ্য্য, আদর্শের উচ্চতা, ভাবের মহত্ত্বে বক্তৃতাটি বাঙ্গালা দেশের শিক্ষিত ব্যক্তি মাত্রেরই প্রশংসা লাভ করে। প্রসিদ্ধ খ্ৰীষ্টিয় ধৰ্ম্মযাজক অ্যালেক্জাণ্ডার \5fF,( Alexander Duff ) c**&চন্দ্রের বক্তৃতা পাঠ করিয়া বলেন ব্রাহ্ম আন্দোলনের ফলে এদেশে খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম প্রচার চেষ্টা ব্যাহত হইবে । বস্তুতঃ তাহাই হইয়াছিল । পরবর্তীকালে অসবর্ণ বিবাহের বৈধতা স্থিরীকৃত করিবার জন্য যখন আন্দোলন উপস্থিত হয় (১১ পৃঃ) তখন, মনস্বী রাজনারায়ণ বসু “হিন্দু ধৰ্ম্মের শ্রেষ্ঠত।” বিষয়ে এক বক্তৃতা প্রদান করেন । রাজনারায়ণ বসু মহাশয় তাহার বক্তৃতাতে “হিন্দু ধৰ্ম্ম” অর্থে আদি ব্রাহ্মসমাজের ঔপনিষদিক ব্রাহ্মধৰ্ম্মকেই বুঝাইয়া ছিলেন । কেশবচন্দ্র ঐ বক্তৃতায় বিবৃত যুক্তি গ্রহণ করিতে পারেন নাই । তিনি প্রত্যুত্তরে কতিপয় বক্তৃতা দ্বারা ‘হিন্দু ধৰ্ম্ম” বলিতে যে ব্রাহ্ম ধৰ্ম্মকে बूोग्न मा, यूखि गश्काप्ञ डाशहे প্রতিপন্ন করেন । ধৰ্ম্মসমন্বয় জীবনে এবং মণ্ডলী জীবনী-কোষ २8७ মধ্যে কি ভাবে সাধন করা যায় তদ্বিষয়ে কেশবচন্দ্রের বিশেষ চিন্তা ছিল । এই জন্য তিনি যে সকল প্রণালী অবলম্বন করা যুক্তিযুক্ত মনে করিয়াছিলেন, তাহার কিছু উল্লেখ পূৰ্ব্বেই করা হইয়াছে। তদ্ভিন্ন জগতের সকল ধৰ্ম্ম ংস্থাপক ও অন্তন্তি মহাপুরুষদের উপদেশাবলী ও চিন্তাধারীর সহিত যোগ রক্ষা করিবার জন্য তিনি ‘পিলগ্রিমেজ § Gioi (Pilgrimage to Saints) নামে এক আলোচনাসভার ব্যবস্থ৷ করেন। মূণা, সক্রেটস, শাক্যসিংহ, ভারতীয় ঋষিগণ, খ্ৰীষ্ট, হজরত মোহাম্মদ, শ্রীচৈতন্ত, প্রভৃতি মহাপুরুষদের জীবনী আলোচনা করিবার জন্ত এক এক দিন নির্দিষ্ট থাকিত। এই সকল মহাপুরুষদের গুণাবলী আলোচনা প্রস্থত নিজ ধৰ্ম্মজীবনের অভিজ্ঞতা তিনি অতি সুন্দর ভাবে একটী নিবন্ধে প্রকাশ করেন (ধৰ্ম্মতত্ত্ব, ১৬ই অশ্বিন ১২৮৭ বঙ্গাব্দ)। কেশবচন্দ্রের জীবনের যে সকল ঘটনা উল্লেখ করা হইল, তাহা হইতে ইহা স্পষ্টই প্রতীয়মান হইবে যে, তিনি বর্তমান বাঙ্গালীর যুগুধৰ্ম্ম প্ৰবৰ্ত্তক ছিলেন । ধৰ্ম্ম জীবন ও নৈতিক জীবন উন্নত করা ও রক্ষা করা ভিন্ন, নানারূপ জনহিতকর কাজের দ্বারা বাঙ্গালীকে তিনি যে বিভিন্ন বহুমুখী কৰ্ম্মপন্থা প্রদর্শন করেন, তাহা তাহার পূৰ্ব্বে আর কেহ দেখাইতে পারেন নাই। র্তাহার সকল