২৫৩ কেশবানন্দ নাম লাভ করেন। অতঃপর স্বীয় গুরুর অtদেশমত একজন সিদ্ধ পুরুষের নিকট জ্ঞানযোগ শিক্ষা করিয়া, ধৰ্ম্ম প্রচারে ব্ৰতী হন । কেশবানন বহু ধৰ্ম্ম উপদেশ সম্বলিত ‘আনন্দ-গী তা’ নামে একখানি পুস্তক রচনা করিয়াছিলেন। তিন স্বগ্রামে বিদ্যালয়, গ্রন্থাগীর প্রভৃতি প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন । ইহা ভিন্ন বঙ্গের নমঃশূদ্র প্রভৃতি অনুন্নত শ্রেণীর জাতি সমূহের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের জন্ম, বিদ্যালয় স্থাপন করিয়াছিলেন। কৃষকগণকে শিক্ষা ও উৎসাহ প্রদানের জন্য তিনি স্বীয় আশ্রমের সন্নিকটে এক আদশ কৃষি উদ্যান ও গোচা রণ ক্ষেত্র স্থাপন করেন । ১৩২২ বঙ্গাব্দের কীৰ্ত্তিক মাসে এই কৰ্ম্মযোগী সন্ন্যাসীর কৰ্ম্মময় জীবনের অবসান হয় । কেশবানন্দ স্বামী— এই বাঙ্গালী সন্ন্যাসীর জন্মস্থান কলি কী তার নিকটে ছিল। তিনি ঔষধদ্বার। কঠিন কঠিন রোগ আরোগ করি। প্রচু। অর্থ উপার্জন করিতেন এবং সেই অর্থ সৎকার্য্যে ব্যয় করিতেন। এজন্ত অনেক প্রতিপত্তিশালী লোক তাহার অনুগত ছিলেন । কেশবার্ক—শকের দ্বাদশ শতাব্দীতে নৰ্ম্মদ। নদীর সন্নিহিত প্রদেশে, ‘বিবাহ বৃন্দাবন’ নামক প্রসিদ্ধ ব্যবহার গ্রন্থ প্রণেতা রাণগ পুত্র কেশবার্ক বৰ্ত্তমান ছিলেন । গোবিন্দ দৈবজ্ঞ ১৬০৩ খ্ৰী ভারতীয়-ঐতিহাসিক কেশর খ অব্দে (১৫২৫ শকে ) মূহূৰ্ত্ত চিন্তামণির প্রসিদ্ধ টীকা পীযুষধারা’ নামক গ্রন্থে दछ् 3ष्ट्र ७ अिङ्द (८बच्न नभि डेप्ल्लथ করিয়াছেন। তন্মধ্যে কেশবাক নামক এক জ্যোতিষীর নাম উল্লেখ করিয়াছেন । গণেশ দৈবজ্ঞ এই কেশবাক কৃত বিবাহ বৃন্দাবনের টীকা প্রণয়ন করিয়াছেন । তিনি ১২৪২ খ্ৰীঃ অব্দে ‘ব্রহ্ম তুলগেণি তসার’ নামক গ্রন্থ প্রণয়ন করেন । কেশর খাঁ। — রাজপুতনার অন্তর্গত বুন্দির রাজা ভনঙ্গ সিংহের রাজত্বকালে ঢাকর খ ও কেশর খ৷ নামক দুইজন পাঠান ভনঙ্গের রাজধানী কোটা অী ক্রমণ করিয়া বিধবস্ত করেন । ভনঙ্গ সিংহ বুন্দিতে নিৰ্বাসিত হন এবং তাহার স্ত্রী কেতুন নামক নগরে আশ্রয় গ্রহণ করেন । র্তাহার স্ত্রী অতিশয় বুদ্ধিমতী ছিলেন । তিনি স্বামীকে নিকটে অনিয়া কোটা রাজ্য উদ্ধারের একটী সুন্দর উপায় উদ্ভাবন করিলেন। বসত্মিক ফাগোৎসব নিকটবৰ্ত্তী হইলে চতুর রাজপুত রমণী কেশর খাকে দলিয়া পাঠান যে, ‘কেতুনের যুবতীগণ আপনাদের সহিত হোলি খেলিতে আসিবে আপনি প্রস্তুত হইয়া থাকিবেন ? কেশর খ৷ এই সংবাদে অীনন্দিত হইলেন এবং রাজপুত যুবতীদিগকে অভ্যর্থনা করিবার জন্য প্রস্তুত হইয়া রহিলেন। এদিকে রাজপুত
