*එං 6 দাক্ষিণাত্যে অবস্থান করেন । কিন্তু বিরুদ্ধ পক্ষীয় লোকদের চক্রান্তে, তিনি গুজরাতের বিদ্রোহীদের সহিত, সন্ধি করিতে বাধ্য হন । তজ্জন্ত সম্রাট জাহাঙ্গীর তাহার প্রতি বিরূপ হন এবং র্ত হাকে দিল্লীতে প্রত্যাপত্তন করিতে আদেশ দেন । কতিপয় বর্ষ পরে তিনি কনৌজ অঞ্চলে বিদ্রোহ দমন করিতে গমন করেন এবং তৎপরে পুনরায় দক্ষিণাত্যে অভিযান করেন । এই স্থানে রাজকুমার খুরম তাহীর সহিত মিলিত হন এবং উভয়ের সম্মিলিত চেষ্টায় আদিল শাহ ও কুতব-উল-মুল্ক বগুত। স্বীকার করেন । কিন্তু কিছু কাল পরে আহম্মদনগরের পূর্ব অধিপতি মালিক অম্বর পুনরায় বিদ্রোহী হওয়ায়, সম্রাট আবার তাহাকে বিদ্রোহ দমনে প্রেরণ করেন । সম্রাট জাহাঙ্গীরের রাজত্বের শেষভাগে, যখন যুবরাজ খুরম বিদ্রোহী হইয়াছিলেন, তখন কিছুকাল আবদর রহিম তাঁহারই সঙ্গে ছিলেন । পরে যুবরাজ তাঁহার বিশ্বস্ততার মন্দিহান হইয়া, তাহীকে ও র্তাহীর পুত্রকে বন্দী করেন । অল্পকাল পরেই যুবরাজ র্তাহীদের মুক্তি প্রদান করিয়া, নিজপক্ষে থাকিয় যুদ্ধ করিবার প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেন, কিন্তু খান থানান সেই প্রতিশ্রুতি মত কাজ করেন নাই । কিছুকাল পরে সম্রাটের নির্দেশে ●aー8 o ভারতীয়-ঐতিহাসিক क्षूiब खrबiब्न আবদর রহিম দিল্লীতে প্রত্যাগমন করেন এবং অল্পদিন পরেই অন্ততম বিদ্রোহী সেনাপতি মহাবভ খাকে দমন করিবার ভার প্রাপ্ত হন । কিন্তু অসুস্থ হইয়া পরীতে সেই অভিযান সম্ভব হয় নাই । ১৬৫১ খ্ৰীঃ অব্দে বtহtভর বৎসর বয়সে তিনি পরলোক গমন করেন । অবদর রহিম ফারসী, আরবী, তুর্কি ও হিন্দি ভাষায় বুৎপন্ন ছিলেন। র্তাহীর জীবনকাল প্রধানতঃ যুদ্ধ বিগ্রহে কাটিলেও তিনি সাহিত্য চর্চাও করি তন । র্তাহার কবিজন সুলভ নাম ছিল রহিম । মৃত্যুকালে তাহার চারি পুত্ৰ বৰ্ত্তমান ছিলেন । খান জমান—(১) আলি কুলি খার উপাধি ! তাহার ভ্রাতার নাম বাহদুর খ, পিতার নাম হায়দর সুলতান উজবেগ। তাহার পিতা সম্রাট হুমায়ুনের একজন রাজকৰ্ম্মচারী ছিলেন । সম্রাট আকবর র্ত tহাদের কার্য্যে সন্তুষ্ট হইয়া তাহাদিগকে উচ্চ সন্মান ও জৌনপুর প্রদেশ প্রদান করেন । কিন্তু র্তাহীর ভ্রাত। মিরজ। হাকিমের পক্ষাবলম্বন করিয়া বিদ্রোহী হন । আকবর একদল সৈন্য লইয়। তাহাদিগকে দমন করিতে গমন করেন । ১৮৬৭ খ্ৰীঃ আন্দের ৯ই জুন সোমবার (হিঃ ৯৭৪ ১ল জি হিজ্জ) যুদ্ধে উভয় ভ্রাতা সমর ক্ষেত্রে শয়ন করেন ।
