পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*ථVL ৬৩৮ খ্ৰীঃ অব্দ হয় । কাঞ্চলস্তস্তের পুত্ৰ কলহস্তম্ভ বিক্রমাদিত্য (অন্ত নাম কণাদস্তম্ভ ), তৎপুত্র রণস্তম্ভ ( অন্য নাম আলীনস্তম্ভ ), তৎপুত্র কুলস্তম্ভ ও জয়স্তম্ভ। এই বংশের মাত্র এই কয়টা নামই এপর্য্যন্ত পাওয়া গিয়াছে । কোদ লোক স্থানে তাহীদের রাজধানী ছিল । ইহার বর্তমান নাম কেদালোক, ইহা উড়িষ্যার উত্তরাংশে অবস্থিত ছিল । মেদিনীপুরের অধিকাংশ স্থান এই পাজ্যের অন্তর্গত ছিল । মঙ্গদেবের শক্তি দেবী স্তম্ভেশ্বরী তাছাদের কুল দেবতা ছিলেন । কাজী আবদুল গফুর—তাঙ্গার জন্ম স্থান খুলনা জিলার অন্তর্গত মুলতানপুর গ্রামে ; তাহার পিতামহ ও প্রপিতামহ বঙ্গিলার নবাবের অধীনে কা, জর কাজ করিয়া বিস্তুত জায়গীর লাভ করিয়া ছিলেন । কিন্তু তাহfর পিতার অকলৈ মৃত্যুতে সে সমস্ত নষ্ট হয় । গ্ৰাম্য পাঠশালায় সামান্ত লেখা পড়া শিক্ষা করিয়া পরে ১৮১৯ বৎসর বয়সে গুরু ট্রেনিং পরীক্ষা প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হইয়া কিছুদিন শিক্ষকের কাজ করেন । তৎপর কম্পাউণ্ডারী শিক্ষা করেন । ইহাতেও তৃপ্ত না হইয়া তিনি ডাক্তারি পড়তে অভিলাষী হইয়া ঢাকা মেডিকেল স্কুলে ভর্তি হন । এই সময়েই ব্রাহ্মসমাজের প্রভাবে সেই দিকে আকৃষ্ট হন । ব্রাহ্মসমাজের و -- 4 তনি ভারতীয়-ঐতিহাসিক কাজী আবদুল গফুর উপাসনা প্রণালী সম্পূর্ণরূপে গ্রহণ করেন । এই সময়ে তিনি বিবাহ করেন । ঢাকা মেডিকেল স্কুল হইতে উত্তীর্ণ হইয়। তিনি প্রথমে পূর্ণিয়া জিলায় সরকারী কাজে নিযুক্ত হন । এই সময়ে পূর্ণিয় রেল বিভাগে নিযুক্ত থাকার কালে, মিল নামক একজন সহকারী ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের সহিত র্তাহার মত ভেদ হয় । ইহাতে মিঃ মিল ক্রোধান্ধ হইয়া অনুচিত ভাষায় তাহাকে তিরস্কার করেন । কাজী সাহেবের আত্মসম্মানে ইহাতে আঘাত লাগিল । তিনি তঁtatর বিরুদ্ধে নালিশ করিয়া দুইশত টাকা ক্ষতি পুরণ আদায় করেন । এক জন অল্প বেতনের কৰ্ম্মচারীর পক্ষে তাহার উদ্ধতন কৰ্ম্মচারীর বিরুদ্ধে এইরূপে বিবাদ করা, তখনকার দিনে কম সাহসের কাজ ছিল না। ইহার কয়েক বৎসর পরে তিনি ভাগলপুরে বদলি হন । তথায় উৰ্দ্ধতন সিবিল সার্জন সাহেবের অন্তীয় ব্যবহারে বিরক্ত হইয়। কার্য পরিত্যাগ করেন এবং স্বাধীনভাবে চিকিৎসা ব্যবসায় আরম্ভ করেন । একদিন রোগী পর্য্য. বেক্ষণ করিয়া ফিরিবার পথে ঘোড়া হইতে পড়িয়া গিয়া একবারে অচল হইয় গেলেন। অনেক চিকিৎসার পরও তাহার দক্ষিণ শরীরাদ্ধ আরোগ্য হইল না । ঘোর দারিদ্রের মধ্যে পড়ি-. লেন । এই সংগ্রামে তিনি বিচলিত