ՓՆԳ প্রতি যথেষ্ট সদ্ব্যবহার করিয়া তাঁহাদের প্রীতি অী কর্ষণ করিয়াছিলেন । সম্রাট আলাউদিনের অবিবাহিত। কন্যাদি গকে সংপাত্রে অর্পণ করিয়াছিলেন । উৎপন্ন শস্তের পরিমাণ অনুসারে ন্যায় সঙ্গত ভাবে কর নির্দ্ধারণ করিয়াছিলেন । বtঙ্গালীর শাসনকৰ্ত্ত বাহাদুর শা বিদ্রোহী হইলে, তিন তীহাকে স্ববশে অনিয়ন করেন । বঙ্গদেশ হইতে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিলে, তাহাকে অভ্যর্থনা করিবার জন্য একটী মঞ্চ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, তাহারই পতনে তাহার মৃত্যু হয় । কেহ কেহ বলেন গিয়াসউদিনের পুত্র মোহাম্মদ তোগলকের ষড়যন্ত্রেই তিনি নিহত হইয়াছিলেন । র্তাহার মৃত্যুর পরে তাহার পুত্র মোহম্মদ তোগলক রাজা হইয়াছিলেন । গিয়াসউদ্দিন তোগলক(দ্বিতীয়) — তিনি ফিরোজ শাহ তোগলকের জ্যেষ্ঠ পুত্র ফতে খার পুত্র। ফতে খ৷ ফিরোজ শাহের মৃত্যুর পূৰ্ব্বেই মারা গয়াছিলেন। ফিরোজ শাহের মৃত্যুর পূৰ্ব্বেই তাহার দ্বিতীয় পুত্র মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন পিতার বাৰ্দ্ধক্য নিবন্ধন সম্রাট হইয়। ছিলেন । কিন্তু তাহার অত্যাচারে রাজ কৰ্ম্মচারীর বিদ্রোহী হওয়ায় তিনি পলায়ন করেন । তখন বৃদ্ধ ফিরোজ শাহ স্বীয় পৌত্র ( ফতে খার পুত্র ) তৌগলিককে ( পরে গিয়াসউদন ) সিংহাসন প্রদান করেন। তিনি অতি ভারতীয়-এতিহাসিক গিয়াসউদ্দিন অল্প বয়স্ক ছিলেন বলিয়া রাজ কৰ্ম্মচারীরাই সৰ্ব্বেসৰ্ব্ব হইয়। উঠেন । সুতরাং রাজ্যের সর্বত্র অরাজ কত। উপস্থিত হয় । ফিরোজের মৃত্যুর পরেই র্তাহীর সর্ব কনিষ্ঠ মৃত পুত্র জাফর খার তনয় আবুবকর গিরাস উদ্দিনকে শমন ভবনে প্রেরণ করিয়া, সিংহাসন অধিকার করেন। গিয়াসউদ্দিন নামে মাত্র ১৩৮৮ খ্ৰীঃ অব্দে কয়েক মাস রাজত্ব করিয়tছলেন । গিয়াস উদ্দিন বলবন — এই অসাধারণ ভূপতি নানাবিধ সদগুণে ভূষিত ছিলেন। তাহার প্রথম জীবনে তিনি ক্রীতদাস ছিলেন । সুলতান ইল্তিমাস র্তাহাকে ক্রয় করেন । তাহীরই অনুগ্রহে তিনি সন্ত্রান্ত শ্রেণীতে পরিগণিত হইয়াছিলেন । সুলতান র্তাহার গুণে মুগ্ধ হইয়া, তাহার সহিত স্বীয় কন্যার পরিণয় কাৰ্য্য সম্পন্ন করেন । ইলতিমাসের মৃত্যুর পর র্তাহার পুত্র নাসিরউদ্দিন সিংহাসনে আরোহণ করেন । বলবন ইলতিমাস হইতে নাসিরউদিনের সময় পৰ্য্যন্ত চল্লিশ বৎসরেরও অধিক কাল মন্ত্রীর পদে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন । বিশেষতঃ সম্রাট নাসিরউদিনের সময়ে রাজ্যসংক্রান্ত সমস্ত কাৰ্য্য র্তাহারই হস্তে ন্যস্ত ছিল । এই সব কারণে নিঃসন্তান নাসিরউদিনের মৃত্যুর পরে, তিনি সিংহাসনে আরোহণ করিলে সহজেই সকলে
