পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গিয়াসউদ্দিন যোগ না দিয়া, স্বীয় প্রজাদের মুখস্বাচ্ছন্দ্যের দিকে বিশেষ মনোযোগ দিতেন। ফলতঃ ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ মুসলনান সম্রাটদের অন্ততম তিনি ছিলেন। তিনি দ্বাবিংশতি বৎসর (১২৬৫ —১২৮৭ খ্ৰী: ) রাজত্ব করেন । এই সময়ের মধ্যে তিনি রাজপদের সম্মান, প্রভাব ও গৌরব বৰ্দ্ধনে ৰে আদৰ্শ প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন, সেই সময়ে তদপেক্ষা উচ্চতর আদর্শ প্রতিষ্ঠিত করা আর সম্ভবপর ছিলনা। এই উচ্চমন আদর্শ ভূপতি কখনও হীন কাৰ্য্যে রত হইতেন না এবং অন্তকেও তদনুরূপ কার্য্যে প্রশ্রয় দিতেন না । কি আত্মীয় কি অনাত্মীয় কাহার ও সহিত অত্যধিক ঘনিষ্টতা করিয়া, রাজমৰ্য্যাদা লাঘব করিতেন না । কোনও উৎসব উপলক্ষে তিনি যথেষ্ট আড়ম্বর করিতেন। আশ্রিত রাজন্তবর্গ তখন সিংহাসনের দক্ষিণ ও বাম পাশে দণ্ডায়মান থাকিতেন। কেবল সৈয়দ বংশায় দুই জন উপবেশন করিবার অনুমতি পাইয়৷ ছিলেন । র্তাহার রাজ সভায় নানাদেশীয় বহু বিদ্বান ব্যক্তি স্থান লাভ করিয়াছিলেন । ফলতঃ র্তাহার সময়ে সমস্ত পৃথিবীর মধ্যে র্তাহার রীজ সভাই জ্ঞান গরিমায় সৰ্ব্ব শ্রেষ্ঠ ছিল। এতদ্ব্যতীত তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্র শাহেদের প্রাসাদে প্রতি রজনীতে দার্শনিক, কবি ও ধাৰ্ম্মিক বহু লোকের সমাগম হইত জীবনী-কোষ ©ዓo বলবনের রাজত্বের শেষ ভাগে মুঘলেরা ভারতের উত্তর পশ্চিম ভাগে সমুপস্থিত হইল । সুলতান স্বীয় জ্যেষ্ঠ পুত্র শাহেদকে তাহীদের দমনার্থ প্রেরণ করিলেন । তাহারা পরাজিত হইয়া পলায়ন করিল । শাহেদের সৈন্ত তাহাদের পশ্চাদ্ধাবিত হইল, রাজকুমার শাহেদ ধীরে ধীরে প্রত্যাবর্তন করিতেছিলেন, এমন সময়ে একদল লুক্কায়িত মুঘল সৈন্ত হঠাৎ তাহাকে আক্রমণ করিয়া বধ করিল । সুলতান বলবন এই সংবাদ শ্রবণে অতিমাত্র ব্যথিত হন । তিনি তাহার দ্বিতীয় পুত্র, বঙ্গের শাসনকৰ্ত্ত নাসিরউদ্দিনকে নিকটে অtহবান করিলেন । ইচ্ছা ছিল তাঁহাকে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী করিয়া চক্ষু মুদ্রিত করেন । কিন্তু রাজকুমার নাসিরউদ্দিন পিতার অনুমতি গ্রহণ না করিয়াই বঙ্গদেশে প্রত্যাগত হন । পুত্রের এই ব্যবহারে অতিশয় দুঃখিত হইয়া অচিরেই তিনি দেহত্যাগ করিলেন । তাহার মৃত্যুর পরে নাসিরউদিনের অপ্রাপ্ত বয়স্ক পুত্র ময়জউদ্দিন কৈ কুবাদ ১২৮৭ খ্ৰীঃ অব্দে সিংহাসনে আরোহণ করেন । গিয়াসউদ্দিন বাহমনী, সুলতান— তিনি দক্ষিণাত্যের বাহমনী বংশের ষষ্ঠ নরপতি । ১৩৯৭ খ্ৰীঃ অব্দে তিনি কয়েক মাস রাজত্ব করেন । র্তাহার পিতা মোহাম্মদ শাহের মৃত্যুর পরে