©ጫ © প্রকাশ’ পত্রিকার সম্পাদক দ্বারকনাথ বিদ্যাভূষণ মহাশয় তাহার পত্রিক বন্ধ করিয়া দেন । এই সময়ে গঙ্গাধর বন্দ্যোপাধ্যায় এম, এ মহাশয় নববিভাকর পত্রিক গিরিজা ভূষণের সহযোগে প্রকাশ করেন । এই পত্রিকা মাত্র এক বৎসর চলিয়াছিল । তৎপরে অক্ষয়চন্দ্র সরকারের সাধারণী পত্রিকার সহিত মিলিত হইয়। যায় । গিরিজা সুত—তিনি একজন গণপতি উপাসক সম্প্রদায়ের লোক। শঙ্করাচাৰ্য্য র্তাহীকে বিচারে পরাস্ত করিয়া স্বীয় মতে আনয়ন করিয়া শিষ্য করিয়া ছিলেন । গিরিধর—(১)তিনি একজন পদ কৰ্ত্ত। তিনি জয়দেবের গীতগোবিন্দ’ গ্রন্থ পদ্যে অনুবাদ করিয়াছেন । গিরিধর—(২) বীরভট্টের পুত্র গিরিধর এক জন জ্যোতিবিদ পণ্ডিত ছিলেন । “জগন্মণি’ নামক জ্যোতিষ গ্রন্থ তাহারই রচিত । গিরিধর কবিরায়—মধ্যযুগের একজন প্রতিভাশালী হিন্দি কলি । তিনি হিন্দি কবিতায় বহু নুতন ছন্দের প্রবর্তন করেন । ‘কুড় লিয়া’ নামে খ্যাত হিন্দি কবিতাগুলি সমধিক আদৃত। র্তাহীর পত্নীও প্রতিভাশালিনা কবি ছিলেন। তঁtহার কবিজন সুলভ নাম ছিল সাই । গিরিধর দাস—(১) তিনি দিল্লীর মুধি ভারতীয়-ঐতিহাসিক গিরিধারী বাণী । তিনি বাল্মীকির মূল রামায়ণ হিন্দী পদ্যে অনুবাদ করিয়াছেন । গিরিধর দাস—(২) তিনি ‘স্মরণমঙ্গল স্বত্র’ পদ্যে অনুপাদ করিয়াছিলেন। গিরিধর, দ্বিজ — প্রাচীন বাঙ্গালী পাচালীকার । তিনি খুব সম্ভব বঙ্গাব্দের একাদশ শতাব্দীর প্রথমভাগে বৰ্ত্তমান ছিলেন । তিনি ব্রাহ্মণকুলজাত ছিলেন । তিনি সত্যপীরের একখানি পাচাণী রচনা করেন । বৰ্দ্ধমান জিলার অন্তর্গত ভারুহা গ্রামে তাহার বাস ছিল । গিরিধারী মিশ্র—“দৃগগোল বর্ণন নামক জ্যোতিষ গ্রন্থ এই পণ্ডিতের বিরচিত । গিরিধারীলাল রায়—দিল্লীর মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহের (১ম) সময়ে ১৭০৯ খ্রীঃ আবেদ, পঞ্জাবে শিখে ও মুসলমানে ভীষণ সংগ্রাম চলিতেছিল। সেই সময়ে রংপুরের তাজহাটের জমিদীর বংশের কোনও পুৰ্ব্বপুরুষ স্বদেশ পরিত্যাগপুৰ্ব্বক বঙ্গদেশে আগমন করেন । এই বংশেই গিরিধারীলালের জন্ম হয় । তিনি অতি প্রতিপত্তিশালী লোক ছিলেন । তিনি বহু জায়াস স্বীকার করিয়া স্বীয় ভাগিনেয়ের বিপুল সম্পত্তি গবৰ্ণমেণ্টের নিকট হইতে উদ্ধার করেন। তৎপরে তিনিই সেই সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হইয়াছিলেন । র্তাহার মৃত্যুর পরে, তাহার স্বনামধন্ত পুত্র
