8o ጳ ও বিস্তারের পর হইতে তাহার লাইব্রেরীর যথেষ্ট উন্নতি ও অর্থাগম হইতে লাগিল; কিন্তু সেই পাইপয়স হিসাব করিয়া যথানির্দিষ্ট সময়ে পুস্তক লেখক ও অদ্যান্স পা ওনাদারকে দেয় পরিশোধ করা, এই মূলনীতি তিনি ত্যাগ করিলেন না,—শেষ মুহূৰ্ত্ত পর্য্যস্ত তিনি ত্যাগ করেন নাই—ইহাই গুরুদাস বাবুর ব্যবসায়ের উন্নতির মূল মন্ত্র ছিল এবং ইহা অনুসরণ করিয়াই র্তাহার লাইব্রেরী এখন দেশবিখ্যাত ३३म्न८िछ् । গুরুদাস বাবুর সাধন। নিষ্ফল হয় নাই; ক্ষেত্রগ্রস্তুত হইয়ছে—বিস্তৃতি ও লাভ করিয়াছে । আজি বাঙ্গালার সাহিত্য, জগতের সাহিত্যের সহিত প্রতিযোগীতা করিবার স্পৰ্দ্ধা করিতেছে, তাহীদের সহিত সমান অধিকারের দাবী করিতেছে। বাঙ্গাল সাহিত্যের এই প্রসার ও উন্নতির জন্ত গুরুদাস বাবুকে যথেষ্ট পরিমাণে অভিনন্দন द ब्लॉ १भू । গুরুদাস বাবুর নাম আজ সমগ্র বঙ্গদেশবিএ ত । কেবল বঙ্গদেশ কেন, সমগ্র ভারতবর্ষে গুরুদাস বাবুর *গুরুদাস লাইব্রেরী সুপরিচিত । শুধু ভারতবর্ষ বলিলেও ঠিক কথা বলা হয় না, ইংলণ্ড, আমেরিকা, জাপান প্রভৃতি যে সকল দেশের সহিত ভারতবর্ষের সাক্ষাৎ ভাবে বাণিজ্য সম্বন্ধ প্রতিষ্ঠিত ভারতীয়-ঐতিহাসিক গুরুদাস হইয়য়াছে—যে সকল দেশের সহিত সরাসরি বাণিজ্য চলিতেছে, তাহাদের অধিকাংশ স্থলেই গুরুদাস বাবুর পুস্ত ক লৈয় অল্পধিক পরিচিত । গুরুদাস বাবু শুধু দাঙ্গালা-সাহিত্যের বন্ধু ছিলেন না—বtঙ্গালা সাহিত্যিকগণেরও বন্ধু ছিলেন । যতদিন তিনি কৰ্ম্মক্ষম ছিলেন এবং স্বয়ং তঁtহার ব্যবসায়ের তত্ত্বাবধান করিতেন, ততদিন তাহার লাইব্রেরীতে প্রত্যহ অপরাহকালে সাহিত্যিকগণের মেলা বসি ত— বহু সু প্রসিদ্ধ সাহিত্যিকের সমাগম হইত। গুরুদাস বাবুর অমায়িক ব্যবহারে, তাহার সহিত যিনি একবার আলাপ করিতেন, তিনি মুগ্ধ হইয়। যাইতেন । আমাদের বিশ্বাস তৎকালীন বাঙ্গাল সাহিত্যিক গণের মধ্যে এমন অতি অল্প লোকই ছিলেন, যিনি জীবনে অন্ততঃ একবারও গুরুদাস বাবুর সহিত আলাপ করিতে আসেন নাই । এবং এমন বহু সাহিত্যসেবী ছিলেন, র্যাহারা তাহার সহায়তা না পাইলে সাহিত্যক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠালাভ করিতে পারিতেন না। ১৮৯৭ খ্ৰীঃ অব্দে গভর্ণমেণ্ট তাহাকে *Intfö55tto “for his good services in the cause of Bengalec Litera ture’ “Certificate of Honour’ দিয়া সম্মানিত করেন। ১৯১২ খ্রীঃ আব্দে তিনি দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের সম্পাদকতায় ভারতবর্ষ মাসিক
