পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3১৩ পূৰ্ব্ব পরিচয় অজ্ঞাত নিবন্ধন, তাহার প্রতি অবহেলাসূচক ব্যবহার করিলেও তিনি কখনও বিরক্ত অথবা দুঃখিত হইতেন না। চাটুকারিতাকে তিনি অতিশয় ঘৃণা করিতেন । কেহ খোসামোদ সূচক ব্যবহারের দ্বার কার্য্যোদ্ধার করাইয়া লইবার চেষ্টা করিতেছে, বুঝিতে পারিলে, তাঁহার সংশ্রব তিনি পরিহার করিতেন । অচিার ব্যবহারের পবিত্রত বক্ষণ করা, তাহীর চরিত্রের আর একটি বৈশিষ্ট ছিল । কোনও মাসিক পত্রিকায়, অৰ্দ্ধনগ্ন নারীমূৰ্ত্তির চিত্র প্রকাশিত হওয়ায়, তিনি ক্ষুব্ধ গুইয়া ঐ পত্রিকায় তাহার ক্রমশঃ প্রকাশিতব্য জীবনাখ্যানের প্রকাশ বন্ধ করিয়া দেন । কোন ও ব্যক্তি এক সময়ে তা চার জননীর প্রতিকৃতি মাসিক পত্রিকায় প্রকাশ করিবার প্রস্তাব করেন । তিনি উহাতে সন্মত হন নাই । তাছার বক্তব্য ছিল, হয়ত ঐ পত্রিকার পৃষ্ঠা দে কানীদের মোড়ক বা ঠোঙার জন্য ব্যবহৃত হইবে । হয়ত উচা রাস্তায় পথচারীর পদম্পূখ্য হইবে এইরূপ ঘটনার সম্ভাবনাও র্তাহার পক্ষে ক্লেশকর । গুরুদাসের মাতৃভক্তি অাদর্শ ও অনুকরণীয় ছিল। মাতার অনুমতি লাভ করিয়াই তিনি বহরমপুরে আইন ব্যবসায় করিতে যান এবং তাঁহারই ইচ্ছানুসারে কলিকাতায় . আসিয়া ভারতীয়-ঐতিহাসিক গুরুদাস ব্যবসায় আরম্ভ করেন। একজন প্রসিদ্ধ দেশনায়কের বিধবা কন্যার বিবাহে নিমন্ত্রিত হইয়া ও উপস্থিত হন নাই । কেহ কেহ জিজ্ঞাসা করিলে বলিয়াছিলেন, তাহার মাতা বিধবা বিবাহের সপক্ষে ছিলেন না । তিনি বিধবা বিবাহ সমর্থনস্থচক কোন ও কাজ করিলে র্তাহার স্বর্গগত আত্মা ক্ষুব্ধ হইবেন। জনসেবtয় আগ্রহ ও উৎসাহ থাকিলেও, কখনও অপরের সেই রূপ কাজ করিবার পক্ষে বাধা স্বষ্টি করিতেন না । সকল যোগ্য লোকই সমভাবে সুযোগ লাভ করে, ইছাই র্তাহীর ইচ্ছা ছিল । এই বহু গুণ সম্পন্ন দেশের অলঙ্কার স্বরূপ মহাপুরুষ ১৯১৮ খ্ৰীঃ অব্দের ডিসেম্বর ( ১৩২৫, আগ্রহায়ণ ) দেহ রক্ষা করেন। মৃত্যুকালে তাহার চারি পুত্র দুই কন্ঠ জীবিত ছিলেন । পুত্রেরা সকলেই উচ্চ শিক্ষিত ও দায়ীত্ব পূর্ণ কৰ্ম্মে নিযুক্ত ছিলেন । গুরুদাসেরই অন্যতম জামাতা, হাইকোর্টের খ্যাতনাম; বিচারপতি সার মন্মথনাথ মুখোপাধ্যায় । এই মহাত্মার রচিত গ্রন্থাদির মধ্যে ‘জ্ঞান ও কৰ্ম্ম’ নামক গ্রন্থ বাঙ্গালা ভাষার অলঙ্কার । গুরুদাস বৰ্দ্ধন—ত্রিপুরার মহারাজ ঈশানচন্দ্র মাণিক্যের সময়ে (১৮৪৯— ১৮৬২ ইং সাল ) তিনি অন্ততম মন্ত্রী