পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোপীনাথ সিদ্ধান্তের পুত্র। গোপীনাথেরই পুত্র প্রসিদ্ধ মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিত রাজ কৃষ্ণ তর্কপঞ্চানন । এই বংশে আরও বহু পণ্ডিতের আবির্ভাব হইয়াছে। গোপীনাথ বড়জেন -তিনি উড়িস্যার রাজ। প্রতাপরুদ্র গজপতির অধীনে মলজ্যাটা দণ্ডপটের বর্তমান ( মেদিনীপুর) শাসনকৰ্ত্ত ছিলেন । তিনি স্বীয় প্রভু গজপতি প্রতাপরুদ্রের ন্যায় বৈষ্ণ । প্রভাবগ্রস্ত হইয়। রাজ কার্য্যে অমনোযোগী হন । ফলে সমস্ত মেদিনীপুর অঞ্চল বাঙ্গালীর মুসলমান শাসনকৰ্ত্তদের করতল গত হয় । একবার দুই লক্ষ মুদ্র রাজকর বাকীর জন্য গোপীনাথ বড়জেনকে, রাজা প্রতাপরুদ্র মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন। কিন্তু শ্রীচৈতন্সের শিষ্যদের অনুরোধে রাজা অপরাধ মাপ করেন । গোপীনাথ বসু, পুরন্দর খা—তিনি বাঙ্গtলার নবাব হোশেন শাহার (১৪৯৪ —১৫২৬ খ্ৰী: ) মন্ত্রী ছিলেন । তাহার উপাধি পুরন্দর র্থ ছিল । তিনি পরম বৈষ্ণব ছিলেন । র্তাহার রচিত গ্রন্থ "শ্ৰীকৃষ্ণ মঙ্গল’ । তাহার ভ্রাত। মালাধর বসু ‘শ্ৰীকৃষ্ণ বিজয়’ নামক গ্রন্থ রচনা दद्विध्रॉ८छ्न । ८शांश्राञांथ ८भोकी--७ई भशब्बाईौद्र পণ্ডিত কাশী নগরীতেই বাস করিতেন। তিনি খ্ৰীঃ ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যভাগে বর্তমান ছিলেন । তাঁহার রচিত— জীবনী-কোষ 888 শব্দালোক রহস্ত, তর্কভাষাটক, পদার্থবিবেক টীকা প্রভৃতি প্রসিদ্ধ গ্রন্থ তাহাকে অমর করিয়াছে । গোপীনাথ রায় চৌধুরী— তিনি টাকীর জমিদার বংশের একটা উজ্জল রত্ন । তিনি রামকান্ত চৌধুরীর ছয় পুত্রের মধ্যে পঞ্চম ছিলেন । তিনি বাঙ্গাল, ফারসী ও সংস্কৃত ভাষায় পণ্ডিত ছিলেন । ১৮১৩ খ্ৰীঃ অব্দে মাত্র ২০ বৎসর বয়সে টীকীর মুন্সি ষ্টেটের তিনি প্রতিনিধি নিযুক্ত হইয়া ছিলেন । তাহীর সুবন্দোবস্তে ও কন্মনিপুণতায় এই ষ্টেটের আয় বহুল পরিমাণে বৰ্দ্ধিত হইয়াছিল। পাইকপাড়ার লtলা বাবুর নাবালক পুত্রের জমিদারীরও তিনি কিছুকাল ম্যানেজার নিযুক্ত হইয়াছিলেন । নানা সংকজে র্তাহার অনুরাগ ছিল । কলিকাতা হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠায় তিনি সহানুভূতি প্রকাশ ও অর্থ সাহায্য করিয়াছিলেন । প্রতি বৎসর দীনীদি কার্য্যে তিনি প্রচুর অর্থ বায়ু করিয়াও প্রচুর অর্থ সঞ্চয় করিয়াছিলেন । এই প্রতিভাশালী বঙ্গের কৃতি সন্তান মাত্র ২৯ বৎসর বয়সে ১৮২২ খ্রীঃ আন্দে পরলোক গমন করেন। মৃত্যুকালে তিনি নগদ আটাশ লক্ষ টাকা ও বৰ্দ্ধিত জমিদারী রাখিয়া যান। তাহার প্রিয়নাথ নামে একটী মাত্র শিশু পুত্র ছিল। ভবানীদাস রায় চৌধুরী দেখ।