পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কামিনী রায় সঙ্কোচবশতঃ তাহা প্রকাশিত করেন নাই। র্তাহার সুবিখ্যাত কবিতাগুচ্ছ ‘আলো ও ছায়।” মাত্র পঞ্চদশবর্ষ বয়সে রচিত হইয়া, পূৰ্ব্বোক্ত কারণে দীর্ঘকাল লোক চক্ষুর অগোচরেই ছিল । অবশেষে তাহার পিতার একজন বিশিষ্ট বন্ধু কবিবর হেমচন্দ্রের নিকট র্তাহার পরিচয় করাইরা দেন । হেমচন্দ্র ঐ কবিতাগুচ্ছের একটি ভূমিকা লিখিয়। দিলে ১৮৮৯ খ্ৰীঃ অব্দে, ছদ্ম-নামে উত। প্রথম প্রকাশিত হয় । তাহীর ঐ প্রথম পুস্তকই তঁtহাকে বাঙ্গালার কবিসমাজে উচ্চ আসন প্রদান করে । র্তাহীর পরিবারিক জীবন অল্প কালমধ্যেই বিষাদের আকর হয় , ১৯ • • খ্ৰীঃ অব্দে তাহtয় প্রথম সন্তান বিয়োগ, ১৯০৯ সালে স্বামীর মৃত্যু এবং তাছার পর ও কয়েক বৎসরের মপ্যে এক ধিক সন্তানবিয়োগে তাতার জীবনকে শোক সন্তপ্ত করে । নিজ গর্ভজাত পুত্ৰ অশোকের মৃত্যুর (১৯১৩ পর রচিত, ‘অশোক সঙ্গীত’ নামক কবিতা গ্রন্থে র্তাহার মনের যে তীব্র বেদন অভিব্যক্ত হইয়াছে, তাহ বঙ্গ সাহি, বিরল । তিনি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কবিত। রচনায় বিশেষ পারদর্শিনী ছিলেন। র্তাহার দুইটি দীর্ঘ কবিতা ‘মহাশ্বেত' এবং পুণ্ডরীক' বাঙ্গাল সাহিত্য ভাণ্ডারের অমূল্য রত্ন । তাহার রচিত পুস্তক সমৃহের নাম — (১) অালে ও ছাত্র, (২) অম্বা, (৩) জীবনী কোষ 8b" ধৰ্ম্মপুত্র ( কাউণ্ট টলষ্টয়ের জীবনী ), (৭) গুঞ্জন, (৫) মাল্য ও নিৰ্ম্মাল্য, (৬) পৌরাণিকী, (৭) শ্রদ্ধিকী, (৮) সিতীমা, (৯) অশোক সঙ্গীত, (১০) দীপ ও ধূপ, (১১) জীবনপথে, এবং (১১) তাহার ভগিনী ডাঃ কুমারী যামিনী সেনের জীবনী । তদ্ভিন্ন তাহার বহু বচন। অপ্রকাশিত রহিয়াছে । ১৩s ০ বঙ্গাব্দের ১৪ই অশ্বিন, রাম মেচিন শতবার্ষিকীর এক অধিবেশনে সভানেত্রীত্ব করিবার সমণে তিনি অসুস্থ। হইয় পড়েন এবং কয়েক দিন ঘোরতর অসুস্থ থাকিয় ১৮ই অশ্বিন ( ২৭ শে সেপ্টেম্বর , পরলোক গমন করেন । কামি—ষ্টাছীর প্রকৃত নাম মীরজ। আলাউদ্দিন কজপিনী এবং কজবিন নামক স্তানের মীর । তিনি এহিয়াবিন আবদুল লতিফের পুত্র । "নকাইদ-উলমাদির’ নামক কবিদেম জীবনীকোষ তাঙ্গারই রচিত । এই গ্রন্থে প্রায় ৩৫ ০ জন কবির জীবনী বর্ণমালানুসারে লিখিত হইয়াছে এবং তাঁহাদের মধ্যে প্রায় সকলেই ভীর তীয় কব । এই গ্রন্থ সম্রাট আকবরের নামে উংসর্গ করা হইয়াছিল । তিনি ১৫ ৭৩ খ্রীঃ আবেদ ( f&: sレ> ) পরলোক গমন করেন । কায়েম জঙ্গ—১৭৪৩ খ্ৰীঃ অব্দে (হিঃ ১১৫৬ ) তাগার পিত। নবাব মহম্মদ খ। বঙ্গীশের মৃত্যুর পরে তিনি ফরাক্কাবাদের সিংহাসনে আরোহণ করেন।