\ყ(Y অসীম অtগ্রহ ছিল । তদানীন্তন জনমতের প্রতিকুলত করিয়া তিনি স্বীয় পৌত্ৰাদিগকে বেথুন স্কুলে প্রেরণ করেন । শিক্ষাবিস্তীর বিষয়ক সকল প্রকার কার্য্যেই তঁtহার উৎসাহ ও সহানুভূতি ছিল। বিদ্যালয়াদির পুরস্কার বিতরণ সভাতে উপস্থিত থকিয়া উৎসাহ বৰ্দ্ধন করিতেন । বেথুন বালিকা বিদ্যালয়, ওরিয়েণ্টল সেমিনারী (Oriental Sominary ) প্রভৃতি বিদ্যালয়ের পরিচালনা সভার তিনি একজন সদস্য ছিলেন । সাহিত্য চর্চায় তাঙ্গার যেরূপ উৎসাহ ছিল, জনসাধারণের সভা প্রভৃতিতে যোগদান করা ও র্তাহার সেইরূপ পীতির কার্য্য ছিল । প্রাতঃস্মরণীয় ডেভিড ছেয়ারের প্রতি র্তাহার অসীম শ্রদ্ধা ছিল । কয়েক বৎসর অনুষ্ঠিত ডেভিড স্মৃতিসভায় তিনি সভাপতির কাজ করেন । পুণ্যশ্লোক বেথুন সাহেবের স্মৃতিরক্ষার্থ তৎকালীন দেশীয় ও ইয়োরোপীয় শিক্ষিত এবং সন্ত্রান্ত ব্যক্তিগণ বেথুন çFitrifējs’ (Bethune নামে এক সাহিত্যসভা স্থাপন করেন । রাজা কালীকৃষ্ণ দেব ঐ সভার একজন বিশিষ্ট সদস্য ছিলেন এবং উহার অধিবেশনাদিতে উৎসাহের সহিত যোগদান করিতেন। দেখুন সোসাইটির অধিবেশন গুলিতে তৎকালীন গণ্যমান্ত ব্যক্তিগণ উপস্থিত 0 ל-ה Society) ভারতীয়-ঐতিহাসিক কালীকৃষ্ণ থাকিয়া প্রবন্ধাদি পাঠ, আলোচনা, বিতর্ক প্রভৃতি করিতেন । বহু উচ্চপদস্থ রাজ কৰ্ম্মচারী, প্রথিতযশা শিক্ষাব্ৰতী প্রভৃতি মনস্বীগণ ঐ অধিবেশন গুলির শোভাবৰ্দ্ধন করিতেন । রাজা কালীকৃষ্ণ বহুবার বেথুন সোসাইটির অধিবেশনে বক্তৃতা প্রদান, প্রবন্ধ পাঠ অথবা আলোচনায় যোগদান করেন । রাজনীতি ক্ষেত্রেও রাজা কালীকৃষ্ণ তৎকালীন অন্তান্ত মনস্বীগণের সহিত যথোচিত ভাবে যোগদান করিতেন । স্বভাবতঃ সহৃদয়তাগুণে তিনি প্রজার দুঃখকষ্ট লাঘবেরও চেষ্টা করিতেন । প্রসিদ্ধ সাংবাদিক ও দেশহিতৈষী গিরিশচন্দ্র ঘোষ যখন মতভেদ নিবন্ধন হিন্দু-পেটিয়টের সংশ্রব পরিত্যাগ করিয়৷ ‘বেঙ্গলী পত্র প্রকাশ করিতে আরম্ভ করেন, তখন কালীকৃষ্ণ র্তাহার পোষকতা করেন । গিরিশচন্দ্রের মৃত্যুর পর তিনি তাহার স্মৃতি রক্ষার জন্য বিশেষ চেষ্টা করিয়াছিলেন । তৎকালীন উচ্চপদস্থ রাজকৰ্ম্মচারীর রাজা কালীকৃষ্ণকে হিন্দুসমাজের নেতা বলিয়া স্বীকার করিতেন ও তদনুরূপ সন্মান প্রদর্শন করিতেন । জনহিতকর কার্য্যে উৎসাহ, জ্ঞানামুরাগ প্রভৃতি মহদগুণের জন্য তিনি সৰ্ব্বজনমান্ত ছিলেন । ১৮৪৮ খ্ৰীঃ অব্দে কলিকাতায় যে ‘মেসমেরিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত
