\సి উপর ন্তস্ত করেন। এই সকল কাৰ্য্য তিনি এরূপ সুচারুরূপে সম্পন্ন করেন যে, অতঃপর তিনি কৰ্ণেলের বন্ধুরূপে পরিগণিত হন । কয়েকজন পরিষদের কুপরামশে নবাব ওয়াজিদ আলি শাহ একবার লক্ষুে মানমন্দির উঠাইয়া দিবার প্রস্তাব লইয়া কালীচরণের সহিত সাক্ষাৎ করিলে, তিনি নবাবকে মানমন্দির ও জ্যোতিবিদ্যার প্রয়োজনীয়তা সুন্দররাপে ব্যাখ্যা করেন, ইহাতে নবাব প্রাত হইয়। তাষ্ঠীর প্রস্তাব প্রত্যাহার করেন । কর্ণেল উইলকক্সের মৃত্যুতে মানমন্দিরের তত্ত্বাবধানের ভরে ওগুণে সমর্থ পাক্তির অভাবে উহার দপ্তর উঠিয়া যায় এবং কালীচরণ র্তাহার আত্মীঃ লক্ষুে রেসিডেন্সীর ট্রেজারীর ভৈরবচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়ের নিম্নতম ন'য়েল খাজাঞ্চীর পদ প্রাপ্ত হন । ভৈরববাবুর মৃত্যু হইলে, কালীচরণ তাহার পদে উন্নীত হন । তিনি যখন এই পদে আসীন ছিলেন, সেই সময় সিপাহী বিদ্রোহ আরম্ভ হয়। বিদ্রোহের স্থত্রপাতে রাজস্ব রক্ষার জষ্ঠ নিজের প্রাণ বিপন্ন করিয়া ও তিনি যে সাহসের পরিচয় দিয়াছিলেন, তাহ বাস্তবিক প্রশংসার যোগ্য। র্তাহার এইপ্রকার রাজভক্তির জষ্ঠ সিপাহীগণের হস্তে তিনি সপ:িবারে অশেষরূপে লাঞ্ছ৩ ও উৎপীড়িত ভারতীয়-ঐতিহাসিক কালীচরণ হন । অবশেষে অশেষ দুঃখ দুর্দশার মধ্যদিয়া কালীচরণ সপরিবারে এলাহাবাদে তাহfর পিতৃভদনে আসিতে সমর্থ হন । অতঃপর তিনি লক্ষে হইতে কণিপুরে প্রেরিত রাজস্বের ভার গ্রহণ করিতে তদীয় উৰ্দ্ধতন কৰ্ম্মচারী মাটিন সাহেব কর্তৃক আদিষ্ট হন । এই কাৰ্য্যভার গ্রহণের কিছুদিন পরেই তিনি তাহীর ভ্রাতৃদ্বয় সহ অবসর গ্রহণ করেন । কিন্তু মাটিন সাহেব লক্ষ্মেণএর কালেক্টররূপে কানপুর হইতে বদলী হইলে, তাই রিই সনিৰ্ব্বন্ধ অনুরোধে লক্ষ্মেী এর দপ্তর ও তইশীল পুনর্গঠন ও মুনিয়ন্ত্রণের ভার গ্রহণ করেন । অতি অল্প সময়ের মধ্যেই এই দুরূহ কাৰ্য্য তিনি অতি সুচারুরূপে সম্পন্ন করেন । ইহাতে উচ্চ রাজকৰ্ম্মচারীমহলে তাঁহার প্রভাব প্রতিপত্তি বিস্তার লাভ করিল। ইহাতে ট্রেজারি অফিসারকে তাহার প্রতি ঈর্যান্বিত দেখিয়া কালীবাবু পদত্যাগ করেন। তাহার কৰ্ম্মজীবনে তিনি তাহার উদ্ধতন কৰ্ম্মচারীগণের যথেষ্ট বিশ্বাস ও প্রীতিলাভে সমর্থ হইয়া ছিলেন। এমন কি জেনারেল আউটরাম, স্তার হেনরী লরেন্স প্রভৃতি উচ্চ রাজপুরুষগণ র্তাহার প্রতি গুণমুগ্ধ বন্ধুর ন্তীঃ ব্যবহার করিতেন । কাৰ্য্য হইতে অবসর গ্রহণ করিয়া যখন তিনি কাশীতে অবস্থান করিতে•