a" নাম শ্ৰীনাথ রায় চৌধুরী, তাহার পিতার সম্পত্তি ভিন্ন পিতৃব্য গোপীনাথ ও তাহার যাবতীয় সম্পত্তি উইল করিয়া কালীনাথকে দান করিয়া যান । এই উইল অনুযায়ী সম্পত্তি ঘটিত সকল ব্যাপারে দ্বারক নাথ ঠাকুর তাহাকে পরামর্শ দানে সহায়তা করিতেন । কাল্পীনাথ অতিশয় দানশীল ছিলেন। তিনি টাকীতে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও লক্ষ টাকা ব্যয়ে টাকী হইতে সৈয়দপুর পর্যাস্ত একটি প্রশস্ত রাজপথ নিন্মাণ করান । গ্রামের মধ্যেও তিনি কয়েকট রাস্তা, বরাহনগরে একটা পুষ্করিণী ও এক অতিথিশালা প্রস্তুত করল । তিনি মুগায়ক ছিলেন ও বিদ্যাসুন্দর পালা গান রচনা করেন । রাজ রামমোহন রায়ের সমাজ সংস্কারমূলক কৰ্ম্মসমূহের ও তিনি সহায়ক ছিলেন । ১৮৪০ খ্ৰীঃ অধোঁ পর কালীনাথ রায় চৌধুরী পরলোক গমন করেন । র্তাহীর দুই কন্যা – ভুবন মোহিনী ও বিন্ধাবাসিনী এবং চারি সহোদর – বৈকণ্ঠনাথ, মথুরনাথ, হরিনাথ ও কৃষ্ণ নাথ, স্ত্রীও কন্যাদ্বয়ের ব্যবস্থা করিয়া, মৃত্যুকালে কালীনাথ তাহার সমস্ত সম্পত্তি উইল করিয়া সহোদরগণকে অপণ করেন । কালীনারায়ণ গুগু—ঢাকা জেলার অস্তঃপাতী আী কানগর গ্রামে ১৮ ও ৩ ভারতীয়-ঐতিহাসিক কালীনারায়ণ খ্ৰীঃ অব্দে কালীনারায়ণের জন্ম হয় । তিনি সুধারাম সেন ও যশোদা দেবীর কনিষ্ঠ পুত্র । মহেশ্বরদি পরগণার ভাটপাড়া গ্রামের প্রসিদ্ধ গুপ্ত বংশের মহীন্দ্রনারায়ণ গুপ্তের বিধবা পত্নী ভাগীরথী দেবী কালীনারায়ণকে দত্তকরূপে গ্রহণ করেন । বাল্যকাল হইতেই কালীনারায়ণ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় প্রদান করেন । মাতামহ ব্রজকিশোর দাসের নিকট বাঙ্গলা শিক্ষা সমাপ্ত করিয়া তিনি কিছুকাল রাধাকান্ত ভট্টাচার্য্যের টোলে সংস্কৃত অধ্যয়ন করেন ও পরে ফাংশ ও উর্দু, পাঠ শেষ করিয়া ময়মনসিংহ গমন করেন ও সেখানে খুল্ল তাত ইরিশচন্দ্র রায়ের গৃহে আপস্থান করিয়া ময়মনসিংহ ইংরেজী স্কুলে ভৰ্ত্তি হন ; কিন্তু অভিভাবকগণের মতের পরিবর্কনে ও বৈষয়িক ব্যাপারে বাধ্য হইয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষণ পদ্ধ করিতে হয়। ত্রয়োদশ বর্ষ বয়ঃক্রম কালে পাচদোনা গ্রামের মাধবরাম সেনের কণ্ঠ অন্নদা দেবীর সহিত তাহার বিবাহ হয় । বtলক কালীনাংtয়ণ স্বামীর দায়ীত্ব হৃদয়ঙ্গম করিয়া বালিকা পত্নীর শিক্ষার ভার গ্রহণ করেন; অন্নদাও পতিশিক্ষাগুণে ধীরে ধীরে সহধৰ্ম্মিণী নামের যোগ্য হন । বিবাহের কিছুকাল পরে কালীনারায়ণ ময়মনসিংহ জেলার উথরাণtল গ্রামের জগদানন্দ ভট্টাচার্য্যের নিকট শক্তিমন্ত্রে
