পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালুয় দেব আবেদ রামনাররিণ ও জয়নারায়ণ নামে দুই পুত্র রাখিয়া, কালীশঙ্কর ৯০ বৎসর বয়সে কাশীতেই পরলোক গমন করেন। এই রামনারায়ণ ও জয়নারায়ণ হইতেই নড়াইলের জমীদারবংশ দুইভাগে বিভক্ত হইয়াছে। কালীশঙ্কর বিবিধ গুণ ও অসাধারণ প্রতিভা বলে মৃত্যুকালে স্বেপার্জিত বিপুল ভূসম্পত্তি রাখিয়৷ एन । কালুয়া দেব-তিনি উড়িষ্যার রাজা প্রতাপরুদ্রের ( ১৪৯৮-১৫৪২ খ্রী: ) জ্যেষ্ঠ পুত্র । তিনি মাত্র এক বৎসর পাঁচ মাস রাজত্ব করেন । তৎপরে র্তাহীর ভ্রাতা কথারুদেব রাজ ইন | প্রতাপরুদ্র দেখ | কালু ভূঞা – মেদিনীপুর জেলার অস্তঃপাতী তাম্রলিপ্ত রাজ্যে ক্রমান্বয়ে যে তিনটী রাজবংশ রাজত্ব করেন, ইনি তাহাদের দ্বিতীয় কৈবৰ্ত্তবংশের প্রতিষ্ঠাতা । তিনি উড়িষ্যা হইতে অt iমন করিয়া তাম্রলিপ্ত অধিকার করেন এবং উড়িষ্যা হইতে কতিপয় স্বজাতিকে তাম্রলিপ্তে আনাইয়া ভূসম্পত্তি দানে তথায় তাহাদিগকে বসতি স্থাপনে সহায়তা করেন । র্তাহার পর ভাঙ্গর ভূইঞ তাম্রলিপ্তের সিংহাসনে আরোহণ করেন । ১৪০৩ খ্ৰীঃ অব্দে ভাঙ্গর ভূইঞার মৃত্যুর পর কৈবৰ্ত্তবংশের অবদান হয় । কৈবৰ্ত্ত রাজার বঙ্গে এক সময়ে প্রবল ছিলেন । জীবনী-কোষ ఫిe কালু শাহ—তিনি মূলতানের অধিপতি ছিলেন। জয়শল্মীরের রাজ চাচিকদেব তাহার সহিত যুদ্ধ করিয়া পরলোক বাসী হন। চাচি কদেবের অন্যতম পুত্র কুম্ভ এই পিতৃহন্ত কালু শাহকে গোপনে হত্যা করিয়া তাহার ছিন্ন মস্তক ভ্রাতৃগণকে উপহার দিয়া ছিলেন । কাশিম আলী খাঁ, নবাব, মীর— সাধারণতঃ তিনি মীরকাশিম নামে খ্যাত । তিনি নবাব জাফর আলী খার ( মীর জাফরের ) জামাতা ছিলেন । ইংরেজ সরকার তাহার ক্ষমতায় সন্তুষ্ট হইয়া, ১৭৬০ খ্ৰীঃ আবে তাহকে বঙ্গদেশের নবাবী পদ প্রদান করেন । তিনি মুঙ্গেরে তাহার রাজধানী স্থানান্তরিত করেন । তাহার শ্বশুর মীর জাফর খ৷ অতি আকৰ্ম্মণ্য নবাব ছিলেন । পলসী যুদ্ধের পর মীরজাফর রাজ্যলোভে ইংরেজ বণিককে বহু অর্থপ্রদান করিতে প্রতিশ্রুত হইয়াছিলেন। র্তাহার ধারণ ছিল রাজ্যলাভ করিয়া সিরাজের রাজকোষে প্রচুর অর্থ প্রাপ্ত হইবেন । কিন্তু রাজকোষ প্রায় শূন্ত ছিল । সুতরাং প্রতিশ্রুত অর্থ তিনি ইংরেজ বণিককে দিতে সমর্থ হন নাই এবং স্বীয় সৈন্ত গণের বেতনও বাকী পড়িয়া গেল । ইংরেজ অধ্যক্ষগণ মীর কাশিমের অর্থে বশীভূত হইয়া দেশের দুরবস্থার প্রতিকর ব্যপদেশে মীর কাশিমকে মসনদে বসাইয়। মীর জাফরকে সিংহাসন হইতে