588s ব্যবসায় মহলে মহা সৰ্ব্বনাশের স্বষ্টি কfরল । ফলে প্রেমচাঁদ প্রমুখ বহু কোটাপতি প্রায় পথের ভিখারী হইলেন। পূৰ্ব্বে যে সকল ব্যাঙ্ক বা অন্ত দ্য প্রতিষ্ঠান -প্রেমৰ্চাদকে, মুথের কথায় লক্ষ লক্ষ টাকা দিতে কুষ্ঠিত হইতেন না ত:হীরা এখন এক কপর্দক ও বিশ্বাস করিয়া তাহাকে দিতে সন্মত হইলেন না । কেবল দুইটি ব্যাঙ্ক তঁtহfর সত্তত ও ব্যবসায় বুদ্ধির উপর নির্ভর করিয়া র্তাহীকে অর্থ সাহায্য করিতে সম্মত হইলেন । কিন্তু তাহীতেও বিশেষ কিছু হইল না । ১৮৩৬ খ্ৰীঃ অব্দের এপ্রিল মাসে তাহার দেনা পা ওনার অবস্থা চরমে পৌছিল । তিনি উপ য়ী স্তর না দেখিয় নিজের সমস্ত মণিমুক্ত ও জহরতাদি গচ্ছিত রাখিয়া এক ব্যাঙ্কের নিকট পচিশ লক্ষ টাকা ঋণ চাহিলেন । কিন্তু এই দুর্দিনে বাtঙ্ক বিশ্বাস কয়িয় তাহীকে টাকা দিল না। ফলে কয়েক মাস পরে বাধ্য হইয়। দেউলিয়া আদালতের আশ্রয় লইলেন । আদালত হইতে র্তাহার দেন। পা ওনার হিসাব মিটাইবার জন্য তিনজন আছি নিযুক্ত করিলেন। সেই সমরে তাতার যাহা কিছু স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি ছিল সব উত্তমণদিগকে ঋণের অনুপাতে বণ্টন করিয়া দেওয়া হইল এবং অবশিষ্ট ঋণের দায় হইতে আদালত তাহাকে মুক্তি দিলেন >v)ー>vペ ভারতীয়-ঐতিহাসিক প্রেমচাদ প্রেমচাঁদের পতনের সঙ্গে সঙ্গে ওঁfহfর ন্যায় অfর ও অনেক ব্যবসায়ী পথের ভিখারী হন । হিসাব করিয়। দেখা যায় আমেরিকার গৃহ যুদ্ধের পূৰ্ব্বে বোম্বাই এর ঘরে যে টীকা ছিল, তাত হইতে প্রায় চৌদ্দ কোটী টীকা ক্ষতি হইয়া গেল । এই ভাবে কয়েক বৎসর যাইবার পর পুনরায় ১৮৭৩ খ্ৰীঃ আব্দ হইতে শুভ স্থচনা দেখা দিল । ক্রমে আমদানী রপ্তানী বৃদ্ধি পাইতে লাগিল। যে তুলার ব্যবসায়ে বোম্বাই বাসীদের চোঁদ কোটী টfক ক্ষতি হইয়াছিল নুতনভাবে সেই তুলার ব্যবসায়ই আবার বোম্বাই' বাসীর ধনাগমের উপায় স্বষ্টি করিল। প্রেমচাঁদ ও পুনরায় নুতন উদ্যমে ব্যবসায়ে অবতীর্ণ হইলেন এবং ধীরে ধীরে নুতন ভাবে ব্যবসায় গড়িয়া তুলিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন । কিন্তু বয়েবুদ্ধির সহিত র্তাহার পূর্ব কৰ্ম্মক্ষমত। অনেকট। হ্রাস পাইয়tfছল । সেজন্য আর কারবার বহুবিস্তৃত হয় নাই । পূর্বের তুলনায় সীমান্ত কারবারেই তিনি সন্তুষ্ট রহিলেন । এইভাবে কয়েক বৎসর পরিবর্তিত অবস্থার মধ্য দিয়! জীবন অতিবাহিত করিয়৷ ১৯১৮ খ্ৰীঃ অব্দের জুলাই মাসে সত্তর বৎসর বয়সে তাহার দেহান্ত হইল । সৌভাগ্যের প্রথম পর্বে শেঠ প্রেমচাদ যেরূপ অজস্র অর্থ উপার্জন
