পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-পঞ্চম খণ্ড.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$8(సి) তক্ষশিলা, মথুরা, শঙ্কাগু, কান্ত কুজ, কপিলাবস্তু, শ্রাবস্তী, বুদ্ধগয়া, রাজগৃঙ্গ, তাম্রলিপ্তি প্রভৃতি প্রসিদ্ধ নগর সমূহ পরিদর্শন করেন । প্রায় সমুদয় প্রসিদ্ধ বৌদ্ধ-প্রধান স্থানে তিনি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের শাস্ত্র, বিশেষভাবে বিনয়পিটক অধ্যয়ন করেন । সুদীর্ঘ ছয় বৎসরকাল উত্তর ভারতের প্রায় সমুদয় বিখ্যাত স্থান সমূহ পরিদর্শন করিয়া এবং আবগুকামুযায়ী বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে বাস করিয়া শাস্ত্রাদি অধ্যয়ন পূৰ্ব্বক তিনি বঙ্গদেশের অন্তর্গত তাম্রলিপ্তি হইতে পোতারোহণে সিংহলে গমন করেন । তথ{য় ও কতিপয় বর্ষ অবস্থান পূর্বক শাস্ত্ৰtiদ অধ্যয়ন করিয়া প্রায় পনের বৎসর পরে তিনি স্বদেশ যাত্র। করেন । পথে তিনি যা দ্বীপে পাঁচ মাস অবস্থান করেন । এইভাবে নানারূপ অবস্থা বিপৰ্য্যয়ের মধ্য দিয়া তিনি ৪১৪ খ্র ঃ আবেদ স্বদেশে উপনীত হন । চীন সম্রাট র্তাহীকে পরম সমাদরে গ্রহণ করেন । জীবনের শেষ কয়েক বৎসর তিনি রাজামুগ্ৰহে, ন্যানকিং সহরেই বাস করেন । এই তীর্থ ভ্রমণে তিনি যে অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান অর্জন করিয়াছিলেন, স্বদেশে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিয়। তিনি ধৰ্ম্মের উন্নতি ও সংস্কার কার্য্যে নিয়োগ করেন। ভারতবর্ষ ও সিংহল হইতে তিনি অনেক পুথি সংগ্ৰহ করিয়া লইয়া যান। डांब्रडौञ्च-भेडशंगिक ফাছিয়ান র্তাহীদের মধ্যে কয়েকখানি তিনি চীন ভাষায় আমুবাদ ও করেন । ফা-হিয়েন ভারতের বিভিন্ন স্থানে গমন করিয়। যাহা কিছু দেখিয়াছিলেন বা শুনিয়াছিলেন সে সমুদয়ের বিস্তৃত বিবরণসহ নিজের ভ্রমণ কাহিনী লিপিবদ্ধ করেন। ঐ যুগে, ভারতবর্ষের ই তষ্ঠাস আলোচনার পক্ষে পু ; কখানি অপরিহার্য্য । তাহার বিবরণী হইতে জানা যায় যে তখন ভারতবর্ষের সৰ্ব্বত্রই প্রায় বৌদ্ধধৰ্ম্মের বিশেষ প্রভাব ছিল । ধরিতে গেলে বৌদ্ধধৰ্ম্মই তখন ভারতের প্রধান ধৰ্ম্ম হইয়াছিল। ফাfহয়েন তঁ, হরি ভ্রমণ কাহিনীতে গুপ্তরাজদিগের শাসন প্রণালীর মুন্দর বিবরণ দিয়াছেন। তাহা হইতে জানা যায় .য গুপ্তরাজগণ বৈষ্ণব মতাবলম্বী হইলে ও বৌদ্ধদের প্রতি অত্যাচার কfরতেন না । তাহার সময়ে মগধদেশের নগরগুলি উত্তরাপথের মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষা বৃহত্তম ছিল । তিনি বৈশালী পাটলীপুত্র, রাজগৃহ, গয়া প্রভৃতি প্রধান বৌদ্ধতীর্থ সমূহ দৰ্শন করিয়াছিলেন । রাজধানী পাটলীপুত্র নগরের ঐশ্বৰ্য্যদর্শনে তিনি fবস্মিত ও মুগ্ধ হইয়াছিলেন । গুরুভার বৃহদাকার পাষাণখণ্ড নিৰ্ম্মিত মৌর্য্য সম্রাট অশোকের প্রাসাদ তখনও ধ্বংস হয় নাই । সেই পাষাণখণ্ড সমূহ যোজন ও যথাস্থানে সংস্থাপন তৎকালে