SᏋᏑ ☾ হয় নাই । অতঃপর মাসিক অtট টীকা বৃত্তি পাইয়া তিনি উচ্চতর( College ) বিভাগের চতুর্থ শ্রেণীতে (বৰ্ত্তমানে যাহাকে প্রথম বার্ষিক শ্রেণী বলে) ভৰ্ত্তি হন। এক বৎসর পরে পুনরায় একটি *** (Senior Scholarship Examination) দিয়! আবার এক বৎসরের জন্ত মাসিক আট টাকা বৃত্তি পাইলেন। পরবর্তী ৰৎসরও (১৮৫৬ খ্ৰীঃ এপ্রিল মাসে ) পরীক্ষণ দিয়া তেরজন প্রতিযোগীর মধ্যে তিনিই একেল সাফল্য লাভ করিয়া দুই বৎসরের জন্ত মাসিক ১০২ টাকা করিয়া বৃত্তির অধিকারী হন। সেই বৎসরের পরীক্ষাতে হুগলী কলেজের ছাত্রদের মধ্যে তিনিই কেবল সকল বিষয়ে সৰ্ব্বোংকৃষ্ট ফল করিতে সমর্থ হন । কলেজ বিভাগের দ্বিতীয় শ্রেণীতে (বৰ্ত্তমান ব্যবস্থার তৃতীয় বার্ষিক শ্রেণী) অধ্যয়ন করিবার সময়েই ( ১৮৫৬ খ্ৰীঃ, জুন ) তিনি হুগলী হইতে প্রেসিডেন্সী কলেজে আসিয়া ভৰ্ত্তি হন। বোধ হয় কলেজের অন্যান্ত পাঠের সঙ্গে সঙ্গে আইন বিভাগেও পড়া চলিতে পরিবে, এই আশায় তিনি হুগলী কলেজ পরিত্যাগ করেন । হুগলী কলেজে অধ্যয়ন করিবার সময়েই বঙ্কিমচন্দ্র প্রখ্যাতনামা ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত সম্পাদিত ‘সংবাদ প্রভা কর” পত্রিকায় কবিতা লিখিতে থাকেন। সেই সময়েনাট্যকার দীনবন্ধু মিত্র ও দ্বারক ভারতীয়-ঐতিহাসিক বঙ্কিম নাথ অধিকারী নামক এক ব্যক্তি ও প্রভা করে কবিতা লিখিতেন। তাছাদের মধ্যে পরস্পর আলাপ ছিল না এবং সাক্ষাতের ও কোনও সম্ভাবনা ছিল না । দীনবন্ধু তখন কৃষ্ণনগর কলেজের ছাত্র ছিলেন । কিন্তু প্রভাকরের মধ্যস্থতtয় র্তাহীরা পরস্পরের প্রতি অনুরাগী হইয় উঠেন । হুগলী কলেজে পড়িবার সময়ে বঙ্কিমচন্দ্র প্রভাকরের কবিতা প্রতিযোগী তায় যোগদান করিয়া ‘কামিনীর প্রতি উক্তি’ শীর্ষক একটি কপিতা রচনা করেন এবং উহার জঙ্গ কুড়ি টাকা পুরস্কার লাভ করেন । রঙ্গপুর জিলার তুষভাণ্ডারের জমিদার রমণীমোহন রায়চৌধুরী ও কুওরি জমি দীর কালীচন্দ্র রায় চৌধুরী ঐ টাক। প্রদান করেন । সংবাদ প্রভাকরে বঙ্কিম, দীনবন্ধু ও দ্বারকানাথের যে সকল কবিতা প্রকাশিত হইত সেইগুলিই সাধারণতঃ রচনা প্রতিযোগীতা অথবা ‘কালেfজয় কবিতা যুদ্ধ’ নামে সাহিত্যে পরিচিত । সংবাদ প্রভা করে বঙ্কিমের কিছু গদ্য রচনাও প্রকাশিত হইয়াছিল । এবং এই সময়ের মধ্যেই তাহার প্রথম কবিতা গ্রন্থ ‘ললিতা” প্রকাশিত হয়। প্রভt করে তিনি সকল সময়ে স্বনামে কবিতা লিখিতেন না । কখনও বা নামের আদ্যক্ষর মাত্র ( যেমন ত্রব, চ, চ) দিতেন কখনও একাৰ্থ বোধক ভিন্ন বাক্য সংবলিত
