বাজীরাও গন্ন হন এবং তাহার নিকট সৰ্ব্ব প্রকার সাহায্য প্রার্থনা করেন । বোম্ব (ইএর শাসনকৰ্ত্ত প্রাথমিক সাহায্য প্রদান করিয়া, বড়লাটের নিকট কৰ্ত্তব্য নিদ্ধরণের জন্ত উপদেশ চাইয়া পাঠাইলেন। বড়লাট লর্ড ওয়েলেসলী মারাঠাদের এই অস্তুবিবাদের সব্ব প্রকার সুযোগ গ্রহণ করিতে মনস্ত কfরলেন । তিনি লিখিলেন যে বোম্বাই এর কর্তৃপক্ষ যেন বাজীরা শুকে সৰ্ব্ব প্রকারে সাহায্য করেন এবং তাহার সহিত নুতনভাবে সন্ধি করেন । তখন সেই বৎসর ডিসেম্বর মাসে ইংরেজদের সহিত বাজীরা ও এর নুতন সন্ধি হইল ; বাজারা ও ইংরেজদিগকে রাজ্যের কিয়দংশ ছাড়িয়া দিতে সম্মত হইলেন এবং তাহারাও বিনময়ে বাঙ্গীরাওকে সকল প্রকার শত্রুর আfক্রমণ হইতে রক্ষা করিবার জন্ত সাহায্য করিতে প্রতি এ ত হইলেন । এই সন্ধির ফলে বাজীরাও বহুল পরিমাণে ইংরেজদের অধীন হইয়া পড়িলেন। হেলিকার চারিদিক পৰ্য্যালোচনা করিয়া স্ব-রাজ্যে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিলেন। ১৮•৩ খ্রীঃ আন্দের ৩রা মে বাজীরা ও পুনরায়, ইংরেজদের সহায়তায় পেশোয়ার গদীতে আরোহণ করিলেন । এই সময়ের মধ্যেই ইংরেজদের লহিত যুদ্ধে টিপু সুলতান পরাজিত ও নিহত হন। যুদ্ধের পূৰ্ব্বে, টিপু গোপনে বাজীরাও এর সাহায্য লাভের চেষ্টা জীবনী-কোষ >Qや8 করেন । ১৭৯০ খ্ৰীঃ মধেীর ‘ত্ৰিশক্তির fola’ (Policy of Triple Alliance) নীতির ফলে পেশোয়। ইংরেজ দিগকে সাহায্য কfরতে বাধ্য ছিলেন । নানা ফড়নবীস যতদিন বাজীরা ওএর মন্ত্রী ছিলেন, ততদিন টিপু সুলতান বিশেষ কিছু মুবিধা করিতে পারেন নাই । কিন্তু বাজীরা ও টিপু সুলতানকে সাহায্য করিতেই উৎক্ষক ছিলেন । পুৰ্ব্বে উল্লিখিত নানারূপ ঘটনা বিপর্যায়ের জন্য শেষ পর্যন্ত কিছুই হইয়া উঠে নষ্ট । পেশোয়ার পদ লইয়া মারাঠাদের মধ্যে যে যুদ্ধ বিগ্রহ চলিতেছিল, তাহার মধ্যে প্রবেশ করা, তদানী স্তন বড়লাটের প্রথমে আদৌ ইচ্ছা ছিল না । ইংরেজের বাস্তব পক্ষে তখন এবিষয়ে নিক্ৰিয়নীতি অবলম্বন করিয়াছিলেন। বাজার ও স্বয়ং যদি যাচিয়। ইংরেজদের সাহায্য না লইতে যাইতেন, তাহ। হুইলে এই সব বা পরে ইংরেজের । খুব আগ্রহের সহিত যুক্ত হইতেন না । শেষের দিকে অবগু ইংরেজদের এই মনোভাপের পরিবর্তন হয় এবং ফরাসীদের সহিত যুদ্ধে নিজাম, মারাঠা প্রভৃতি দেশীয় ক্ষমতাশালী নরপতি সমূহের সাহায্য পাইবার জন্য র্তাহারা উৎসুক হন। সেই কারণেই বাজীরা ও ইংরেজদের সাহায্য লাভ করিতে বিশেষ অসুবিধ। বোধ করেন নাই । ১৭৯৯ খ্ৰীঃ অব্দে পেশোয়ার সহিত ইংরেজদের
