পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-পঞ্চম খণ্ড.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রভাপচন্দ্র কুচবিহারের নাবালক রাজার সহিত কেশবচন্দ্রের কন্যার বিবাহ লইয়া ব্রাহ্ম সমাজে ঘোরতর আন্দোলন উপস্থিত হয়, তাহাতে প্রতাপচন্দ্র বিশিষ্ট ভূমিকা গ্রহণ করিয়াছিলেন । কেশবচন্দ্রের সঙ্গে প্রতাপবাবু এক সময়ে সমাজ সংস্কার ও লো কহিত কর কার্য্যে ও সবিশেষ অনুরাগী হইয়াছিলেন । কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে ভূতপূৰ্ব্ব ছোটলাট চলিস ইলিয়টের যোগে fef Society for the IHigher Training of Young men. (3 ĝifa ইউনিভারসিটি ইনষ্টিটিউট ) নামক যুবকদের উন্নতি বিধায়িনী সভা স্থাপন করেন । সম্ভবতঃ বাহিক কৰ্ম্ম সাধন অপেক্ষা চিন্তা ও অধ্যয়নেই তাহার অধিকতর অমুরগি ছিল । শেষ জীবনে নির্জন তাই তাহার সাময়িক প্রিয় হইয়া ছিল । বাৰ্দ্ধক্য ও পীড়াতে বহুদিন পূৰ্ব্বেই তাহার স্বাস্থ্য ভঙ্গ হইছিল। রোগশয্যায় পড়িয়াও তিনি আশীষ নামক র্তাহার শেষ গ্রন্থখানি সম্পূর্ণ করিয়া গিয়াছেন। মৃত্যুর কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বেও কলিকাতা অ্যালবার্ট হলে ( কৃষ্ণবিহারী সেন অথবা ব্ৰহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র সেন দেখ ) রবিবাসরিক সম্মিলিত উপাসনা মণ্ডলীতে উপাসনা করিতেন । প্রতাপচন্দ্র উচ্চশ্রেণীর বাগী ছিলেন। দেশে বিদেশে তাহার উদাত্ত বক্তৃতীয় জীবনী-কোষ >N○もや শত শত নরনারী মুগ্ধ হইতেন । শিকাগো ( Chicago) ধৰ্ম্ম মহাসম্মিalolo (Parliament of Religion ১৮৯৩ খ্ৰীঃ অদ ) তাহার ওজস্বিনী বক্তৃতা যে কিরূপ গভীর প্রভাব বিস্তার করিয়াছিল, তাহার কথঞ্চিৎ পরিচয় তৎকালীন পত্রিকা আদিতে 2१g ॐ 3श; १ : । শেষ জীবনে ত{হার স্বাস্থ্য ভগ্ন হয় । দীর্ঘকাল রোগশয্যায় শয়ন থাকিয়া ১২১২ বঙ্গাব্দের জ্যেষ্ঠ মাসে ( ১৯০৫ খ্রীঃ মে ) তিনি পরলোক গমন করেন । কলিকতাস্থ সাকু লার রোডে কেশবচন্দ্রের বাসভবনের পার্শ্বে তিনি শাস্তিকুটীর নামে নিজ বাসভবন নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন । তিনি নিঃসন্তান ছিলেন । প্রতাপচন্দ্র রায়, সি-আই-ই— একজন সাহিত্যসেবী। তিনি মহাভারত, হরিবংশ, শ্ৰীমদ্ভাগত ও রামায়ণের বঙ্গানুবাদ ও মহাভারতের ইংরেজী অনুবাদ করেন । ১৮৯৫ খ্ৰীঃ আদের ১৫ই মার্চ বৰ্দ্ধমান জেলার অন্তর্গত সাকে। নামক গ্রামে উগ্রক্ষত্রিয় কুলে তাহার জন্ম হয় । তাহার পিতার নাম রামজয় রায় ও মাতার নাম দ্রবময়ী। তাহার জন্মের দুই মাস পরেই তাহার মাতার মৃত্যু হয় এবং তিনি কৃষ্ণমণি নামক এক বিধবীর দ্বারা প্রতিপালিত হন । র্তাহার পিতার অর্থিক অবস্থা অতিশয়