बांल १छांशद्भ এই সময় হইতে ১৯০৫ খ্ৰীঃ অব্দে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন আরম্ভ না হওয়৷ পর্য্যস্ত কংগ্রেসের কার্য্য পদ্ধতিতে তিলক খুব বেশী প্রভাব বিস্তার করিতে পারেন নাই, পূৰ্ব্বেই উহার কারণ উল্লিখিত হইয়াছে । তিনি অবশু ংগ্রেসের সহিত সম্পর্ক ছিন্ন করেন নাই। প্রায় প্রতি অধিবেশনেই উপস্থিত থাকিয় তাহার বক্তব্য সকলের নিকট উপস্থিত করিতেন। কিন্তু তাহার মতামুগাব্যক্তির সংখ্যা অত্যন্ত কম থাকাতে র্তাহাদের সমুদয় চেষ্টাই প্রায় অরণ্যে রোদনের ন্তায় নিষ্ফল হইত। কিন্তু যতই দিন যাইতে লাগিল ততই র্তাহার অনুগামীদিগের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়িতে লাগিল । ১৯০২ খ্ৰীঃ আদে লর্ড কার্জন ভারতের প্রধান *imaviči (Governor General) হইয়। অসিলেন । র্তাহার শাসনকালে নানা বিষয়ে উন্নততর প্রথা প্রবর্তিত হইলেও মোটের উপর দেশে বিশেষভাবে শিক্ষিত লোকের মধ্যে —অশান্তি বাড়িয়াই চলিয়াছিল ; বঙ্গবিভাগ সংঘটিত হইলে যে ভীষণ আন্দোলন উপস্থিত হইয়াছিল তাহা প্রথমে বাঙ্গালাদেশে আরম্ভ হয়। অন্তান্ত প্রদেশের বিশিষ্ট নেতার মধ্যে অতি অল্প লোকেই এই আন্দোলমের প্রতি সহানুভূতি দেখাইয়াছিলেল। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় তাহাদের জীবনী-কোৰ 8מצ\b মধ্যে অনেকে উহার প্রতি বিরূপভাবই প্রদর্শন করিয়াছিলেন। বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরাই ধরিতে গেলে প্রথম ব্যাপকভাবে এমন একটা কিছু করিতে আরম্ভ করেন, যাহার সহিত তিলকের সম্পূর্ণ সহানুভূতি ছিল। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের মধ্যে "কথার’ সহিত ‘কাজ’ও ছিল । বিলাতী বর্জন (Boycott) আন্দোলনই ছিল সেই কাজ । কৰ্ম্মবীর তিলক এইবার নিজের মনের মত কৰ্ম্মীর সন্ধান পাইয়। অত্যন্ত উৎফুল্ল হইলেন । বাঙ্গালাদেশের নেতাদের প্রতি তিনি সৰ্ব্বপ্রকারে সহানুভূতি দেখাইতে লাগিলেন। তিনি বাঙ্গালীদের এই ‘বর্জন” আন্দোলনটিকে একটা সৰ্ব্ব-ভারতীয় আন্দোলনে পরিণত করিবার প্রাণপণে চেষ্টা করিতে লাগিলেন । কিন্তু তথতও পর্য্যন্ত কংগ্রেসের আভ্যন্তরিক ব্যবস্থার উপর বিশেষ প্রভাব জন্মে নাই । তথাপি তিনি চেষ্টা করিতে লাগিলেন যে কংগ্রেস যেন এই ‘বর্জন” আন্দোলনটিকে তাহার মূলনীতি স্বরূপ :গ্রহণ করে। র্তাহার এই প্রচেষ্টার সহিত বাঙ্গালাদেশের বিপিনচন্দ্র পাল, অরবিন্দ ঘোষ, পঞ্জাবের লালা লাজপৎ রায়, বোম্বাই প্রদেশের গণেশ থাপার্দে, মাদ্রীজের মুব্রহ্মণ্য আইয়ার প্রভৃতির বিশেষ সহানুভূতি ও যোগ ছিল। ১৯০৫ খ্ৰীঃঅব্দে বারাণসী নগরে অনুষ্ঠিত
