১৬৪৭ বিক্রম চন্দ–তিনি কমায়ুনের চন্দবংশীয় নরপতি হরিচন্দের পুত্র । তিনি ১৪২৪—১৪৩৮ খ্ৰীঃ অব্দ পর্য্যন্ত রাজত্ব করেন । তৎপরে তাহার পুত্র ভারতী চন্দ রাজা হইয়াছিলেন । বিক্রম চোড় —(১) অষ্ঠ নাম পরকেশরী বৰ্ম্ম । তিনি পুৰ্ব্ব চালুক্যবংশীয় নরপতি কুলতুঙ্গ চোড় দেবের পুত্র । তিনি ১১০৮ হইতে ১১২৭ খ্রী: অন্দ পর্য্যন্ত রাজত্ব করেন । তৎপরে র্তাহার পুত্র, দ্বিতীয় কুলতুঙ্গ চোড়দেব রাজত্ব করেন । বিক্রম চোড়–(২) অন্ত নাম পিক্রম রুদ্র । তাহার পিতার নাম প্রথম রাজপরেও । তিনি ১১২৮ খ্ৰীঃ অব্দে কণমণ্ডলের অধিপতি ছিলেন । বিক্রম জিৎ— সাধারণতঃ তিনি বিক্রমাদিত্য নামে পরিচিত । তিনি মিবারের রাণ সঙ্গের অন্ততম পুত্র । রাণ সঙ্গ বা সংগ্রাম সিংহ ১৫৩০ খ্ৰীঃ অবো পরলোক গমন করিলে তাহার পুত্র রাণ রত্ন সিংহাসনে অtরোহণ করিয়া মাত্র পাঁচ বৎসর রাজত্ব করিয়া ছিলেন । রাণা রত্বের মৃত্যুর পরে র্তাহার অমুজ রাণ। বিক্রমাদিত্য ১৫৩৫ খ্ৰীঃ আবেদ সিংহাসনে আরোহণ করেন । তিনি রাণ রত্বের ন্যায় সদগুণান্বিত ও বিচক্ষণ নরপতি ছিলেন না। তিনি ক্ষমাহীন ও প্রতিহিংসা পরায়ণ নরপতি ছিলেন। তিনি রাজপুত সর্দারদের ভরতীয়-ঐতিহাসিক विद्धकभजि९ সঙ্গে না মিশিয়া, মল্প ও লীল। যোদ্ধদের সহিত ক লৈযাপন করিতেন । বিশেষতঃ রাজপুত আশ্বারোহীগণ দীর্ঘকাল aে সন্মান সন্ত্রম ভোগ করিয়া আসিতেছিলেন বিক্রমাদিত্য সেই সন্মান ও সন্ত্রম অপহরণ করিয়৷ চীনপদস্থ পাইক ও মল্লদিগকে অর্পণ করিতে আরম্ভ করিলেন । ইহার ফলে দিন দিন সর্দারদেয় অসন্তুষ বৃদ্ধি পাইতে লাগিল । ফলে রাজ্যে দম্যতা বৃদ্ধি পাইতে লাগিল । রাণা তখন সর্দারদেরে ডাকিয়া পাৰ্ব্বত্য দ মু্যদিগকে দমন করিতে বলিলেন । সর্দারেরা সকলেই তাহার আদেশ পালন করিতে অস্বীকার করিয়া বলিল—আপনার পাইকদিগকে প্রেরণ করুণ । এই সময়ে গুজরাটের মুসলমান শাসনকৰ্ত্ত সুলতান বাহাদুর যোধপুর আ ক্রমণ করিলেন । র্তাহীর মারবার আক্রমণের প্রধান কারণ, বিক্রমাদিত্যের পূৰ্ব্ববৰ্ত্তা রাণা পৃথ্বীরাজ গুজরাটের অধিপতি সুলতান মজফরকে পরাস্ত করিয়া স্বনগরে অনিয়ন করিয়াছিলেন। এই অপমানের প্রতিশোধ লইবার জন্ত সুলতান বাহাদুর যোধপুর আক্রমণ করিলেন । অচিরে চিতোরের অর্জুন রীও প্রভৃতি বহু বীর স্বদেশ রক্ষার্থ সময় শয্যায় শয়ন করিলেন । বীরাঙ্গন। জবছর বাঈ অসংখ্য শত্রু সৈন্য নিপাত করিয়া সমর শায়িনী হইলেন । মুল
