বিজয়কৃষ্ণ যোগ ছিল এবং তাহারা উভয়ে একত্র হইয়া ব্রাহ্ম সমাজের এবং দেশের অনেক কল্যাণকর কার্য্য সম্পাদন করেন। কিন্তু সেই কেশবচন্দ্রেরই কোনও কোন ও ক'র্য্যে ব্রহ্ম সমাজের আদর্শ ক্ষুণ্ণ হইতেছে বলিয়া যখন তিনি মনে করিয়াছিলেন, তখনই বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ না করিয়া সেই সকল কার্য্যের প্রবল প্রতিবাদ করিয়াছিলেন। নিজ জন্মভূমি শান্তিপুর, ময়মনসিংহ, গয়া প্রভৃতি কয়েকটি স্থানে তিনি ব্রাহ্মমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। প্রচারোদেশে দেশ দেশান্তরে পর্য্যটনকালে কোনওরূপ শারীরিক কষ্টই তিনি গ্রাহের মধ্যে আনিতেন না । অনেক সময়ে অর্থাভাবে উপবাসে থাকিতে হইয়াছে, কখনও বা ক্ষুণ্ণিবৃত্তির জন্য সমস্তদিন শুধু নদীর জল পান করিয়াই রহিয়াছেন ; কিন্তু উৎসাহীনল বিন্দুমাত্র প্রশমিত হয় নাই। প্রচার কার্য্যে নিযুক্ত থাকিবীর সময়ে নিজের অীবশুকে কখনও কাহীরও অর্থ সাহায্য প্রার্থী হন নাই । বাঙ্গালীর ভক্তি তীর্থ নবদ্বীপের অধিবাসী এবং ভক্তবিতার অদ্বৈতচার্য্যের বংশধর ছিলেন তিনি। সুতরাং র্তাহীর চরিত্রে ভক্তির প্রভাব যে বিশেষ দৃষ্ট হইবে তাহা বলাই বাহুল্য । ব্রাহ্ম সমাজে বৈষ্ণব-প্রণালীর কীৰ্ত্তন ও সঙ্কীৰ্ত্তন প্রচলনে তিনি অতিশয় উৎ জীবনী-কোষ هو نفاذ সাহী ছিলেন । নবদ্বীপের চৈতন্তদাস বাবাজীর সহিত অtলাপ করিয়া তিনি এবিষয়ে আরও উৎসাহীত হন। ধরিতে গেলে প্রধানতঃ র্তাহীরই উৎসাহে ও পরামর্শে কেশবচন্দ্র ব্রাহ্ম সমাজে সঙ্কীৰ্ত্তনের প্রচলন করিতে সন্মত হন । প্রচারোদেশে তিনি যেখানেই গিয়াছেন সেখানেই তাহার উদ্দীপনাময়ী সঙ্কীৰ্ত্তন পাষাণ প্রাণ ও দ্রব হইয়াছে । ব্রাহ্ম সমাজের প্রথম দুইটি কীৰ্ত্তন গোস্বমী মহাশয়ের রচনা। নিজে যেরূপ কীৰ্ত্তন গাহিতে গাহিতে মাতোয়ার হইতেন, অন্যের প্রাণম্পর্শী কীৰ্ত্তন শুনিয়াও র্তাহার সেইরূপ ভাবেiন্মাদ হইত । তৎফলে তিনি অনেক সময়ে বাহ্যজ্ঞানশূন্ত হইয়া ভূমিতে লুটাপুটি খাইতেন । প্রচার ব্যপদেশে একবার তিনি লাহোরে গমন করেন । তথায় অবস্থান করিবার সময়ে এক রাত্রে তাহার একরূপ মানসিক বিকার উপস্থিত হয় । পাপচিন্তা একেবারে দূর করিতে পারেন নাই, এই অমুতাপে তিনি অতিশয় বিচলিত হইয়। উঠিলেন এবং অনেক আত্মচিন্তা ও প্রার্থনার ফলেও তিনি আত্মহত্যা করিবার প্রয়াস পান । মুখের ৰিষয় যথাসময়ে এক সাধু অপ্রত্যাশিতভাবে আসিয়া উপস্থিত হওয়tয় তাহার প্রাণ রক্ষা হয় । ব্ৰহ্মাননা কেশবচন্দ্র সেন ১২৭৭ मप्न दे९ट७ इ३८ङ उtब्र८ठ थलांशंभन
