প্রভাপসিংহ সশস্ত্র দণ্ড tয়মান হইলেন । ভিলগণ পৰ্ব্বতরাজির শৃঙ্গদেশে অবস্থান করিতে লাগিল ; তfহীদের পদ তলে প্রক ও প্রক ও শিল খও রাণীকৃত । শক্রকে হয় সুতীক্ষ্ণ শরাঘাতে অথ1া প্রকা ও প্রস্তর নিক্ষেপে সংহার করিলে । এই দুর্গম গিরিপথে রাণ। প্রতীপ মিবারের প্রধান প্রধান বীরকুলের সহিত শত্রুর আক্রমণ প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন । ১৫৭৬ খ্রীঃ অব্দের শ্রাবণ মাসের সপ্তম দি সে উভয় দলে তুমুল যুদ্ধ আরম্ভ হইল । বীরবর প্র তাপ সিংহ সক্রিমে শক্ৰ যেন বুহি ভেদ করিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন । তাহার মা মন্ত ও সর্দারগণ মুঘল বাহিনীর উপর অবিরত অtফ্রমণ করিতে লাগিলেন । প্রতাপের আশা ফলবতী হইল । মুঘল বাহিনী ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হইয়া গেল । ক্রুদ্ধ প্রতাপ রাজপুত কুল কলঙ্ক মানসিংহকে কোথাও খুজিয়া পাইলেন না । অবশেষে অসংখ্য শত্র নিপাত করিতে করিতে সেলিমের সম্মুখে উপস্থিত হইলেন । শাণিত আলির অtঘাতে সেলিমের শরীর রক্ষীদিগকে ভূতলশায়ী করিয়া সেলিমকে শুল দ্বারা আঘাত করিলেন । মেষ্ট শূল স্থল লৌহ পাত্রে মণ্ডিত হাওদায় প্রতিহত হইল। কিন্তু গজপলিকে নিহত করিল । রণমাতঙ্গ তদবস্থায় সেলিমকে লইয়া রণস্থল হইতে পলায়ন করিল। প্রতাপ সেলিমের জীবনী-কোষ >S)"V。 পশ্চাদ্ধাবিত হইলেন । সেলিমকে রক্ষা করিবার জং মুঘল সৈন্ত প্রাণপণে চেষ্টা করিতে লাগিলেন । এই ভীষণ যুদ্ধে প্রতাপের জীবনও কয়েকবার সঙ্কট অবস্থায় পতিত হইয়াছিল । শক্র সেনা র্তাহার রাজ চিহ্ন দেখিয়। বিশেষভাবে র্তাহাকেই অী ক্রমণ করিতে চেষ্ট। করিতে লাগিল। ইহা বুঝিতে পারিয়া ঝালাপতি মান্ন উল্লম্ফনপূর্বক রাণ প্রতাপের নিকট উপস্থিত হইয়। র জছত্র স্বীয় মস্তকে স্থাপনপূৰ্ব্বক প্রতাপকে নরাপদ করিলেন । শত্র সেনা ঝালাপতি মান্নাকেই প্রতাপ মনে করিয়া আক্রমণ করিল মন্ন প্রবলবিক্রমে যুদ্ধ করিয়া স্বীয় প্রভুকে রক্ষা করিতে যাইয়া নিজের জীবন বিসর্জন দিলেন । এই প্রথম দিনের যুদ্ধে প্রতাপের দ্বাবিংশতি সহস্ৰ সৈদ্যের মধ্যে মাত্র অষ্ট সহস্র জীবিত ছিল । যুদ্ধাবসানে প্রতাপ একাকী প্রস্থান করিলেন । একজন মুলতানী ও একজন খোরাসানী সৈনিক র্তাগর পশ্চাৎ অনুসরণ করিতেছিল । এমন সময়ে পশ্চাৎ হইতে শক্তসিংহ তাহাদিগকে গুলি করিয়া হত্য করি লেন এবং প্রতাপকে সম্বোধন করিয়া সম্মুখে উপস্থিত হইলেন। আবার দুই ভ্রাতার মিলন হইল । শক্তসিংহ জ্যেষ্ঠ প্রতাপের সঙ্গে বিরোধ করিয়া শত্র সেলিমের সহিত মিলিত হইয়াছিলেন । আজ ভ্রাতার স্বদেশ প্রীতি ভ্রাত{
