পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»©ማዊ র্তাহাকে প্রবুদ্ধ করিয়াছে। তাহার হৃদয়ে অনুতাপের অগ্নি প্রজ্জলিত হইয়। আiজ তাহাকে দগ্ধ করিতেছে । তাই ভ্রাতার প্রাণ রক্ষার্থ নিজের জীবনকেও বিপন্ন করিতে কুষ্ঠিত হইলেন না । প্রতাপ প্রথমে শক্তসিংহকে সন্দেহ করিয়াছিলেন । কিন্তু এক্ষণে র্তাহার আচরণে পরম প্রীত হইলেন । সিংহ ভ্রাতার পদতলে পতিত হইয়া ক্ষমা চাহিলেন । প্রতীপ অনন্দে ভ্রাতাকে অীলিঙ্গন করিয়া, হৃদয়ে ধারণ করিলেন। প্রতাপের চৈতক আখটা স্বীয় প্রভুকে রক্ষণ করিয়া, নিরাপদ স্থানে আনিয়া, চির বিদায় গ্রহণ করিল । শক্তসিংহ নিজের অশ্বটী ভ্রাতাকে অর্পণ করিয়া নিহত মুলতানী সৈনিকের অশ্ব গ্রহণ করিলেন এবং ভ্রাতার নিকট হইতে বিদায় লইয়া সেলিম শিবিরে উপস্থিত হইলেন । ভ্রাতাকে বলিয়া আসিলেন, সুযোগ উপস্থিত হইলেই, তিনি র্তাহার নিকট উপস্থিত হইবেন । সেলিম শক্তসিংহকে পিলম্বে আগত দেখিয়া সন্দেহ করিলেন । শক্তসিংহ নিৰ্ভয়ে সকল প্রকাশ করিয়া বলিলেন । উদার হৃদয় সেলিম, র্তাহার সত্যবাদিতায় সন্তুষ্ট হইলেন ; কিন্তু র্তাহাকে রাখা নিরাপদ নহে মনে করিয়া বিদায় দিলেন । শক্তসিংহ প্রতাপের সহিত পুনৰ্ম্মিলিত হইলেন । বর্ষ সমাগমে কিছুদিন যুদ্ধ স্থগিত ছিল। ৰৰ্ষার অবসানের সঙ্গে সঙ্গে আবার እ ግ ©–> ግ8

  • |で5

ভারতীয়-ঐতিহাসিক প্রতাপসিংহ রণভেরী বাজিয়া উঠিল। প্রতাপের জন্য যে সমুদয় বীর জীবন উৎসর্গ করিয়tছিলেন, তন্মধ্যে গোয়ালিয়রের পদচু্যত ও নিৰ্ব্বাসিত নরপতি রাম শ৷ ও তাহার পুত্র খাদে রাও অন্যতম ছিলেন । শনি গুরু সর্দার ভনসিংহ মুঘলদের হস্ত হইতে চৌদ্দ দুর্গ উদ্ধার করিতে যাইয়া অক্সিবিসর্জন দিলেন । এই কঠোর যুদ্ধে মিবারের প্রধান ভট্ট কবি জীবন অtহুতি দিলেন । ফরিদ খ। চৌন্দ দুর্গ অবরোধ করিয়া নিজেকে নিরাপদ ভাবিয়াছিলেন । কিন্তু প্রতাপ কৌশলে তাহাকে এক গিরি সঙ্কটে আবদ্ধ করিয়া সমূলে বিনাশ করিলেন। এইরূপে অবিরাম যুদ্ধে, বর্ষের পর বর্ষ অতিবাহিত হইতে লাগিল, প্রতাপ কিছুতেই মুঘলের অধীনতা স্বীকার করিলেন না । এক এক দিন এমন হইত যে, পাচ বীর অtহাৰ্য্য প্রস্তু ত করিয়া ও অtহারের অবসর পান নাই । এই সময়ে আত্মরক্ষার চেয়েও পরিবারবর্গকে রক্ষা করার চিন্তা প্রবল হইল । গিহেলাটকুলের পরম মিত্র ভিলগণ র্তাহাদিগকে কখনও কখনও বেত্রকরণ্ডে স্থাপন করিয়া বৃক্ষে ঝুলাইয়া রক্ষা করি তেন। একদিন রাণার স্ত্রী ও পুত্রবধু রুটি প্রস্তুত করিয়া বালক বালিকাদের হস্তে দিয়াছেন, এমন সময়ে এক বন্য বিড়াল আসিয়া রাজনন্দিনীর হস্তেৱ রুটি লইয়। পলায়ন করিল। বালিক।