পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-পঞ্চম খণ্ড.pdf/৪১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

›ዓ6 ዓ কোন ও সৎকাজ ব্যাপক ভাবে করিতে হইলে সঙ্ঘবদ্ধভাবে করা অtলগুক, অন্তগ। তাছ। সফল হইতে পারে না, ইহা তিনি পাশ্চাতাদেশ সমূহে দীর্ঘ প্রধাপের ফলে বিশেষভাবে উপলব্ধি করিয়াছিলেন । সেই অমুভূতির বশবৰ্ত্তী হইয়া ১৮৯৭ খ্ৰীঃ অব্দের ১লা মে "রামকৃষ্ণ মিশন” নামে একটি সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠা করিলেন। ঐ সঙ্ঘের কার্য্য প্রণালী সম্বন্ধে তিনি বলিয়া ছিলেন “আমাদের মত দেশে প্রথম হতে সাধারণ তন্ত্রে সজঘ তৈয়ারী করা বা সাধারণের সম্মতি ( ভেটি ) নিয়ে কাজ করাটা তত সুবিধাজনক বলে মনে হয় না। এদেশে শিক্ষা বিস্তারে যখন ইতর সাধারণ লোক সমধিক জ্ঞানবান হবে, যখন মত ফতের সংকীর্ণ গ{গুর বাইরে চিন্ত প্রসারিত করিতে শিখিবে, তখন সাধারণ তন্ত্র মতে সজেযর কার্য্য চলতে পারবে । এই জন্য এই সঙ্ঘের একজন Dictator বা প্রধান পরিচালক থাক চাই । সকলকে তার অাদেশ মেনে চলতে হবে, তারপর কালে সকলের মত নিয়া কাৰ্য্য করা যাবে।” উক্ত “রামকৃষ্ণ মিশন” প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য এইরূপ স্থির হইয়াছিল—“মানবের হিতার্থে শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণ তত্ত্বব্যাখ্যা করিয়াছেন এবং কার্য্যেও তাঁহার জীবনে তাহ। প্রতিপাদিত হইয়াছে। তাহার প্রচার’ এবং মমুয্যের দৈহিক, মানসিক ও ভারতীয়-ঐতিহাসিক বিবেকানন্দ পারমার্থিক উন্নতি কল্পে যাঁহাতে সেই সকল তত্ত্ব প্রযুক্ত হইতে পারে তদ্বিষয়ে সাহায্য কর। এই *প্রচারের ( Mission) উদেণ্ড ।” এই সময়ে মধ্যে এক বীর কয়েকজন বেদ ও দর্শন শাস্ত্রবিদ গুজরাটি পণ্ডিত স্বামিজীর খ্যাতি ও পাণ্ডিত্যের কথা শুনিয়া তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে কলিকাত আগমন করেন। স্বামিজার সহি ত তাঁহাদের ধৰ্ম্ম তত্ত্ব লইয়। নান#রূপ আলোচনা ও বিচার হয় । তাছাতে পণ্ডিতবৃন্দ প্রীত হইয়া স্বামিজীকে সাধুবাদ প্রদান পূৰ্ব্বক প্রত্যাবর্তন করেন । শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি কিছুকাল কয়েকজন অন্তরঙ্গ শিষ্যসহ দারঞ্জিলিংএ যাইয়। অবস্থান করেন । কিন্তু তাহাতে স্থায়ী ফল কিছু না হওয়াতে কিছুদিন কলিকাতায় অবস্থান করিয়া চিকিৎসগণের পরামশে আল মোড় গমন করিলেন । আলমোড়ায় প্রায় আড়াই মাসকাল অবস্থান করিয়া তাহার স্বাস্থোর বিলক্ষণ উন্নতি হইল। তখন অনুরাগী ভক্ত ও বিশিষ্ট ব্যক্তিগণের অনুরোধে তিনি পুনরায় উত্তর ভারত, পঞ্জাব প্রভৃতি স্থানে পর্যটন করিবার জন্ত বহির্গত হইলেন । এইবার বেরিলি, আম্বালা, লাহোর, অমৃতসর, মুলতান রাওয়ালপিণ্ডি, কাশ্মীরের রাজধানী