विश्लनि९ङ् বিশৃঙ্খল উপস্থিত হইয়াছিল । কালবসে হিন্দুধৰ্ম্মের উপর বৌদ্ধপ্রভাব বিস্তৃত হইতে লাগিল, হিন্দুধৰ্ম্মের সহিত হিন্দুর দেবমন্দিরাদি ও বিনাশ প্রাপ্তি চুইল। ভারতের বিখ্যাত কামাখ্যা পীঠের উপরিস্থ মন্দিরও সেই সময় ধ্বংশ প্রাপ্ত হইয়াছিল । পীঠ বহুকাল অরণ্য মধ্যে লুপ্তাবস্থায় ছিল । বিশ্বসিংহ সিংহাসনে আরোহণ করিবার পর একদা ভ্রাত। শিবসিংহ (শিশু)সহ কামাখ্যা শৈলে উপস্থিত হন । তথায় মেচ বা কোচ জাতীয় কয়েক ঘর লোক বাস করিত। র্তাহারা পথভ্রষ্ট হইয়। ঐ কোচ জাতিয় লোকদের গৃহে উপস্থিত হন। তথায় কোন পুরুষের সহিত র্তাহীদের সাক্ষাৎ হয় নাই, একটা বৃদ্ধ স্ত্রীলোকের সহিত র্তাহাদের সাক্ষাৎ হইয়াছিল । স্ত্রীলোকটী একটা অশ্বখ বৃক্ষের নিম্নে বসিয়া বিশ্রাম করিতেছিল। ঐ বৃক্ষের নীচে একটা মাটির স্তুপ (ঢ়িপ) ছিল । রাজা উহার সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করিয়া বৃদ্ধার নিকট হইতে জানিতে পারিলেন যে, ইহা প্তাহাদের দেবতা। তখন রাজ তাহার পথহারা সঙ্গীদের সহিত মিলিত হুইবার জন্ত দেবতার নিকট প্রার্থনা করিলেন। শীঘ্রই তাহার সঙ্গীগণ তথায় আসিয়া উপস্থিত হইলেন L জীবনী-কোষ ১৭৯২ তৎপর অনুসন্ধানে রাজা উহা শক্তিপীঠ বলিয়। জ্ঞাত হইলেন এবং মানস করিলেন যে, যদি দেশে শাস্তি ও শৃঙ্খল পুনঃ স্থাপিত হয়, তবে তিনি তথায় সোনার মন্দির লিম্মাণ করিয়া দিবেন। তাহার প্রার্থন পূর্ণ হইয়। দেশে শাস্তি ও শৃঙ্খলা স্থাপিত হইয়াছিল । অতঃপর রাজার অাদেশে ঐ অশ্বখ বৃক্ষ কৰ্ত্তিত হইল এবং তাহার নীচে পীঠ স্থান আবিস্কৃত হইল । প্রাচীন মন্দিরের নিম্নভাগ ভূগর্ভের নীচে পাওয়া গেল । তদুপরি রাজা বিশ্বসিংহ মন্দির নির্মাণ করিলেন । প্রত্যেক ইটের সহিত এক রতি সোনা দিয়া এই মন্দির নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। বিশ্বসিংহ হিন্দু ধৰ্ম্মের প্রতি শ্রদ্ধ। প্রদর্শন করিতে লাগিলেন । কোচবিহার হইতে কয়েকজন ব্রাহ্মণকে দেবীর সেবার জন্ত কামাখ্যায় প্রেরণ করিলেন । নবদ্বীপ, মিথিলা ও কান্তকুজ প্রভৃতি স্থান হইতে, ব্রাহ্মণ আনয়ন . করিয়া বিশ্বসিংহ পুরাণ ও তন্ত্রের চর্চায় নিযুক্ত হইলেন এবং স্বয়ং শক্তি মন্ত্রে দীক্ষিত হইলেন । ১৫২৮ খ্ৰীঃ অব্দে রাজ। বিশ্বসিংহ সিংহাসন পরিত্যাগ করিয়া, বtণ প্রস্থ অবলম্বন করেন । তাহার নৃসিংহ নারায়ণ, শুক্লধ্বজ
