প্রাণকৃষ্ণ পাতালের চিকিৎসক নিযুক্ত হন । কিছুকাল পরে ইংরেজ অধ্যক্ষের কোনও ব্যবহারে অতিশয় অপমান বোধ করিয়া পদত্যাগ করেন । তদবধি স্বাধীনভাবে চিকিৎসা ব্যবসায় অবলম্বন করেন। সুচিকিৎসক রূপে তাহার খ্যাতি বিশেষ বিস্তার লাভ করে । তাহার অমায়িক ব্যবহারে সকলেই প্রীত হইতেন । অনেক সময়ে দরিদ্র রোগীর ঔষধ কিনিবার অর্থও তিনি প্রদান করিয়া আসিতেন । শেষ জীবনে একাধিক দেশীয় রাজের গৃহ চিকিৎসক হইয়া বহু অর্থ উপার্জন করেন । ছাত্রাবস্থাতেই তিনি ব্রাহ্মসমাজের আচাৰ্য্য পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর সংস্পর্শে আসিবার সুযোগ লাভ করেন এnং ংসারে প্রবেশ করিয়া ব্রাহ্মধৰ্ম্ম গ্রহণ করেন । ঢাকা জিলার কালীন রায়ণ গুপ্তের কন্যাকে (সার কে, জি, গুপ্তের ভগিনী ) তিনি বিবাহ করেন । ১৯০৫ খ্ৰীঃ অব্দের বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময়ে তিনি বিশেষ উৎসাহের সহিত রাজনীতিক্ষেত্রে অবতীর্ণ হন । ঐ সময়ে তাহার উদ্দীপনাময়ী বক্তৃত। শ্রোতৃবর্গের প্রাণে উৎসাহের সঞ্চার করিত। অনেক দেশীয় যৌথ ব্যব সায়ের সহিত যুক্ত থাকিয় স্বদেশী সহায় ছিলেন । জীবনী-কোষ বিশেষ অনুরাগ ছিল । S8२७ ८कtन ७ नेिन खेशंब्र छछ cमांड ७धकां* করিতেন না । প্রাণকৃষ্ণ আৰtল্য ধৰ্ম্মভীরু ছিলেন । পরিণত বয়সে তাহার ধৰ্ম্মমূলক বক্ততা, উপাসনাদি জনগণের প্রাণে ভক্তি রসের সঞ্চার করিত । দেশীয় ও বৈদেশিক ধৰ্ম্মশাস্ত্রে তাহার প্রগাঢ় অধিকার জন্মিয়াছিল । শিক্ষাবিস্তারের কার্য্যে ও র্তাহার হাওড়া জিলার বাণীবন পল্লীতে অবস্থিত বালিকাদের প্রাথমিক (বৰ্ত্তমানে মধ্য ইংরেজি) বিদ্যালয়ের উন্নতির জন্ত তিনি প্রভূত পরিশ্রম ও অর্থ সাহায্য করেন । অনুন্নত জাতি সমূহের উন্নতিবিধায়িনী riffsa (Society for the Improvement of Backward Classes) কৰ্ম্মকৰ্ত্তারূপেও তিনি গুরুতর পরিশ্রম করিতেন । অথচ কখনও নিজের প্রশংসা লাভের জন্য উৎসুক ছিলেন না । সৰ্ব্বদাই সকলের পশ্চাতে থাকিয়। সকল প্রকার সৎকার্য্যের সহিত ঘনিষ্ঠ যোগ রক্ষা করিয়৷ চলিতেন । পাঠ্যজীবনে দারিদ্র্যের সহিত কঠিন সংগ্রাম করিয়া চলিতে হইয়াছিল বলিয়1, তিনি দরিদ্র মেধাবী ছাত্রদের পরম গোপনে এই সকল শিল্পের উন্নতির জন্য তিনি বহু অর্থ ব্যয় ছাত্রদের যে তিনি কত সাহায্য করি করেন । এই কার্য্যে পরবর্তী জীবনে তেন তাহ। খুব কম লোকই জানিতে লক্ষাধিক টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হইলেও পরিত। মৃত্যুকালে দরিদ্র ছাত্রদের
