পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృo a সেজন্ত সংক্ষেপে কিছু লিখিত হইল । যে মহাত্মা হোলকার রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা তিনি জাতিতে মহারাষ্ট্রীয় । এই জাতির নাম তাহার দেশ হইতে উদ্ভূত। মহারাষ্ট্র দেশের উত্তর সীমা সাতপুর পৰ্ব্বত শ্রেণী ও নৰ্ম্মদা নদী, পশ্চিম সীমা আরব সাগর, দক্ষিণ সীম। কৃষ্ণ নদী এবং ইহার পুৰ্ব্ব সীমা গোওঁবন ও তেলঙ্গন প্রদেশ। এই পৰ্ব্বত সক্ষুল প্রদেশে বাস করিয়া এই জাতি iেয্যবীৰ্য্যে প্রাচীন কাল হইতেই প্রসিদ্ধ হইয়াছে । অনেক মহামনা নরনারী এই জাতিতে পূৰ্ব্বকাল হইতে জন্ম গ্রহণ করিলেও মহাত্মা ছত্রপতি শিবাজার ( मां दृशं दि्व প্রসিদ্ধি লাভ করেন । মহারাষ্ট্র জtাতকে চলিত কথায় মারাঠা বলে । মহাত্মা শিবাজী এই জাতীর মধ্যে যে নুতন স্বদেশপ্রেমের বীজ বপন করেন, তাহার ফলে এই জাতির মধ্যে অনেক প্রসিদ্ধ বার পুরুষ জন্মলাভ করেন । দিল্লীর সম্রাট আওরঙ্গজেব হিন্দু জাতিকে সমুলে ধ্বংস করিতে প্রয়াসী হইয়াছিলেন । এই সময়ে মহাত্মা শিবাজীর প্রাদুভাব হয়। শিবাজী যেমন অতি সামান্ত অবস্থ৷ হইতে এক বিশাল হিন্দুরাজ্যের পত্তন করিয়া গিয়াছেন, সেইরূপ আরও অনেকে অতি সামান্ত অবস্থা হইতে এক একটা প্রকাও রাজ্য স্থাপন করিয়া शिग्नांtछ्न। उनू८१) बांभांप्लव्र दर्शिङ ভারতীয়-ঐতিহাসিক অহল্যাবাঈ | সাধবী অহল্যাবাঈএর শ্বশুর মহলার রাও অন্যতম । তিনি ১৬৯৩ খ্ৰীঃ অব্দে এক পশুপালকের বংশে জন্মগ্রহণ করেন । তাহার পিতা থগুজা পুনা নগর হইতে বিংশতি ক্রোশ দূরে হোল নামক একট ক্ষুদ্র গ্রামে বাস করিতেন । মারাঠারা অনেকে স্বীয় নামের সঙ্গে গ্রামের নাম যোগ করিয়া থাকেন । কার শব্দের অর্থ অধিবাসী । হোল নামক গ্রামের অধিবাসী হোলকার, সেইরূপ পাটনকার, নগরকার, নিম্বলকার প্রভৃতি । থঙুজীর বংশধরেরা সেইজন্ত র্তাহীদের আদি বাসস্থান হোল নামক গ্রামের নামানুসারে হেলিকার নামে প্রসিদ্ধ হইয়াছেন । মহলার রাও পাঁচ বৎসর বয়সেই পিতৃহীন হন। তাহার মাতা জ্ঞাতিগণের অসদ্ব্যবহারের জন্ত, শ্বশুরভূমি পরিত্যাগপূৰ্ব্বক স্বীয় ভ্রাতা নারায়ণজীর আশ্রয়ে আগমন করেন । নারায়ণজী একজন মারাঠা সামস্তের অধীনে কতকগুলি অশ্বারোহী সৈনিকের অধিনায়ক ছিলেন। মহলার রাও প্রথমে পশুচারণেই নিযুক্ত হইয়াছিলেন। পরে মাতুলের অধীনে অশ্বারোহী সৈনিক হইলেন। ইতিপূৰ্ব্বে এক দৈবজ্ঞ তাহার মাতুলকে বলিয়াছিলেন যে, মহলার রাও কালে একজন বড়লোক হইবেন । এক একটী সামান্ত ঘটনা হইতে, এক এক জন লোকের জীবনের গতি পরিবর্তিত হইয়া যায়।