eS ছিল। ইহার পরিণাম এই হইল ষে, সদাশিব রাওএর উদ্ধত ব্যবহারে সকলেরই মনে পেশোয়ার প্রতি অনুরাগ হ্রাস পাইল । মহলার রাও তখন সমস্ত বিছিন্ন শক্তির মধ্যে প্রধান ছিলেন । অহল্যা বাঈ এই ইন্দোরের হোলকার ংশের প্রতিষ্ঠাতা মহলার রাওয়ের পুত্রবধূ এবং খণ্ডে রাওয়ের মহিষী ছিলেন। মালব দেশের অন্তর্গত আধুনিক আহাম্মদনগর জিলার পাথরডা নামক একটী ক্ষুদ্র গ্রামে ১৭৩৫ খ্ৰী: অব্দে অহল্যাবাঈ জন্মগ্রহণ করেন । অহল্যার পিতা আনন্দরাও সিন্ধে, অতি ধৰ্ম্মনিষ্ঠ, পরোপ কারী ও অতিথি পর যুণ ব্যক্তি ছিলেন। প্রসিদ্ধ সিন্ধিয় বংশের সহিত র্তাহার সম্পর্ক ছিল । তিনি ক্ষত্রিয় হইয়াও কৃষিকাৰ্য্য দ্বারাই জীবিকানিৰ্ব্বাহ করিতে ভালবাসিতেন । অহল্যা বাল্যকালে তাহার পিতৃবন্ধুর নিকট কিছু লেখা পড়া শিক্ষা করিয়া,ছলেন । তাহার নবম বৎসর বয়সের সময় মহলার রাও ও তাহার পুত্র খণ্ডেরাও গুজরাটের ও মালবের বিদ্রোহ দমন করিয়া প্রত্যাবর্তন কালে, পাথরডা গ্রামে অবস্থান করিয়াছিলেন । এই সময়ে মহলার রাও অহল্যাকে দেখিয়া ও তাহার পরিচয় প্রাপ্ত হইয়া, পুত্রের সহিত র্তাহার পরিণয় কার্য সমাধ করেন। অহল্য রূপসী ছিলেন না কিন্তু র্তাহার মুখের লাবণ্য ও জ্যোতি ভারতীয়-ঐতিহাসিক छाङ्लग्न बांझे অতি মনোমুগ্ধকর ছিল। বিবাহের পর অহল্যা নিজ চরিত্রমাধুর্য্যে এবং সেবাপরায়ণতাদ্বারা অতি প্রচওস্বভাৰ শ্বশুর মহলার রাও ও তেজস্বিনী শ্বাশুড়ী গৌতম বাঈ উভয়েরই হৃদয় অধিকার করিয়াছিলেন । অহল্যাবাঈ অতি প্রত্যুষে গাত্ৰোখান করিয়া গৃহকাৰ্য্যে নিযুক্ত হইতেন এবং রাত্রি প্রহীরাতাতে বিশ্রাম করিবার জন্য গমন করিতেন । গৃহে দাসদাসীর অভাব ছিল না, কিন্তু তিনি র্তাহীদের অপেক্ষ না করিয়া, স্বয়ং গৃহকাৰ্য্য সম্পাদন করিতে ভাল বাসিতেন । তিনি অতিশয় নিষ্ঠাবতী ধাৰ্ম্মিক রমণী ছিলেন। তিনি, অম্বাদীস পৌরাণিক নামক একজন সদাচীরশীল ব্রাহ্মণের নিকট, দীক্ষা গ্রহণ করিয়াছিলেন । তিনি শ্বশুর, শ্বাশুড়ী ও পতির চিত্তামুবৰ্ত্তন করিয়া গার্হস্থ্যজীবন মধুময় করিয়া তুলিয়াছিলেন । কিন্তু তাহার সুখের জীবনে দুঃখের ছায়া পতিত হইল । ১৭৫৩ খ্ৰীঃ অব্দে ভরতপুরের নিকটবৰ্ত্তী কুস্তেরী নামক দুর্গ অবরোধ কালে খণ্ডেরাও নিহত ইহলেন । অষ্টাদশ বর্ষ বয়সে মালে রাও নামক এক পুত্র ও মুক্তাবাই নামী এক কন্য লইয়। তিনি বিধবা হইলেন । স্বামীর মৃত্যুর পরে তিনি চিতারোহণের সঙ্কল্প করিয়াছিলেন কিন্তু শ্বশুরের অত্যন্ত অনুরোধে সে সঙ্কল্পও তাহাকে পরি
