उप्रां७ब्रअऊँौद প্রদেশের শাসনকৰ্ত্ত নিযুক্ত করিয়া তাছাকে বহির্ভারত হইতে শত্রুর আক্রমন বাধা দিবার ভার অর্পণ করিলেন, এবং স্বয়ং দাক্ষিণাত্যে থাকির প্রশষ্ট মুঘল গৌরব উদ্ধার করিবার চেষ্ট৷ করিতে লাগিলেন । কিন্তু সম্রাটের সকল চেষ্টাই প্রায় বিফল হইতে লাগিল । মারাঠাদিগের লুটতরাজের ফলে সমগ্র দাক্ষিণাত্যে অরাজকতা উপস্থিত হইল । মুঘলশক্তির দুৰ্ব্বলতা অনুভব করিয়া নানা স্থানে ক্ষমতাশালী ব্যক্তিরা স্বেচ্ছা! চার আরম্ভ করিলেন । অবস্থা চতুর্দিকেই অতিশয় জটিল হইয়া উঠিতেছিল দেখিয়া বৃদ্ধ বয়দে আনন্তোপায় হইয়া সম্রাট স্বয়ং সৈন্ত পরিচালনার ভার গ্রহণ করিলেন । মৃত্যুর পূৰ্ব্বে কয়েক বৎসর ঐ ভাবেই চলিয়াছিল। অতি দীর্ঘকাল ধরিয়া অনিশ্চিত মারাঠা শক্তির পশ্চাতে ধাবন করিতে করিতে মুঘল বাহিনী পরিশ্রান্ত হইয়া পড়িয়াছিল। সেনাপতি দিগের মধ্যে অসন্তোষ বুদ্ধি পাইতেছিল। খাদ্যাভাব ও ব্যবস্থার অভাবে অনেক স্থলে প্রয়োজন|তিরিক্ত অর্থাদি ব্যয় করিয়াও কোনও সুফল লাভ হইতেছিল না । কোনও কোনও স্থানে সাময়িকভাবে মুঘল শক্তি জয়লাভ করিলেও, অল্পকাল পরেই আবার সেইস্থান মারাঠাদিগের করতলগত হইতে লাগিল। এইভাবে জয় পরাজয় বিবর্তনের ফলে যত প্রকার জীবনী-কোষ ১২৮ বিশৃঙ্খলা, অশান্তি, অসুবিধ ঘট। স্বাভাবিক তাহার কোনওটিরই ক্রটী হইল না ; অথচ সম্রাট নিরাশা হইবার পাত্র ছিলেন না । মারাঠাদলনরূপ মরীচিকার পশ্চাতে বৃথা দৌড়াদৌড়ি না করিয়া দিল্লীতে প্রত্যাগমনের প্রস্তাব তাহার নিকট উপস্থিত করাও बगडर्द ছিল । সেই অষ্টাশীতি বর্ষ জরাজীর্ণ বৃদ্ধের তখন কেবল এই সংকল্পই দৃঢ় ছিল “মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পতন।” কিন্তু ভবিতব্যের বিধানে মন্ত্রের সাধন আর তাঁর জীবনে সম্ভব হইল না । ১৭০৫ খ্রীঃ অব্দের শেষ ভাগে তার জীবনের শেষ অভিযান ওয়াসিংগের অধিকার সমাপ্ত করিয়া প্রত্যাবর্তনের পথে তিনি গুরুতর অসুস্থ হইয়া পড়েন এবং বোধ হয় প্রকৃতির বিধান অলঙ্ঘনীয় অনুভব করিয়া আহম্মদ নগরে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিতে সন্মত হন । শভূজীর মৃত্যুর পর আওরঙ্গজীব যে কয় বৎসর জীবিত থাকিয়া মারাঠাদলনে ব্যাপৃত ছিলেন, সেই সময়ের মধ্যে নিম্নলিখিত প্রধান প্রধান ঘটনা গুলি ঘটিয়াছিল। ১৬৮৯ খ্ৰীঃ অব্দে রাজারাম পলায়ন করিয়া জিঞ্জিতে উপস্থিত হন। ঐ বৎসরূর্বেল সেনাপতি জুলফিকার খ। রায়গড় অধিকার করিয়া সামুচর শাহুকে বন্দী করেন। পরবর্তী বৎসরে মুঘল সেনা পতি রুস্তম খাঁ। মারাঠীহস্তে বন্দী হুন।
