अ७िब्रजऔब মুঘল সম্রাটগণও নওরোজ ( পারসিক নববর্ষ ) উৎসব করিতেন, আওরঙ্গজীব এই উভয় ব্যবস্থাই উঠাইয়া দেন । শেষোক্তটির পরিবর্তে রমজান মাসের পরে অভিষেকোৎসব প্রবর্তন করেন । পূৰ্ব্বে সভাষদগণ কতকটা হিন্দু প্রথানুযায়ী হাত তুলিয়া অভিবাদন করিতেন। তিনি উহা বন্ধ করিয়া দেন। তৎপরিবর্তে “সালাম আলে-কুম” বলিয়া সম্ভাষণের ব্যবস্থা হইল। বৎসরে দুইবার পূৰ্ব্ববর্তী সম্রাটেরা দেহভারের অনুরূপ স্বর্ণ ও রৌপ্যের সহিত তুলিত হইতেন । আওরঙ্গজীব উহ। নিষেধ করেন । পূৰ্ব্বে মুঘল সম্রাটের সমস্ত রাজাদিগকে সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত করিবার সময়ে র্তাহাদের কপালে অঙ্গুলিদ্বার টীকা পরাইয়া দিতেন । এই প্রথা হিন্দু ধৰ্ম্মানুমোদিত বলিয়া অtওরঙ্গজীব উহ! উঠাইয়া দেন । সম্রাট আকবরের সময় হইতে মুঘল সম্রাটগণ আগ্রার দুর্গপ্রাকার হইতে প্রজাদিগকে দর্শন করিতেন এবং প্রজারাও র্তাহাদিগের দর্শন লাভ করিতেন। 'এই প্রথাও সম্রাট আওরঙ্গজীবের অনুমোদিত ন৷ হওয়ায়, তাহার আদেশে উঠিয়া যায় । রাজ্য মধ্যে মদ, ভাঙ্গ প্রভৃতি মাদক দ্রব্যের ব্যবহার নিষেধ করিয়া আদেশ জারী করেন এবং যাহাতে উক্ত প্রকার अवण गभूश् बादश्रुङ न श्ब्र, उज्ज्जन्न দুষ্ট রাখিবার জন্য কৰ্ম্মচারীও নিযুক্ত জীবনী-কোষ NOB হয় । হিন্দুদিগের সতীদাহ প্রথাও তিনি রোধ করিবার প্রয়াস পান । কিন্তু তাহাঁর সদিচ্ছ প্রণোদিত অনেক ব্যবস্থাই আশানুরূপ ফললাভ করে নাই । ইসলামের প্রচার, ধৰ্ম্মবিশ্বাসের সহিত জড়িত কুরীতি দমন, প্রভৃতি কার্য্যে তিনি সমধিক অবহিত ছিলেন । সেই কারণে যে সকল ধৰ্ম্মযাজক বা প্রচারক দারার বিশেষ অনুগৃহিত ছিলেন, তাহদের অনেককে সম্রাটের হস্তে নিগৃহিত হইতে হইয়াছিল। পবিত্রনগরী মক্কার প্রধান প্রধান ধৰ্ম্মযাজকগণ, পাছে তাহার সিংহাসন অধিকারকে অধৰ্ম্মপ্রস্থত বলিয়া ঘোষণা করেন, তজ্জন্ত রাজক্ষমতা দৃঢ় ভাবে লাভ করিয়া তিনি মক্কা ও মদিনার ধৰ্ম্মযাজক এবং ধৰ্ম্মপ্রাণ দুঃস্থ ব্যক্তিদিগের মধ্যে বিতরণের জন্য বহু অর্থ, বিশ্বাসী কৰ্ম্মচারী হস্তে প্রেরণ করেন । স্বয়ং অতি তীব্র স্বধৰ্ম্মানুরাগী ছিলেন বলিয়া, তাহার প্রত্যেকটি কাজ যাহাতে ইসলাম ধৰ্ম্মামুমোদিত হয়, তজন্ত র্তাহার বিশেষ দৃষ্টি ছিল। সেই ধৰ্ম্মবিশ্বাসই তাঁহাকে অনেক স্থলে হিন্দুদিগের প্রতি অত্যাচার করিতে ও র্তাহীদের ধৰ্ম্মবিশ্বাসে আঘাত দিতে প্ররোচিত করে । ১৮৭৯ খ্রীঃ অংে ' জিজিয়া কর পুনঃ প্রবত্তিত হয়। এই কর, ইসলাম ধৰ্ম্মশাস্ত্রামমোদিত। ইসলামে অবিশ্বাসী ব্যক্তি মাত্রকেই এই
