পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আকবর চন্দ্র উপাধ্যায়, সিদ্ধিচন্দ্র সুরী প্রভৃতি জৈনাচাৰ্য্যদের সহিত সাক্ষাৎ ও আলাপ পরিচয়ে তিনি অতিশয় প্রীত ও তাহ দের ভাবে প্রভাবান্বিত হইলেন । তাহার ফলে বহু বন্দী মুক্তি লাভ করিল, পিঞ্জরাবদ্ধ বহু পক্ষী মুক্ত হইল, বৎসরের মধ্যে কয়েক দিন পশুহত্য নিবরিত হইল, জিজিয়া কর উঠিয়৷ গেল, এতদ্ব্যতীত আরও অনেক কর উঠিয়া গেল । শত্রুঞ্জয় পৰ্ব্বতগামী জৈন তীর্থ যাত্রীদের কর রহিত হইল । জৈন প্রভাবে শেষজীবনে তিনি নিরামিষাশ হইয়াছিলেন, মৃগয়া হইতে বিরত হইয়া ছিলেন। ১৫৭৬ খ্ৰীঃ অব্দে গুরুতর প) { বৰ্ত্তনের সূচনা হইল। এতকাল পর্য্যন্ত রাজকীয় মুদ্রায় যে কলেম ব্যবহৃত হইত, তাহার পরিবর্তে “আল্লাহু আকবর” এই শব্দ ব্যবহার করা যায় কিনা এই মত জিজ্ঞাস্ব হইলে, প্রায় সকলেই সন্মতি জ্ঞাপন করিলেন । কিন্তু হাজী ইব্রাহিম প্রতিবাদ করিয়৷ বলিলেন যে, "ইহার দুই প্রকার অর্থ হইতে পারে—ঈশ্বর মহান অথবা আকবর ঈশ্বর। অতএব কোরাণের “নাজিকর আল্লাহি আকবর” (ঈশ্বরের বিষয় ধ ন করাই সৰ্ব্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ কাৰ্য্য) নামক একাৰ্থ মূলক শ্লোকাংশ গ্রহণ করাই উচিত ? সম্রাট বলিলেন—“মানুষের ক্ষমতা এত অল্প যে কেহই, ঈশ্বরত্বের দাবী করিতে পারে না । সুতরাং S6 6 “আল্লাহু আকবর" শব্দ মুদ্রায় অঙ্কিত করিলে দুষণীয় হইবে না। কেবল কথায় নহে কার্যোও তিনি তাহাই । করিলেন । এই সময়ে এক বিতর্ক উপস্থিত হইল যে, ঈশ্বরের দৃষ্টিতে একজন মুজতাহিদ ( কোরাণের মত ব্যাখ্যাত। ) শ্রেষ্ঠ, না একজন সুলতান' ই-আদিল ( দ্যায়পরায়ণ সম্রাট) শ্রেষ্ঠ । কতিপয় সস্ত্রান্ত লোক শেষোক্ত মত গ্রহণ করিলেন । তন্মধ্যে মকদুম-উলমুগ্ধ, শেখ আবদুল নবি, কাজী জstণ উদ্দিন মুলতনীি, শেখ মবারক, গাজি খ। বদর্মি প্রভূতি উও মত সমর্থন কfaধু এক ঘোষণা পত্র প্রচার করি লেন । তাহার সংক্ষেপ মৰ্ম্ম এই— “আমরা এক মতাবলম্বী হইয়া মীমাংসা' করিতেছি যে, ঈশ্বরের দৃষ্টিতে মুজতা{হদগণের (কোরাণের ব্যাখ্যাত) পদ অপেক্ষ। একজন সুলতান-ই-আদিলের (ঙ্গার পরাস্ত্রণ সম্রাট) পদ শ্রেষ্ঠ । ইস লামের সুলতান মানবজাতির আশ্রয় স্থল, বিশ্বাসীগণের নেতা ও পৃথিবীতে ঈশ্বরের প্রতিচ্ছায়া, আবুলফতে জালাল উদিল মোহাম্মদ আকবর পাতশাহ গাজী একজন স্তায়পরায়ণ, জ্ঞানী, ধৰ্ম্মভীর সম্রাট । অতএব কোরণ বtখ্যাতাগণের কোনও মতগত পার্থক], উপস্থিত হইলে, যদি পাতশাহ স্বীয় তীক্ষ্ণ ধারণার বশবৰ্ত্তী ও অভ্রাত্ত বিচারে কোনও এক পথ অবলম্বন