আকবর খান খানান এবং মিয়! তান সেন ছিলেন । এই সময়ে হিন্দি সাহিত্যের ও বিশেষ উন্নতি হয় । তুলসী দাসের রামায়ণ ও শিখ গুরু অৰ্জুনসিংহের গ্রন্থসাহেব’ এই সময়েই রচিত হয় । র্তাহার রাজসভায় ছয়ত্ৰিশ জন প্রসিদ্ধ সঙ্গীতজ্ঞ ও বাদক ছিলেন । তন্মধ্যে অন্ধ হিন্দী কবি সুরদাস, গায়ক তানসেন, রামদাস, মালবের নরপতি বাজ বাহাদুর প্রভৃতি প্রধান ছিলেন । মিয়া লাল কলাবস্তের নিকট সম্রাট স্বয়ং সঙ্গীত শিক্ষা করিয়াছিলেন । সম্রাট উত্তম নাকড়া বাজাইতে পারিতেন । এক সময়ে সুকবি হুশেন মরুতী একটা কবিতার জন্ত সম্রাটের নিকট দুই লক্ষ টাক পুরস্কার পাইয়াছিলেন। গায়ক রাম দাসও একবার এক লক্ষ টাকা পুরস্কার পাইয়াছিলেন । সম্রাটের চিত্রকলার প্রতিও ষথেষ্ট অনুরাগ ছিল । র্তাহার প্রসিদ্ধ সতের জন চিত্রকরের মধ্যে তেরজন হিন্দু ছিলেন । তন্মধ্যে পান্ধীবাহক জাতীয় দাসবন্ত স্বীয় প্রতিভাবলে বিশেষ উন্নতি করিয়াছিল। এই সময়ে স্থাপত্য শিল্পেরও যথেষ্ট উন্নতি হইয়াছিল । ফতেপুর সিক্রি বহু সুরম্য প্রাসাদে শোভিত হইয়াছিল । আকবর (যুবরাজ)—সম্রাট আওরঙ্গজীবের সর্ব কনিষ্ঠ পুত্র। ১৬৫৭ খ্ৰীঃ অব্দের ১০ই সেপ্টেম্বর (হিঃ ১০৬৭, ১১ই জিল হিজজ। ) তাহার জন্ম হয়। জীবনী-কোষ S (18 ১৬৮১ খ্ৰীঃ আবে তিনি র্তাহাঁর পিতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হইয়। মহারাষ্ট্র ভূপতি শভূজীর পক্ষাবলম্বন করেন। পরে তাহাদের পক্ষ পরিত্যাগপূর্বক পারস্তে প্রস্থান করেন এবং তথায় ১৭০৬ খ্ৰীঃ অব্দে (হিঃ ১১১৮) তাহীর মৃত্যু হয় । আওরঙ্গজীপ একসময়ে মুঘল পত্নীর গর্ভজাত বলিয়া তাহাকেই উত্তরধিকারী করিবেন বলিয়া স্থির করিয়|ছিলেন । আকবর খা—কাবুলের শাসনকৰ্ত্ত। দোস্ত মোহাম্মদ খাঁর ভারতে রাজকীয় বন্দীরূপে অবস্থান কালে ১৮৪১ খ্ৰীঃ অদের ২৬ শে ডিসেম্বর তিনি মাষ্টার মে কনটেনকে গুলি করিয়া হত্যা করেন। দোস্ত মোহাম্মদ পুনঃ কাবুলের সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত হইলে, ইংরেজ গভর্নমেণ্ট তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্র আফজল খtর পরিবর্তে র্তাহাকেই উত্তরাধিকারী বলিয়া স্বীকার করেন । ১৮৪৮ খ্রীঃ অব্দে তাহার মৃত্যু হইলে, গোলাম হায়দর খ। উত্তরাধিকারী নিৰ্ব্বাচিত হন । গোলাম হায়দরও মৃত্যুমুখে পতিত হইলে তাহার ভ্রাতা সের আলী উত্তরাধিকারী নিৰ্ব্বাচিত হন । ( ১৮৫৮ খ্ৰীঃ অব্দ ) । আকবর শ৷ (দ্বিতীয় )—দিল্লীর মোগল সম্রাট শাহ আলমের পুত্র । তাহার সম্পূর্ণ নাম আবুল নসর মইনু উদ্দিন মোহাম্মদ আকবর শী । তিনি
