আদি নাথ তাহার সমস্ত সাধনা থাকা সত্ত্বেও পুৰ্ব্বজন্মে তিনি কোন ধৰ্ম্মানুষ্ঠানে সীমান্ত প্রতারণা করিয়া নারী তীর্থঙ্কররূপে জন্মগ্রহণ করেন । তহরি মাতা প্রভাবতী গর্ভাস্থায় নান। পুষ্পের মল্ল ( মালা ) পরিধান করিতে অভিলাষী হইলে সমস্ত দেবদেবীরা তাহা আহরণ করিয়া তাহাকে প্রদান করেন । সেই জন্ত তাহার গর্ভজাত কন্যা মল্লিনাথ নামে অভিহিত হন । কুন্ত তাহার লাঞ্ছন ছিল । তাতার গাত্রবণ নীল ছিল । তিনি শমে তশিখরে মোক্ষলাভ করেন। দিগম্বর জৈনের মল্লিনাথকে নারী তীর্থঙ্কর বলয়া স্বীকার করেন না । বিংশ তীর্থঙ্কর মুনিসুব্রত রাজগৃহের রাজা মুমিত্রের পুত্র ছিলেন। তাহার মাতা গর্ভাবস্থায় নানাবিধ ব্ৰতানুষ্ঠান করিয়াছিলেন বলিয়া তিনি মুনিমুব্রত নামে অভিহিত হন । তাহার লাঞ্ছন কচ্ছপ এবং গাত্র কৃষ্ণবর্ণ ছিল । তিনি শমেতশিখরে মোক্ষলাভ করেন। একবিংশ তীর্থঙ্কর নমিনাথ মথুরার রাজা বিজয়ের পুত্র ছিলেন । বিজয় যখন শত্রুপক্ষীয়দের সঙ্গে যুদ্ধে ব্যাপৃত ছিলেন তখন র্তাহারা প্রস্তাব করেন যে, রাজমহিষী প্রাচীরসন্নিধানে আগমন করিলে তাহাকে নমস্কার করিয়া তাহারা প্রস্থান করিবে । রাজমহিষী প্রাচীর সন্নিধানে অসিলে, তাহারা প্ৰণাম ' রিয়া প্রস্থান করিলেন। সেইজন্ত রাণীর জীবনী-কোষ ১৭২ গর্ভজাত পুত্র নমিনাথ নামে খ্যাত হইলেন । র্তাহার লাঞ্ছন কৃষ্ণবর্ণ পদ্ম এবং গাত্র পীতবর্ণ ছিল । তিনি শমেতশিখরে মোক্ষলাভ করেন। র্তাহার এক সহস্র শিষ্য ছিল । দ্বা৭িংশ তীর্থঙ্কর নেমিনাথ (অন্তনাম অরিষ্টনেমী) সোরীপুরের রাজা সমুদ্রবিজয়ের পুত্ৰ ছিলেন । নেমিনাথ ভূমিষ্ঠ হইবার পূৰ্ব্বে রাজমহিষী একটি কৃষ্ণবর্ণ মণিবেষ্টিত রথচক্ৰ দেখিয় ছিলেন । সেইজষ্ঠ তিনি নেৰ্মিনাথ নামে কথিত হন । শ্ৰীকৃষ্ণ ও বলদেব র্তাহার সমসাময়িক ও অস্ট্রিীয় ছিলেন । র্তাহার লাঞ্ছন শঙ্খ ছিল এবং তাহার গtঐ কৃষ্ণবর্ণ ছিল । তিনি গিরনার পর্বতে (গুজরাটে) মোক্ষলাভ করেন । কথিত আছে শঙ্কর নামে এক রাজ। যশোমতী নামে তাহার মহিষী তৃষ্ণার্থ সন্ন্যাসীগণকে জল দান করিয়াছিলেন । সেই পুণ্যফলে রাজা শঙ্কর নেমিনাথ নামে তীর্থঙ্কর ও তাহার স্ত্রী সুরাটের এক পি খ্যাত রাজার কস্তারূপে জন্মগ্রহণ করেন । সেই জন্মে তাহীদের বিবাহ দিবসেই তাহার সন্ন্যাস ধৰ্ম্ম অবলম্বন করেন । ত্ররোবিংশ তীর্থঙ্কর পাশ্বনাথ । ( পাশ্বনাথ দেখ )। চতুৰ্ব্বিংশ তীর্থঙ্কর মহাবীর । ( মহাবীর দেখ ) । ( ২ ) অবধূত সম্প্রদায়ের অন্তর্গত একজন প্রসিদ্ধ যোগী ৷ ‘গোরক্ষ সংহিতার’ রচয়িতা গোরক্ষনাথ এই অদিনাথের এবং
