পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छाॉब्रव्ज़ নারীদিগকে ও সজেঘ গ্রহণ করিতে সম্মত হন । প্রকৃত পক্ষে আনন্দের যত্বেই ভিক্ষুণীগণ বৌদ্ধ সঙ্ঘে প্রবেশধিকার লাভ করেন । ( ২ ) সংস্কৃত কবি । তিনি ‘মাধবীলনকথ’ নামে একথানি গ্রন্থ রচনা করেন । এই সুন্দর গ্রন্থখানি সংস্কৃত ও প্রাকৃত উভয় ভাষাই রচিত । গদ্যtংশ সংস্কৃত এবং পদ্যাংশ প্রাকৃত । তিনি ভট্টবিদ্যাধরের শিষ্য ছিলেন । (৩) কাশ্মীরপতি হৰ্ষদেবের আমী ত্য । হর্ষদেবের আদেশে মড়ব রাজ্যস্থিত হোলডা ডামর ও লবণ্য ডামরদিগকে তিনি বিনাশ করেন। পরে তিনি রাজদ্রোহী উচ্চলের হস্তে নিহত হন । (৪) কাশ্মীরপতি উচ্চলের মাতুল। উচ্চল যখন কাশ্মীর সিংহাসন লাভের জন্য হর্ষদেবের সহিত যুদ্ধে ব্যাপৃত ছিলেন, তখন আনন্দ মডুব রাজ্যে বিদ্রোহ উপস্থিত করেন। পরে তিনি হর্ষদেবের সেনাপতি চন্দ্র রাজের সঙ্গে যুদ্ধে নিহত হন। আনন্দ কৃষ্ণ বস্তু—কলিকাতার শোভাবাজারের রাজবংশের প্রসিদ্ধ রাজা স্তার রাধাকান্ত দেবের দৌহিত্র । সমসাময়িক ব্যক্তিদিগের মধ্যে ইংরেজিতে র্তাহার দ্যায় সুশিক্ষিত ব্যক্তি খুব কম ছিল। তদ্ভিন্ন তিনি সস্তুত, গ্রীক, ল্যাটিন, হিব্রু, উর্দু, ফরাসী ও ফাশী ভাষাতেও বুৎপন্ন ছিলেন । বাঙ্গালার একখানি বিস্তৃত ইতিহাস এবং জীবনী-কোষ ՖԳՎ বাঙ্গালীয় বৈজ্ঞাণিক শব্দের একখানি অভিধান রচনা করিতে ইচ্ছুক ছিলেন। পুস্তকদ্বয়ের পাণ্ডুলিপি সমাপ্ত করিয়া গিয়াছেন মাত্র। তদানীন্তন বহু কৃতবিদ্য ব্যক্তি তাহার নিকট হইতে সাহিত্য আলোচনায় সাহায্য গ্রহণ করিড়েন। কথিত আছে, পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্য|সাগর তাহার নিকটে ইংরেজি শিক্ষা করেন । ১৮৯৭ খ্ৰীঃ অব্দে ৭৫ বৎসর বয়সে তাহীর মৃত্যু হয় । আনন্দগিরি— ১ ) ভগবান শঙ্করাচীর্য্যের শিষ্য ত্রেটিক আনন্দগিরি নামে খ্যাত ছিলেন । কিন্তু টীকা করে আনন্দগিরি স্বতন্ত্র ব্যক্তি । ( ২ শুদ্ধানন্দের শিষ্য । তিনি শঙ্কর-দিগ্বিজয় নামক গ্রন্থ এবং উপনিষদাদির টীকা, বেদান্তস্বত্রের টাকা, শ্ৰীমদ্ভগবদগীতার টীকা প্রভৃতি রচনা করেন । তিনি খ্ৰীঃ নবম শতাব্দির লোক ছিলেন । আনন্দ চন্দ্র নন্দী—বাঙ্গালী সাধক । ইহার নিবাস ত্রিপুর। জিলার কাণী কচ্ছ গ্রাম । সাধারণে সাধক আনন্দস্বামী নামে পরিচিত। সুপ্রসিদ্ধ সঙ্গীত রচয়িত দেওয়ান রামদুলাল মুন্সী ইহার পিতা। আনন্দচন্দ্র সিদ্ধপুরুষ ছিলেন । র্তাহার রচিত সঙ্গাত পূৰ্ব্ববঙ্গে বহুল প্রচলিত আছে। ত্রিপুর জিলার অপর প্রসিদ্ধ সাধক ও সঙ্গীত রচয়িত মনোমোহন দত্ত আনন্দচন্দ্রের শিষ্য ছিলেন। আনন্দ চন্দ্রের পুত্ৰ মহেন্দ্রচন্দ্র নন্দীও একজন খ্যাত নাম। সাধক ছিলেন ।