আনন্দচত্ৰ বৎসর মাদ্রাজে জাতীয় মহাসমিতির যে অধিবেশন হয়, তাহাতে চাকার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ হইতে আনন্দচন্দ্র বলিয়া পাঠান যে, কংগ্রেস যদি বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে আন্দোলন না করেন, তবে পূর্ব (Congress ) বাঙ্গাল কংগ্রেসের সম্পর্ক ত্যাগ করিবে । স্বনাম খ্যাত লালমোহন ঘোষ সেই অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন। উপরোক্ত স্বদেশী আন্দোলনের সময়ে আনন্দচন্দ্র, অশেষ প্রতিপত্তিশালী, সরকার অনুগৃহিত ঢাকার নবাব বাহাদুরের বিরুদ্ধে দাড়াইতে ও বিন্দুমাত্র ভীত হন নাই । ঢাকার তদানীন্তন ম্যাজিষ্ট্রেট হেয়ার সাহেব আনন্দচন্দ্রকে দমন করিবার বিশেষ চেষ্টা পান। ঐ সময়ে তাহাকে একটা হত্য সংশ্লিষ্ট মকৰ্দমায় আসামী করা হয় । আনন্দচন্দ্র স্বীয় স্বাভাবিক দক্ষতা সহকারে আত্মপক্ষ সমর্থন করেন । হাইকোর্টে সেই মকৰ্দমা মিথ্যা প্রমণিত হওয়ায়, তিনি সসন্মানে মুক্তি লাভ করেন । বঙ্গীয় মিউনিসিপ্যাল আইন প্রবৰ্ত্তিত হইলে, তিনিই প্রথম ঢাকা মিউনিসিপ্যালিটীর বে-সরকারী অধ্যক্ষ (Chairman) নিৰ্ব্বাচিত হন । ঢাকার অন্যতম জনহিতকর সঙ্ঘ পিপলস «Utroitfrītā”:R ( Peoples' Association ) এর তিনি একজন বিশেষ উৎসাহী সভ্য এবং পৃষ্ঠপোষক স্বরূপ জীবনী-কোষ -: خوا۹ نه ছলেন। পূৰ্ব্ব বঙ্গের জমিদারদিগের To (East Bengal Land Holders Association ) G 5tet: estelস্বরূপ ছিল । তিনি কিছুদিন বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সভ্য হইয়াছিলেন । তিনি ঢাকা জগন্নাথ কলেজের অন্যতম ট্রাষ্ট্রী ও তাহার কার্য্যকরী সমিতির সভ্য ছিলেন । ১৯১২ খ্রীঃ অব্দে ঢাকা নগরীতে যে বঙ্গীয় প্রাদেশিক রাষ্ট্রীয় সম্মেলন ( Bengal Provincial Conference ) &, föfa তাহার অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি হইয়া এক অতি মূল্যবান বক্তৃত। প্রনি করেন । ১৯০৮ খ্ৰীঃ অব্দে, সুদীর্ঘ চল্লিশ বৎসর কাল আইন ব্যবসায়ে লিপ্ত থাকিয়া, তিনি অবসর গ্রহণ করেন । কিন্তু জনহিতকর কার্য্যের সহিত যোগ ছিন্ন করেন নাই । তিনি নীরবে লোকচক্ষুর অন্তরালে সাধারণের অনেক মঙ্গলসাধক কার্য্যে নিযুক্ত থাকিতেন । বহু হ্রস্ত পরিবার নিয়ম মত র্তাহার অর্থ সাহায্য লাভ করিত এবং অনেক দরিদ্র ছাত্রের তিনি ভরণপোষণ করিতেন । সংস্কৃত শিক্ষায় তাহার বিশেষ অনুরাগ ছিল । তাহার পত্নী আনন্দময়ী দেবী, তাহার তিন বৎসর পূৰ্ব্বে মৃত্যুমুখে পতিত হন। আনন্দ চন্দ্র সহধৰ্ম্মিণীর নামে একটী বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করিয়া গিয়াছেন। আগ্রার প্রসিদ্ধ চিকিৎসক ও *কতকাল