পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯৭ ছিলেন । সেই সময়ে আবদুল করিম খ আলীবর্দির অধীনে একজন সেনাপতির পদে নিযুক্ত ছিলেন । আলীবর্দি তাহার সাহায্যে বিহারের বিদ্রোহী জমিদারদিগকে পরাজিত ও বশীভূত করেন । কিন্তু পরে তিনিই গোপনে আবদুল করিমকে হত্যা করিয়াছিলেন। আবদুল করিমের ধৰ্ম্মদ্রোহিতাই এই শোচনীয় ঘটনার মূল কারণ । (২) তিনি বিজাপুরপতি আলী জাদিল শাহের একজন বিচক্ষণ সেনাপতি ছিলেন । শিবাজীর সেনাপতি প্রতাপ রাও গুজর পনহল দুর্গ আক্রমণ করিলে, তিনি বীর বিক্রমে তাহার প্রতিরোধ করেন । অবশেষে প্রতাপ রাও র্তাহার হস্তে নিহত হন । তিনি জাতিতে আফগান ছিলেন । প্রথমে তিনি খ। জাহান লোদীর অধীনে কার্য্যগ্রহণ করেন । র্তাহার পতনের পর তিনি বিজাপুরপতি জালী আদিল শাহের অধীনে কাৰ্য্য গ্রহণ করেন । ১৬৭২ খ্ৰীঃ আবেদ আদিল শাহের মৃত্যুর পরে সেকেন্দর আদিল শাহ রাজা হন । এই সময়ে বিজাপুরের অবিসিনীয় সেনাপতি খাবাস খ ও আবদুল করিমের মধ্যে প্রাধান্ত লইয়। .খুব বিবাদ উপস্থিত হয় । আবদুল করিম প্রতারণাপুৰ্ব্বক খাবাস খাকে নিহত করেন । এই আবদুল করিমকে ঘুষ দিয়া শিবাজী দাক্ষিণাত্য জয় করিয়াছিলেন । আবদুল করিম ও ভারতীয়-ঐতিহাসিক আবদুল করিম দিলীর র্থ উভয়ে গোলকুণ্ড আক্রমণ করেন । কিন্তু তাহারা পরাজিত হন । আবদুল সেই যুদ্ধে মৃত্যু মুখে পতিত श्न । আবদুল করিম মুন্সী – তিনি ফাশীতে ‘তারিখ-ই-আহাম্মদ’ নামক আহাম্মদ শাহ জুরাণী ও র্তাহার বংশধরদের ইতিহাস রচনা করেন । মূলগ্রন্থ ফাশীতে লিথোগ্রাফ হয়, পরে ১৮৭৫ খ্ৰীঃ অব্দে ‘ওয়াকত-ই-জুরাণী’ নামে ইহার এক উর্দু অনুবাদ প্রকাশিত হয় । ‘মুহরব-ই-কাবুল ও কান্দাহার’ নামে র্তাহার আর একখানা বড় গ্রন্থও আছে । ইহাতে দোস্ত মোহাম্মদ খার পুত্র আকবর খার বীরোচিত কার্য্যের বর্ণনা আছে । শিখ যুদ্ধ সম্বন্ধে ‘তারিখ-ই-পাঞ্জাব’ ‘তহফত-নলিল আহবাব’ নামক আর একখানা গ্রন্থও তিনি লিখিয়াছেন। প্রায় ৮০ বৎসর হইল তাহার মৃত্যু হইয়াছে। আবদুল করিম, মৌলবী—একজন গ্রন্থকার । তাহার জন্ম স্থান ফরিদপুর জিলার অন্তর্গত চরসিমুলিয়া । সালে তাহার রচিত ‘নলি হতে করিম।” নামক গ্রন্থ প্রকাশিত হয় । সালে তাহার “ফজায়েলে হরমায়েল”, ১২৯৩ সালে “ফজিলাতে হজ’, ১৩০০ সালে ‘মকিদল খালীয়েক’, এবং ১৩০১ সালে ‘মফিদল ইসলাম’ প্রকাশিত হয় । আবদুল করিম, হাজী-বাঙ্গালার } Э o e > & ゲ●