জীবনী-কোষ Sty পাঠান শাসনকৰ্ত্ত আহাম্মদ শাহের সুবিখ্যাত পণ্ডিত। তিনি বদtয়ুনের শেখ সময়ে ( ১৪২৬ খ্ৰীঃ অব্দে ) জৌনপুরের সুলতান ইব্রাহিম শ বাঙ্গালা আক্রমণ পূৰ্ব্বক, বহু ধন রত্ন ও বহু লোককে বনী করিয়া লইয়া যান । আহাম্মদ শাহ, হিরাটনগরের অধিপতি তাইমুরের পুত্র শাহরুখের নিকট প্রতিকার প্রার্থী হন । সম্রাট শাহরু, হাজী আবদুল করিমকে জৌনপুরপতি ইব্রাহিমের নিকট প্রেরণ করিয়া, অবিলম্বে বন্দীদিগকে মুক্তি দিতে আদেশ প্রদান করেন । সেই আদেশ প্রতিপালিত হইয়াছিল । আবদুলকাদি — ফাশী গ্রন্থকার । তিনি অযোধ্য প্রদেশের অধিবাসী ছিলেন। তিনি "জামি-উত-তোয়ারিখের’ কোন কোন স্থান ফাশীতে অনুবাদ করেন। ইহা একটা অপূৰ্ব্ব পুস্তক । ইহাতে বিজ্ঞান সম্বন্ধে সমুদয় বিষয়, ভারতবর্ষের সমুদয় সাধু মহাপুরুষের জীবনী, তাহাদের ভিন্ন ভিন্ন শাখার বিষয় এবং বৌদ্ধদেবের জীবনী বর্ণিত আছে । আবদুলকাদের—তিনি একজন গ্রন্থকার। মেদিনীপুর জিলায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন । র্তাহার ‘বকার বালা মাতম হুশেন’ নামক একখানি গ্রন্থ ১২৯৬ সালে প্রকাশিত হয় । আবদুলকাদের, বদায়ুনী শেখ — সম্রাট আকবরের সমসাময়িক একজন মোলুক শাহের পুত্র এবং নাগোরের শেখ মবারকের ছাত্র । তিনি যেমন । আরবী ও ফাশীতে তেমনি সংস্কৃতেও অসাধারণ পণ্ডিত ছিলেন । সম্রাট আকবরের আদেশে তিনি রামূায়ণ প্রভৃতি সংস্কৃত গ্রন্থ ও আরবী জমি-উর-রসিদি প্রভৃতি গ্রন্থ ফাণীতে অনুবাদ করেন । এই সকল কাজের জন্ত সম্রাট তাহাকে যথেষ্ট পুরস্কার প্রদান করিতেন। একবার তিনি সম্রাটের নিকট হইতে কে”নও কাজের জন্য দেড়শত স্বর্ণ মুদ্রা, দ খ সহস্র রৌপ্যমুদ্রাও নিস্কর ভূমিবৃত্তি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন । সম্রাট র্তাহার প্রতি কারুণ্য প্রদর্শন করিতে কখনও করেন নাই । তৎসত্ত্বেও তিনি সম্রাটের প্রতি প্রতিকূলভাব পোষণ করিতেন । তিনি ছিলেন অতিশয় গোড়া মুসলমান সুতরাং সম্রাটের উদার ধৰ্ম্ম মত আদেী তাহার মনোমত ছিল না । চল্লিশ বৎসর কাল তিনি শেখ মবারক, ফৈজী ও আবুল ফজলের সহিত একত্র বাস করিয়াও, তাহীদের সহিত প্রতিস্থত্রে মিলিত হইতে পারেন নাই । তাহার রচিত গ্রন্থের মধ্যে (১) প্রসিদ্ধ হদিস গ্রন্থ সম্বন্ধে বহর-উল-অসমার, (২f নীতি ও ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে সলজাত-উর-রসিদ, (৩) মুঘল রাজত্ব সম্মন্ধে মন্তখব-উততোয়ারিখ প্রভূতি প্রধান। তন্মধ্যে
