পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిరిసి র্তাহার.দুর্গে আশ্রয় নিতে বলেন। পরে প্রতিজ্ঞ। ভঙ্গ করিয়৷ বোজীপুরের রাজাকে বধ করেন, এবং তঁtহার স্ত্রীকে স্বীয় অন্তঃপুরে গ্রহণ করেন । আবদুল্লা খা, সৈয়দ—তিনি বাঢ়ের সৈয়দ বংশসস্তৃত ছিলেন । সম্রাট আওরঙ্গ জীবের পৌত্র ( দ্বিতীয় পুত্রের পুত্ৰ) আজিম উসমান তাঁহাকে এলাঃবাদের নায়েবর্তী প্রদান করেন । তাহার কনিষ্ঠভ্রাত। হুশেনঅtলী খাও বিহারের নায়েবতী প্রাপ্ত হন । আজিম উসমান জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা কর্তৃক নিহত হইলে, রাজকুমার ফারুক শিয়ার সিংহাসন অধিকার ও পিতৃহত্যার প্রতিশোধ মানসে প্রথমে বঙ্গ ও উড়িষ্যার নায়েব মুর্শিদ কুলী খাঁর সাহায্য প্রাধুনা করেন, বিফল মনোরথ হইয়। পরে হুশেন আলী খfর শরণাপন্ন হন । হুশেন প্রথমে সাহায্য দানে অস্বীকৃত হয়েন, পরে ফরুক শিয়ারের শিশু কন্যা ও মাতার অনুরোধে সাহায্য করিতে সম্মত হন. হুশেন আলী খাঁ ও তাহার ভ্রাত্ত আবদুল্ল খ। ফরুক শিয়ারের পক্ষ অবলম্বন কারলে, এলাহাবাদের সন্নিকটে এক তুমুল যুদ্ধে জাহান্দর শাহ পরাস্ত হন এবং ফরুক শিয়ার সিংহাসন প্রাপ্ত হন । আবদুল্লা পুরস্কার স্বরূপ উজীর পদ লাভ করেন । সৈয়দ ভ্ৰাতৃ যুগলই রাজ্য লাভের মূলাধার ছিলেন, এই হেতু সম্রাটকে নাম মাত্র সম্মান প্রদর্শন ネ"ー、br ভারতীয়-ঐতিহাসিক করিয়া, নিজেয়াই শাসনকাৰ্য্য পরিচালনা করিতে লাগিলেন । র্তাহীদের এইরূপ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে শত্রু বৃদ্ধিও হইল । রাজদরবারের অমাত্য ও পরিষদগণ পাদশাহের সঙ্গে মিলিত হইয়া, সৈয়দ যুগলের উচ্ছেদ সাধন মানসে সচেষ্ট হইলেন । কিন্তু তাঙ্গাদের চেষ্টা সফল হয় নাই। ষড়যন্ত্রের রিষয় প্রকাশ হইয়া পড়িল । ভ্রাতৃদ্বয় সম্রাটের দৃষ্টি শক্তি নাশ করিয়া তাহাকে কারাগারে বন্দী করিয়া রাখিলেন । বাদশাহ কারাগারের ক্লেশ লাঞ্ছনা সহ্য করিতে অসমর্থ হইয়া, প্রহরীদের সহিত ষড়যন্ত্র করিয়া, মুক্তিলাভের চেষ্টা করেন । সেই ঘটনা ও প্রকাশ হওয়ায় সৈয়দ ভ্রাতৃয়গল আহার্য্য বস্তুতে বিষ মিশ্রিত করিয়া, তাহাকে বধ করেন । ফরুক শিয়ারকে বন্দী করিয়া, রফি-উদদী রাজতকে সিংহাসনে স্থাপন করেন । এবং তাঁহাকে নামমাত্র সম্রাট করিয়া নিজেরাই সমস্ত রাজকাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ করিতে থাকেন। নব নিযুক্ত সম্রাটের ইহা অসহ বোধ হওয়ায়, তিনি স্বীয় জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা রফি উদ্দৌল্লার নামে শিক্কা ও খোতলা প্রচারের প্রস্তাব করিয়া, এই প্রহসন হইতে “ বিদায় প্রার্থনা করেন। তখন উজীর ও ভ্রাত হুশেন আলী, রফি উদ্দৌল্লার নামে শিক্কা ও খেতিব প্রচলিত করিলেন। রফি উদ্দৌল্লার মৃত্যুর পর, সৈয়দ ভ্রাতৃ