পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আবুল ফজল জীবনী-কোষ ২১8 আবুল ফজল—তিনি একজন প্রসিদ্ধ ঐতিহাসাকি পণ্ডিত এবং পারগু ভাষার ‘তারিখ-ই-বাইহাকী’ নামক একখানি প্রসিদ্ধ ইতিহাস গ্রন্থ রচনা করেন। আবুল ফজল, শেখ — সম্রাট আকবরের অন্যতম মন্ত্রী ও প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক । তিনি নাগোরের শেখ মবারকের পুত্র । মবারকের পিতা অর্থোপার্জনের জন্ত স্বীয় জন্ম ভূমি আরব দেশ ত্যাগ করিয়া, ভারতবর্ষে আগমন করেন । আবুল ফজলের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার নাম শেখ আবুল ফৈজি। ১৫৫১ খ্ৰীঃ অব্দে আবুল ফজলের জন্ম হয়। আকবরের উনবিংশ বর্ষ রাজত্ব কালে তিনি র্তাহীর সহিত পরিচিত হন । তিনি প্রসিদ্ধ ‘আকবর নামা’ ও ‘আইন-ই আকবরী’ নামক গ্রন্থের রচয়িতা। ‘মক্তোবাত-আল্লমী’ নামক তাহার পত্রাবলী রাজকীয় দরবারের উচ্চ আদর্শে পূর্ণ। ১৫৯৭ খ্ৰীঃ অব্দে সুলতান মুরাদের সঙ্গে তিনি দাক্ষিণাত্য বিজয়ে প্রেরিত হইয়াছিলেন । রাজকুমার সেলিম, আবুল ফজলের জন্য অনেক অন্যায় কাৰ্য্য হইতে বিরত হইতে বাধ্য হন। তজ্জন্ত তিনি আবুল ফজলের উপর জাত ক্রোধ ছিলেন পাচ বৎসর পরে যখন তিনি প্রত্যাবর্তন করিতেছিলেন সেই সময় রাজকুমার সেলিমের পরামর্শে বুন্দেল খণ্ডের অন্তর্গত আৰ্চার রাজা বীরসিংহদেৱ তাহাকে ১৬০২ খ্ৰীঃ আবে নিহত করিয়া, তাহার ছিন্ন মস্তক সেলিমের নিকট প্রেরণ করেন । সেলিম ঐ মস্তক জঘন্ত স্থানে নিক্ষেপ করিয়া স্বীয় জঘন্ত মনোবৃত্তির পরিচয় দিয়াছিলেন। সম্রাট আকবর স্বীয় বন্ধু ও মন্ত্রীর মৃত্যু ংবাদে এত মৰ্ম্মাহত হইয়াছিলেন যে, তিনি দুই দিন দুই রাত্রি আহার নিদ্রা পরিত্যাগ করিয়াছিলেন । আবুল ফতে বেলগ্রামী, কাজী – তিনি শেখ কামাল নামেই সাধারণতঃ প্রসিদ্ধ। ১৫১১ খ্ৰীঃ অব্দে তাহার জন্ম হয়। প্রসিদ্ধ মুঘল সম্রাট আকবরের রাজত্ব কালে তিনি বেল গ্রামের কাজী ছিলেন । ১৫৭৯ খ্ৰীঃ অব্দে বঙ্গের । শাসনকর্তা মজফর খাঁ তিৰ্ব্বতির नमt" তিনি দিল্লীর সম্রাট আকবর শাহ কর্তৃক বঙ্গের প্রধান বিচারপতি পদে নিযুক্ত হন । ১৫৯২ খ্ৰীঃ অব্দে তাহার মৃত্যু ३श्न । আবুল ফতে, শেখ—তিনি বিখ্যাত মৌলানা কাজী আবদুল মুক্তাদীর পৌত্র । জৌনপুরের এই বিখ্যাত মৌলবী শেখ আবুল ফতে অতিশয় বিদ্বান, ধৰ্ম্মপিপাসু ও নির্লোভ ছিলেন। তিনি ধনীর নিকট কখনও কিছু প্রার্থনা করিতেন না। এমন কি দিলেও তাছা গ্রহণ করিতেন না । জৌনপুরের সুলতান ইব্রাহিম তাহার বাসগৃহের দরজার চৌকাঠ ভক্তির সহিত চুম্বন