さめ午 ৬৬ বিঘা নিস্কর ভূমি র্তাহীকে প্রদত্ত হইয়াছিল । স্বদেশ হইতে র্তাহার পরিবারবর্গকেও নবাব আনয়ন করেন। এখনও সেই বিখ্যাত ফকিরের বংশধরগণ তথায় বাস করিতেছেন । আৰু হুশেল, কুতব শাহু—তিনি গোলকুণ্ডর কুতবশাহী বংশের শেষ নরপতি । ১৬৭২ খ্ৰীঃ অবো তাহার শ্বশুর আবদুল কুতব শাহের মৃত্যুর পরে তিনি সিংহাসনে আরোহণ করেন । দিল্লীর সম্রাট আওরঙ্গজীব গোলকুণ্ড৷ অধিকার করি 1ার জন্ত নানারকম ছল অন্বেষণ করিতেছিলেন । কিন্তু তাঁহাতে কৃতকার্য না হইয়া, তিনি স্বীয় পুত্র শাহ আলম ও খ; জাহানের অধীনে প্রবল এক সৈন্তদল প্রেরণ করিয়া গোলকুণ্ড আক্রমণ করিলেন । আবু হুশেন সেনাপতি ইব্রাহিম খাকে প্রতিরোধার্থ প্রেরণ করেন । মুঘল সেনাপতি থ! জাহীন অতি কষ্টে পলায়ন করিয়া প্রাণ রক্ষা করেন । পরে এই ইব্রাহম খাই বিশ্বাসঘাতকতা পূৰ্ব্বক মুঘল পক্ষ অtশ্রয় করেন । বু হুশেন অন্তন্তোপার হইয়৷ অতি হীন সন্ধিতে আবদ্ধ হইয়া, রক্ষা পান । আওরঙ্গ জীব ইহাতে অসন্তুষ্ট হইয়। শাহ আলম ও খা জাহানকে অতিশয় তিরস্কার করেন । ১৬৮৭ খ্ৰীঃ আবেদ আওরঙ্গজীব গুলপর্গের প্রসিদ্ধ ফকির সৈয়দ মোহাম্মদ গিগুর সমাধি দর্শন ভারভায়-এাত্তহাসিক আববাস মির্জা করিতে যাইতেছেন বলিয়া, প্রকাশ করেন। আবু হুশেন তাহার বাক্যে বিশ্বাস স্থাপন করিয়া, তাহাকে ৫ লক্ষ স্বর্ণ মুদ্র প্রেরণ করিলেন । কিন্তু আওরঙ্গজীব গোলকুণ্ডার সমীপবৰ্ত্তী হইয়া, স্বীয় মুৰ্ত্তি ধারণ করিলেন এবং অতি হীন ভাবে একখানা চিঠি লিখিয়া র্তাহার রাজ্য আক্রমণ করিলেন । সেনাপতি আবদুর রজ্জাকের কৃতিত্বে আওরঙ্গ জীব আট মাস পর্য্যন্ত গোলকুণ্ড। অধিকার করিতে পারেন নাই ! অবশেষে আবদুর রজ্জাক বিশ্বাস ঘাতকতাপূৰ্ব্বক মুঘল পক্ষ অবলম্বন করিলে, আবু হুশেন পরাজিত ও বন্দী হইয়। দৌলতাবাদে প্রেরিত হন এবং তথায় ১৭০৭ খ্রীঃ আবেদ পরলোক গমন করেন । আববাস আলী—একজন পারমার্থিক সংগীত রচয়িতা । তাহার জন্মস্থান চট্টগ্রাম । আববাস বিল আলি সারবাণী— তিনি শের শাহের রাজত্বের একটি সুন্দর ইতিহাস লিখিয়া সম্রাট আকবরের নামে উৎসর্গ করেন । তাহার গ্রন্থের নাম “তোছকাই আকবর শাহী’ ইহার প্রথম অংশ লর্ড কর্ণওয়ালিসের সময়ে মজর আলী কর্তৃক উর্দুতে অনুবাদিত হয় । ইহাকে ‘তোয়ারিক-ই-শের শাহী’ও বলে । আববাস মির্জা—কবি ও গ্রন্থকার।
