পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাৰ্য্যখপুত আৰ্য্যখপুত—একজন জৈনচাৰ্য্য। তিনি একজন প্রতিদ্বন্দ্বী বৌদ্ধ সন্ন্যাসীকে বিচারে পরাস্ত করিয়া, জৈনমতের প্রাধান্ত স্থাপন করেন । সম্ভবতঃ ৫৫ খ্ৰীঃ পূৰ্ব্ব অব্দে ইহা সংঘটিত হয়। আৰ্য্যচন্দ্র -- বৈভাষিক আৰ্য্যচন্দ্র একজন মহাযান মতাবলম্বী বৌদ্ধ গ্রন্থকার । তাছাঁর রচিত গ্রন্থের নাম ‘মৈত্ৰেয় ব্যাকরণ’ | আৰ্য্যদেব—বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের প্রসিদ্ধ মাধ্যমিক শাখার প্রবর্তক নাগাৰ্জ্জুনের শিষ্য । তাহার নামান্তর কাণদেব ও নীলনেত্র। তিনি সিংহলের অধিবাসী ছিলেন। নাগাৰ্জুনের সহিত ধৰ্ম্ম ও দার্শনিক তত্ত্ব আলোচনা করিবার জন্য তিনি সিংহল হইতে এদেশে আগমন করেন। খ্ৰীঃ চতুর্থ শতাব্দীর প্রথম ভাগে কুমারজীব কর্তৃক তাহার জীবনাথ্যান চীন ভাষায় অনুদিত হয়। র্তাহার রচিত প্রসিদ্ধ গ্রন্থ গুলির নাম 'চতুঃশতক’, চিত্তবিগুদ্ধি প্রকবণ ও ‘হস্তবল প্রকরণ’। আর্য্যদেবের চতুঃশতক গ্ৰন্থখানির একটী টীকা চন্দ্র কীৰ্ত্তি কর্তৃক রচিত হয়। আর্য্যদেব খুব সম্ভব ৩য় শতাব্দীর প্রথম ভাগে বৰ্ত্তমান ছিলেন । এইরূপ কিম্বদন্তি আছে যে, তিনি একবার অপর একজন ধৰ্ম্মীচার্য্যকে বিচারে পরাস্ত করেন । ইহাতে পরাভূত ধ্যক্তির এক শিষ্য ক্রোধপরবশ হইয়া, তাহার জীবন সংহার করে। জীবনী-কোষ २२४” নাগাৰ্জুনের প্রজ্ঞা-পারমিতা-স্বত্র’ নামক গ্রন্থের সাহায্যে আর্য্যদেব বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের মহাযান মতবাদ চতুর্দিকে প্রচার ' করিয়ছিলেন। তিনি খ্ৰীঃ তৃতীয় শওকে অনেকগুলি সংস্কৃত বই রচনা করেন। তাহার রচনাদ্ধারাই মহাযান বৌদ্ধ মত বিশেষ প্রতিষ্ঠা লাভ করে । আৰ্য্যদেব শূণ্ঠবাদী ছিলেন। র্তাহার জন্মস্থান দাক্ষিণাত্য প্রদেশ। তিনি মহাকৌশল, শ্রশ্ন, প্রয়াগ, চোল ও বৈশালী প্রভৃতি দেশে ভ্রমণ করিয়াছিলেন । আর্য্যধৰ্ম্ম ত্রাভ—তিনি নরপতি বসুমিঞ্জের পিতৃব্য ছিলেন। খ্ৰীঃ প্রথ, শতাব্দীতে তিনি ‘ধৰ্ম্মপদ’ গ্রন্থ চীনদেশে বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রচারার্থ লইয়া গিয়াছিলেন । আৰ্যবিমুক্ত সেন—তিনি প্রসিদ্ধ। বৌদ্ধ দার্শনিক বসুবন্ধুর শিষ্য ছিলেন । তিনি পঞ্চবিংশতি সাহত্রিক। পরিমিতার ভাষ্য রচনা করেন । আর্য্যভট্ট প্রথম—ভারতীয় জ্যোতিষ শাস্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা । জ্যোতিষী আৰ্য্য ভট ৪৭৬ খ্ৰীঃ অব্দে (৩৯৮ শকে) কুসুমপুরে ( পাটলীপুত্র বা বৰ্ত্তমান পাটনা নগরে ) জন্মগ্রহণ করেন। তিনি গ্ৰীকৃদিগের নিকট অঙ্কু বেরিয়ুস এবং আরবীরগণের নিকট অর্জভর নামে পরিচিত ছিলেন । তাহার ‘কুট্টকবিধি” ” বিদেশীয় পণ্ডিতগণের বিস্ময় উৎপাদন করিয়াছিল। তাহার রচিত পুস্তক ‘আৰ্য্যভট তন্ত্র’ নামে খ্যাত । ইহা প্রজ্ঞা