পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8(t শেষ ভাগেই গঙ্গা উত্তীর্ণ হইয়া কাটোয়। নগরে ভাস্কর পণ্ডিতকে আক্রমণ করিলেন । নবাব সৈন্ত মহারাট্রাদের পশ্চাদমুসরণ করিয়া বহুলোককে নিহত করিল এবং তাহীদের দ্রব্যজাত হস্তগত করিল । ভাস্কর পণ্ডিত উড়িষ্যার আশ্রয় লইলেম । এখানে ভাস্কর পণ্ডিত উড়িষ্যার শাসনকর্তা মামুদ থাকে পরাজিত ও নিহত করিলেন । নবাবও উড়িযু্যায় উপস্থিত হইলেন । কটকের নিকটে নবাব সৈঙ্গের সহিত ভাস্কর পণ্ডিতের যুদ্ধ হইল। এই যুদ্ধে ভাস্কর পণ্ডিত পরাজিত হইয়া, স্বদেশে গমন করিলেন । নবাব কটকের শাসন ভার রসুল গার হস্তে ন্তস্ত করিয়া, মুরশিদাবাদে প্রত্যাবর্তন করিলেন । মহারাট্ট অভিযান এখানেই শেয হইল না । রঘুজী ভোঁসলে তাহার সেনাপতি ভাস্কর পণ্ডিতের পরাজয়ে অতিমাত্র ক্রুদ্ধ হইয়া বিপুল একদল সৈন্তসহ বাঙ্গাল দেশ আক্রমণ করিলেন । ঠিক সেই সময়ে পুণার পেশোয়৷ বালাজী বাজী রাও, একদল সৈন্ত লইয়া দিল্লীর সম্রাটের দেয় চেীথের টাকার বরাতি চিঠি লইয়া, বিহারের পথে বাঙ্গালায় উপস্থিত হইলেন । নবাব বহু অর্থ প্রদান করিয়া, বালাজী বাজী রাওকে স্বপক্ষে আনয়ন করিলেন। ভরতীয়-ঐতিহাসিক আলীবর্দী সৈন্ত এক যোগে রঘুজী ভোঁসলের সৈন্তকে আক্রমণ করিবে । রঘুজী অবস্থা ভাল নহে বুঝিয়া, স্বদেশে প্রস্থান করিলেন এবং নবাব আপাততঃ রক্ষা পাইলেন। পরবৎসরই রঘুজী ভোঁসলে বিংশতি সহস্র সৈন্তাসহ ভাস্কর পণ্ডিতকে বাঙ্গালাদেশ আক্রমণ করিতে পাঠাইলেন । তাহাকে বলিয়া দিলেন প্রচুর অর্থ পাইলে সন্ধি করিতে আপত্তি নাই । নবাব ভাস্কর পণ্ডিতের সহিত সন্ধি করিবার জন্ত, সেনাপতি মুস্তাফ থা ও রাজা জানকীরাম রায়কে পাঠাইলেন । ভাস্কর পণ্ডিত প্রচুর অর্থ চাহিলেন । দূতদ্বয় তাহাতে সন্মতি জ্ঞাপন করিয়া নবাবের সহিত র্তাহার সাক্ষাতের প্রার্থনা জ্ঞাপন করিলেন । তাহাতে পণ্ডিত সম্মত হইলেন । নির্দিষ্ট দিনে ভাস্কর পণ্ডিত নবাব শিবিরে উনিশ জন প্রধান সেনাপতিসহ প্রবেশ করিলে, নবাব আলী বন্দীর আদেশে তাহারা সকলেই ছিন্নশির হইলেন । অন্যতম মহারাট্ট সেনাপতি রঘু গাইকোয়ার তাহার অধীনে রক্ষিত সৈন্তসহ পলায়ন করিলেন । নবাব সৈন্ত তাতাদের অমুসরণ করিয়া অনেককে শমন সদনে প্রেরণ করিলেন। বলা বাহুল্য এই বিশ্বাস ঘাতকতার প্রতিবিধান করিতে রঘুজী ভোঁসলে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হইলেন এবং প্রবল এক কথা হইল বালাজীর সৈন্ত ও নবাব সৈন্ত বাহিনী সংগ্রহে প্রবৃত্ত হইলেন ।