পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&8ማ আহাম্মদকে ১৭ দিন পর্য্যন্ত অকথ্য অত্যাচারে জর্জরিত করিয়া, তাহারা তাহাকে যমালয়ে পাঠাইলেন । তাহার আবাস গৃহে সমসের খাঁ প্রচুর অর্থ প্রাপ্ত হইলেন । এই দুর্ঘটনার সংবাদ শুনিয়া আলী বন্দী খাঁ সসৈন্তে পাটনায় উপস্থিত হইলেন । ঘোরতর যুদ্ধের পর সমসের থ ও সর্দার খ। নিহত হইলেন এবং তিনি স্বীয় কণ্ঠ কে উদ্ধার করিলেন । সিরাজউদৌল বিহারের সুবেদার হইলেন । আলী বন্দীর দ্বিতীয় জামাতা সৈয়দ আহাম্মদ পূর্ণিয়ার ফৌজদারের পদে প্রতিষ্ঠিত হইলেন। সেনাপতি আতাউল্লা থৰ্ণ ষড়যন্ত্রের অভিযোগে রাজ্য ইহতে বিতাড়িত হইলেন । জানুজা ভোঁসলে মীর হলিব সহ বঙ্গদেশ লুণ্ঠন করিতে আসিয়া ছিলেন। সর্দার খ ও সমসের খার পতন দৃষ্টে তিনি বাঙ্গাল দেশ পরিত্যাগ করিয়৷ চলিয়া গেলেন । পাটনীর এই সকল গোলমালের অবসামে আলী বন্দী খ উড়িষ্যা দেশ মহারাট্রীদের কবল হইতে উদ্ধার করিতে অভিলাষী হইলেন । তিনি সসৈন্তে কটকে উপস্থিত হইলেন । মহারাট্টার তাহার আগমনে পলায়ন করিল। এই সময়ে সিরাজউদৌল বিহারের স্বাধীন নরপতি হইবার অভিলাষে পাটনাভিমুখে রওনা হইলেন। রাজা জানকীরাম সিরাজ উদ্দৌলার প্রতিনিধি বীপে পাটনায় ভারতীয়-ঐতিহাসিক जालौबकों থাকিয়া বিহার শাসন করিতেছিলেন । তিনি নবাব আলীবর্দী খণর বিনা হুকুমে দুর্গ ছাড়িলেন না। উভয় পক্ষে যুদ্ধ বধিল । সিরাজ পরাজিত হইয়া এক সামান্ত গৃহে আশ্রয় লইলেন । রাজা জানকীরাম তাহাকে সাদরে এক উৎকৃষ্ট প্রাসাদে আনয়ন করিলেন । নবাব আলীবর্দী থ দৌহিত্রের এই আচরণে অতিমা এ চিস্তিত হইয়। পাটনায় উপস্থিত হইলেন । সিরাজ উদ্দেল মাতামহের আশ্রয়ে আসিলেন । নবাবের উড়িষ্যা হইতে চলিয়। আসিবার পরেই, মহারাট্রীরা আবার উড়িযু অধিকার করিলেন । নবাব অী বীর তাহাদিগকে তাড়াইয়া দিলেন। অবশেৰে নবাব মহারাট্রাদিগকে উড়িষ্য। প্রদেশ চেীথের পরিবৰ্ত্তে ছাড়িয়া দিয়া তাetদের সহিত সন্ধি করিলেন । ১৭৫৬ খ্রী: অব্দের প্রথম ভাগে নোয়াজিস মোহাম্মদ, ইহার অল্প কয়েক দিন পরেই সৈয়দ আহাম্মদ পরলোক গমন করেন । উভয় জামাতার মৃত্যু আলী বৰ্দ্দার খার প্রাণে খুবই বাজিল । সেই বৎসরেই তিনিও পরলোক গমন করিলেন । নবাব সিরাজউদৌল মাতামহের উক্ত সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হইলেন । নবাব আলীবর্দী খাঁর চরিত্রের কয়েকটি বিশেষত্ব ছিল । যৌবন কাল হইতেই শুনি মুর বা অপর কোন মাদক