পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/২৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هذ8ج বাক্যে নবাবকে আমোদিত করিত । তৎপরে তিনি উপাসনার জন্ত গাত্রোথান করিতেন এবং উপাসনান্তে খাস কামরায় বেগমদিগের নিকট বসিতেন। এই সময়ে রাত্রি নয়ট পৰ্য্যন্ত র্তাহার নিকটসম্পর্কিয়া আত্মীয়া মহিলারা অসিতেন । মহিলারা চলিয়৷ গেলে পুরুষেরাও র্তাহার নিকট আসিতেন । তৎপরেই তিনি শয়ন করিতে গমন করিতেন । রাত্রিতে আর ভোজন করিতেন না । সকল কার্য্যের জন্তই তাহার একটা সময় নির্দিষ্ট ছিল । তিনি অতিশয় দয়ালু ও বদান্ত ছিলেন। র্তাহার আত্মীয়বর্গ, মিত্র সকল, র্তাহার হীনবস্থার সময়ে সাহায্যকারী বন্ধুবৰ্গ সকলের প্রতিই তিনি অতি দয়ালু ছিলেন । দিল্লীতে যখন তিনি হীনাবস্থায় ছিলেন, সেই সময়ের সাহায্যকারী বন্ধুদিগকে ও তাহীদের সন্তানসন্ততিকে বঙ্গদেশে আনয়নপূৰ্ব্বক যথেষ্ট সাহায্য করিয়াছিলেন। সাধারণ প্রজাবৰ্গ তাহার স্তায় ও স্নেহপূর্ণ ব্যবহারে অতিশয় আনন্দ অনুভব করিত । র্তাহার অতি নিম্ন পদস্থ কৰ্ম্মচারীও তাহার সদয় ব্যবহারে অর্থ সঞ্চয় করিয়া মুখী হইতে পারিয়াছিল। সকল কার্য্যেই তাহার বুদ্ধির তীক্ষতা প্রকাশ পাইত । দেশের শিল্পের উন্নতির জন্য, ব্যবসায় বাণিজ্যের উন্নতির জন্য তিনি মুক্ত হস্ত ছিলেন ভারতীয়-ঐতিহাসি জালাবদ তিনি অতি উদার প্রকৃত্তির লোক ছিলেন। যদিও দুই একটী বিশ্বাস ঘাতকতার দৃষ্টান্ত আমরা দেখিতে পাই তাহা তৎকালীন রাজনৈতিক আব হাওয়ার ফল । তিনি ইংরেজদের প্রতি সিরাজউদৌলার বিদ্বেষের বিষয় মনে করিয়া মনে মনে দুঃখিত ছিলেন । দক্ষিণাত্যে ফরাসীদের উন্নতি দেখিয়া অতিশয় শঙ্কিত হইয়াছিলেন এবং বলিয়াছিলেন যে—“আমার মৃত্যুর পরে হয়ত ইউরোপীয় জাতি ভারতবর্ষের নানা স্থানে প্রভু হইবে ।’ তাহার এই ভবিষ্যদবাণী যে সফল হইয়াছিল, ইতিহাস র্তাহার সাক্ষী । একবার নবাবের সেনাপতি মুস্তাফ খ। তাহাকে পরামর্শ দিয়াছিলেন যে, ইংরেজদিগকে আক্রমণ করিয়া র্তাহীদের ধন রত্ব হস্তগত করা উচিত । নবাবের সম্মতি না পাইয়া নোয়াজিস মোহাম্মদ দ্বারা নবাবকে পুনরায় অমুরোধ করান। নবাব সভাস্থলে কিছু না বলিয়া, গোপনে তাহাকে বলিয়াছিলেন—বৎস, মুস্তাফা খাঁ একজন সৈনিক পুরুষ । সে চায় আমরা সৰ্ব্বদা তাহার সহায়তা গ্রহণ করি। তুমি কেমন করিয়া তাহার সহিত মিশিতে আমায় পরামর্শ দিতেছ? ইংরেজগণ আমার কি অনিষ্ট করিয়াছে, যে আমি তাহাদেরে নির্য্যাতন করিব ? এক্ষণে স্থলের অগ্নিই নিৰ্ব্বাণ করাই কঠিন