২৭৫ ( হিঃ ১২১২ প্রথম রবির ২৮শে ) তিনি পরলোক গমন করিলে, তাহারই স্থাপিত ইমামবারাতে তাহাকে সমাহিত করা হয় ; তাহার মৃত্যুর পরে তদীয় পোষ্মপুত্র উজির আলি খ। সিংহাসনে অীরোহণ করেন, কিন্তু সেই সময়ের ভারতের বড়লাট তাহার ভ্রাতা সাদত আলিকে সিংহাসন প্রদান করেন। আলফ উদ্দৌলা দূর দেশান্তর হইতে নানা জাতীয় শিল্প ও বাণিজ্য ব্যবসায়ী, গণকে সমাদরে স্বীয় রাজ্যে স্থান প্রদান করিয়াছিলেন । লক্ষেীয়ের বিখ্যাত ঐশ্বৰ্য্য এই সময়েই পূর্ণতা প্রাপ্ত হইয়াছিল । নবাবের দানশীলতা, সুপ্রসিদ্ধ। এ সম্বন্ধে প্রবাদ অাছে, "জি সকে। নদে মেীল, উসকে দেয় অসিফউদ্দৌল)’ অর্থাৎ ঈশ্বর যাহাকে দয়া না করেন, আসফ উদ্দৌলা তাহাকে দয়া করেন । এই উদার নরপতির আtশ্রয়ে বাঙ্গালীর। নবাব সরকৰে নান। কার্য্যে নিযুক্ত ছিল । , আসিফ খাঁ (১) – অন্ত নাম আবদুল মজিদ । দিল্লীর সম্রাট আকবর শাহের সেনাপতি আলফ খ। ১৫৬৫ খৃঃ অব্দে (হিঃ ৯৭৩) নৰ্ম্মদ। তারবর্তী বুনোলখণ্ডের প্রান্তস্থিত নগরকোট নামক স্থান অধিকার করেন। ঐ প্রদেশের রাণী দুর্গাবতী অশেষ বীরত্ব প্রদর্শন করিয়া অবশেষে অনলে জীবন বিসর্জন করেন। আসিফ খ৷ নগর ভারতীয়-ঐতিহাসিক उन्नजिक शैं লুণ্ঠন করিয়া প্রচুর ধন রত্ন লাভ করেন এবং স্বয়ং তাহার অধিকাংশ আত্মসাৎ করেন । পরে ইহা প্রকাশ হইয়া পড়িলে বিদ্রোহী হন, কিন্তু পরে বগুত৷ স্বীকার করিলে সম্রাট আকবর তাহাকে ক্ষমা করিয়া, চিতোর জায়গীর স্বরূপ প্রদান করেন । আসফ খাঁ (১) – খেরাজ ঘিয়াল উদ্দিন আলি কৈ বানীর উপাধি । র্তাহার পিতার নাম আক মুল্লান্দ । তিনি সম্রাট আকবরের রাজস্বসচীব ছিলেন । ১৫৭৩ খৃঃ অব্দে (হিঃ ৯৮১) গুজরাটের যুদ্ধে বিশেষ কৃতিত্ব দেখাইলে, সম্রাট র্তাহাকে অবিবাস খা উপাধী প্রদান করেন । ১৫৮১ খ্ৰীঃ অব্দে (হিঃ ৯৮৯ ) তাহীর মৃত্যু হয় । আসফ খা (3) – সাধারণতঃ মীরজ ফরবেগ নামেই তিনি খ্যাত । মীরজা বদিয়জমানের পুত্র ; আকামুল্লা কজাবিনীর পৌত্র। যৌবনের প্রারম্ভে ১৫৭৭ খ্ৰীঃ আন্দে ( হিঃ ৯৮৫ ) তিনি ভারতবর্ষে আগমন করেন । তাহার পিতৃব্য মীরজা ঘিয়াস উদিনের ( দ্বিতীয় আসফ খ1) অনুরোধে তিনি সম্রাট আকবরের রাজসভায় সাদরে গৃহীত হন । ১৫৮১ খ্ৰীঃ আবে ( ছিঃ ৯৮৯ ) তাহার পিতৃব্য দ্বিতীয় আসফ থার মৃত্যুর পরেও তিনি উক্ত আসিফ খ উপাধি ও রাজস্ব সচীবের পদ প্রাপ্ত হন । তিনি একজন কবি ছিলেন ।
