खप्रांझांच्घ्नल =ोंङ् তদনুসারে ১৭৪৮ খ্ৰীঃ অব্দের প্রারম্ভে তিনি লাহোর হইতে বিপুল বাহিনী সঙ্গে করিয়া দিল্লীর অভিমুখে যাত্র। করিলেন। দিল্লীর সম্রাট মোহাম্মদ শাহ, তাহার একমাত্র পুত্র আহাম্মদকে উজির কমরউদ্দিন খা, অযোধ্যার শাসনকর্তা সফদর জঙ্গ এবং আরও কতিপয় অধি নায়কের সমভিব্যাহারে এই প্রচণ্ড শক্রর বিরুদ্ধে প্রেরণ করিলেন । কিন্তু জাহাম্মদ শাহ আবদালী শরহিন্দ নগরের এই যুদ্ধে প্রচুর ধন লাভ করিয়া কাবুলে প্রত্যাবর্তন করেন । ১৭৫৭ খ্ৰীঃ অবে তিনি পুনৰ্ব্বার দিল্লী ও আগ্রার উপকণ্ঠে সসৈন্তে আসিয়া উপস্থিত হন এবং মথুরা নগর লুণ্ঠনপুৰ্ব্বক কাবুলে প্রত্যাবৰ্ত্তন করেন । এই সময়ে মহারাষ্ট্ৰীয়ের ভারতের প্রায় সৰ্ব্বত্র আধিপত্য স্থাপন করিয়াছিল। রোহিল। সর্দার নজিব উদ্দৌলা, অযোধ্যার নবাব মুজাউদোলা এবং আরও কতিপয় সর্দার, শাচ আবদালীকে ভারতে আগমন করিয়া দিল্লী অধিকার করিতে আহবান করেন । এই সময় তাহার। সাহায্য করিতে প্রতিশ্রুত হন । মহারাষ্ট্ৰীয়েরা লাহোর অধিকার করাতে শাহ আবদালী বিশেষ মনক্ষুণ্ণ হইয়াছিলেন । সেইজন্য তিনি সেই নিমন্ত্রণ সাদরে গ্রহণ করিয়া অবিলম্বে বিপুল সৈন্য সমভিব্যাহারে সিন্ধু নদী উত্তীর্ণ হইলেন । ১৭৬১ খ্ৰীঃ অব্দের জামুয়ারী জীবনী-কোষ २>s মাসে প্রসিদ্ধ পাণিপথের যুদ্ধে তিনি মহারাষ্ট্রীয়দের দর্পচূৰ্ণ করেন। তিনি স্বদেশ প্রত্যাবৰ্ত্তন করিবার পূৰ্ব্বে শাহ আলমকে দিল্লীর সম্রাট বলিয়া স্বীকার করেন এবং সুজাউদৌল প্রভৃতিকে তাতার অনুগত থাকিতে আদেশ করেন । ষড়বিংশবর্ষ রাজত্ব ৷ করিয়া ১৭৭১ খ্ৰীঃ অব্দে ৫০ বৎসর বয়সে তিনি পরলোক গমন করিলে, তাহার পুত্র তৈমুর শাহ সিংহাসনে মারোহণ করেন । আহাম্মদ শাহ আলী বামলি প্রথম – বামনিবংশের সুলতান দাউদ শাহের পুত্র । ১৪২২ খ্ৰীঃ অব্দে তাহার ভ্রাতা সুলতান ফিরোজ শাহের পরিত্যক্ত সিংহাসনে তিনি আরোহণ করেন । খ্ৰীঃ আবেদ তিনি আহাম্মদাবাদ বিদর নগরের ভিত্তি স্থাপন করেন । ইহারই নিকট প্রাচীন বিদৰ্ভ নগর অবস্থিত ছিল । দ্বাদশবর্ষ রাজ্যশাসন করিয়া ১৪৩৫ খ্ৰীঃ অব্দে তাহার পুত্র দ্বিতীয় সুলতান আলউদিনের হস্তে রাজ্যভার অর্পণপূৰ্ব্বক তিনি পরলোকগমন করেন । তিনি আহাম্মদাবাদ বিজয়নগরেই সমাহিত झैन | আহাম্মদ শাহ বামলি সুলতান, দ্বিতীয়—র্তাহার পিতা সুলতান মামুদ দ্বিতীয় মোহাম্মদ শাহের মৃত্যুর পরে, ( ১৫১৮ খ্ৰীঃ অব্দের অক্টোবর মাসে । Σ 8 88
