পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/২৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৯১ র্তাহার প্রধান মন্ত্রী অামির বারিদ, নিকট , বর্তী অন্যান্ত রাজাদিগের ভয়ে নিজে সিংহাসনে আরোহণ না করিয়া, তাহার পুত্র অtহাম্মদ শাহকেই সিংহাসনে স্থাপন করেন । কিন্তু হত ভাগ্য অtহাম্মদ শাস্থের কিছুমাত্র ক্ষমতা ছিল না । কেবল রাজপ্রাসাদটি তাহার থাকিবার জন্য দেওয়া হইয়াছিল এবং প্রতি দিনের ব্যয় নিৰ্ব্বাহীর্থ সামান্ত অর্থ দেওয়৷ হইত। অর্থাভাবে তিনি রাজ মুকুট ভগ্ন করিয়। ১৬ লক্ষ টাকায় তাহার মণি মুক্ত বিক্রয় করেন । সিংহাসন আরোহণের দুই বৎসর পরে ১৫২১ খ্রী: অব্দে তাঙ্গার মৃত্যু হয় । তাহার মৃত্যুর পর, মন্ত্রী আমির বারিদ সুলতান তৃতীয় আলাউদ্দিনকে সিংহাসনে স্থাপন করেন । দুই বৎসর পর তাঁহাকে বন্দী করিঃ মোহাম্মদ শাহের অন্য পুত্র অলি উল্ল। শাহকে সিংহাসনে স্থাপন করেন । তিন বৎসর পরে তাহকে বিষ প্রয়োগে নিহত করিয়া, তাহার স্ত্রীকে বিবাহ করেন এবং তৎপদে দ্বিতীয় আহাম্মদ শাহের পুত্র কলিম উল্লাকে সিংহাসনে স্থাপন করেন । তিনি নামে মাত্র fজ ছিলেন, এমনকি রাজ প্রাসাদ পরিত্যাগ করিবারও তাহার ক্ষমতা ছিল না । অবশেষে তাহার প্রতি আমির বারিদ আরও কঠোর ব্যবহার আরম্ভ করিলে, তিনি পলায়ন করিয়৷ বিজাপুরের ইস্মাইল আদিল শাহের ভারতীয়-ঐতিহাসিক डोङ्ग्रुण অfশ্রয় গ্রহণ করেন । তাহা হইত্তেই এই বংশ শেষ হয় । আহাম্মদ শেখ — সাধারণতঃ তিনি মোল্লাজীবন নামেই পরিচিত। তিনি সম্রাট আলমগীরের শিক্ষক ছিলেন । “তপসির-ই-অাহাম্মদী" নামক গ্রন্থ র্তাহারই রচিত । ১৭১৮ খ্রীঃ আন্দে তাহার মৃত্যু হয় । আহাম্মদ সাবীর—তিনি প্রসিদ্ধ সুফী পীর ফরিদ অলদিন শকর গঞ্জের বংশধর কলি শেথ সরফ উদিনের শিষ্য ছিলেন। তিনিই সাবীর চিস্তি সম্প্রদায়ের স্থাপন কৰ্ত্ত ১২৯১ খ্ৰীঃ আবেদ রুড়কীর নিকটে এই সাধক দেহত্যাগ করেন। র্তাহার ধৰ্ম্মধারায় হিন্দু মুসলমানের ঐক্য সাধনের প্রয়াস ছিল । আহাম্মদ, সৈয়দ–তাহার জন্মস্থান বেরেলি জিলায় । তিনি প্রথমে আমির খার অধীনে একজন অশ্বারোহী সর্দার ছিলেন । পরে তিনি দিল্লীর প্রসিদ্ধ দরদেশ শাহ আবদুল আজিজের শিষ্ণু হন । তৎপরে তিনি একজন ধৰ্ম্ম ংস্কারক হন । মুসলমান ধৰ্ম্মের সৰ্ব্ব প্রকার পবিত্রত রক্ষা করিতে তিনি বিশেয় ভাবে যত্নবান হন। ১৮২১ খ্ৰীঃ আবেদ তিনি কলিকাতায় আগমন করেন । তৎপরে বোম্বাই, মক্কা, প্রভৃতি স্থান ভ্রমণ করিয়া, স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি কয়েকথানা গ্রন্থ রচনা করেন । ১৮২৬ খ্ৰীঃ